গোপালগঞ্জে মুকসুদপুরে শুটকি তৈরির এলাকাগুলোতে মাছকাটার বিনিময়ে নারী শ্রমিকদের দেয়া হয় মাছের পেটা। আর এসব পেটা বিক্রি করে পারিশ্রমিক অর্থের চেয়ে বেশি পান বলেই শ্রমিকরা পেটার বিনিময়ে কাজ করতে বেশি আগ্রহী। মাছ কাটার কাজ করে স্বাবলম্বী গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার হাজারও নারী শ্রমিক।
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে রয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য বিল। আর এসব বিলের জেলেদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের মাছ কিনে শুটকি তৈরি করেন প্রস্তুতকারীরা। শুটকি তৈরির জন্য মাছ কাটা হয়। আর এসব মাছ কাটেন হাজারও নারী শ্রমিকরা। মজুরি বাবদ তারা কেজি প্রতি পান ৮-১০ টাকা। যদি টাকা না নেন তাহলে পান মাছের পেটা। এই পেটা বিক্রি করে শ্রমিকরা বেশি অর্থ আয় করেন। সরেজমিনে দেখা যায়, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বানিয়ারচর এলাকায় শুটকি শুকানোর জন্য তৈরি করেছে ছোট বড় মাচা। মাছের আঁশ ও পচা মাছের গন্ধে মাছি সবসময় ভনভন করে। আর কাকডাকা ভোর হতে এ ধরনের পরিবেশেই মাছ কাটতে আসে নারী শ্রমিকরা। শুটকির মাচার পাশে গোল হয়ে দা-বটি নিয়ে ছোট প্রজাতির টেংরা খৈলসা, পুটি, মলা, টাকি, মেনি, মাছ কাটতে বসে যায় তারা। মাছ কাটতে আসা জোসনা বৈরাগী জানান, আমরা প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত কাজ করে ৮০ থেকে ১০০ টাকা মজুরি পাই। তবে মজুরি বাবদ মাছের পেটা নিলে তা বিক্রি করে বেশি টাকা পাই।
আমি এখান থেকে আয় করে পরিবারের ব্যয় নির্বাহের জন্য স্বামীকে সাহায্য করতে পারি। আরেক শ্রমিক উজলী বালা বলেন, আমরা অনেকেই এখানে মাছ কাটার কাজ করি। বেশি কাজ করলে বেশি মজুরি পাই।
তবে আমি দৈনিক ৮ থেকে ১০ কেজি মাছ কাটতে পারি। এখান থেকে পেটা নিয়ে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে যে টাকা পাই তা দিয়ে আমাদের সংসার চলে যায়।
শুটকি প্রস্তুতকারী অমল বালা জানান, আমি দীর্ঘদিন যাবত শুটকি তৈরি ও বিক্রি করে আসছি। শুটকি তৈরির জন্য এখানে মাছ কাটতে এসে অনেকই মজুরি হিসেবে টাকা না নিয়ে মাছের পেটা নেয়। আগের তুলনায় বর্তমানে দেশিয় মাছ কম পাওয়া যায় । দাম বেশি থাকায় শুকটি তৈরি ও বিক্রি করে আগের মতো তেমন লাভ হচ্ছে না। তাই শ্রমিকদেরও বেশি মজুরি দিতে পারছি না। তবে আমার এখানে মাছ কাটার কাজ করে অনেক নারী শ্রমিকরাই স্বাবলম্বী।
সোমবার, ০১ জুলাই ২০১৯ , ১৭ আষাঢ় ১৪২৫, ২৭ শাওয়াল ১৪৪০
মাসুদুর রহমান, মুকসুদপুর (গোপালগঞ্জ)
গোপালগঞ্জে মুকসুদপুরে শুটকি তৈরির এলাকাগুলোতে মাছকাটার বিনিময়ে নারী শ্রমিকদের দেয়া হয় মাছের পেটা। আর এসব পেটা বিক্রি করে পারিশ্রমিক অর্থের চেয়ে বেশি পান বলেই শ্রমিকরা পেটার বিনিময়ে কাজ করতে বেশি আগ্রহী। মাছ কাটার কাজ করে স্বাবলম্বী গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার হাজারও নারী শ্রমিক।
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে রয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য বিল। আর এসব বিলের জেলেদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের মাছ কিনে শুটকি তৈরি করেন প্রস্তুতকারীরা। শুটকি তৈরির জন্য মাছ কাটা হয়। আর এসব মাছ কাটেন হাজারও নারী শ্রমিকরা। মজুরি বাবদ তারা কেজি প্রতি পান ৮-১০ টাকা। যদি টাকা না নেন তাহলে পান মাছের পেটা। এই পেটা বিক্রি করে শ্রমিকরা বেশি অর্থ আয় করেন। সরেজমিনে দেখা যায়, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বানিয়ারচর এলাকায় শুটকি শুকানোর জন্য তৈরি করেছে ছোট বড় মাচা। মাছের আঁশ ও পচা মাছের গন্ধে মাছি সবসময় ভনভন করে। আর কাকডাকা ভোর হতে এ ধরনের পরিবেশেই মাছ কাটতে আসে নারী শ্রমিকরা। শুটকির মাচার পাশে গোল হয়ে দা-বটি নিয়ে ছোট প্রজাতির টেংরা খৈলসা, পুটি, মলা, টাকি, মেনি, মাছ কাটতে বসে যায় তারা। মাছ কাটতে আসা জোসনা বৈরাগী জানান, আমরা প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত কাজ করে ৮০ থেকে ১০০ টাকা মজুরি পাই। তবে মজুরি বাবদ মাছের পেটা নিলে তা বিক্রি করে বেশি টাকা পাই।
আমি এখান থেকে আয় করে পরিবারের ব্যয় নির্বাহের জন্য স্বামীকে সাহায্য করতে পারি। আরেক শ্রমিক উজলী বালা বলেন, আমরা অনেকেই এখানে মাছ কাটার কাজ করি। বেশি কাজ করলে বেশি মজুরি পাই।
তবে আমি দৈনিক ৮ থেকে ১০ কেজি মাছ কাটতে পারি। এখান থেকে পেটা নিয়ে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে যে টাকা পাই তা দিয়ে আমাদের সংসার চলে যায়।
শুটকি প্রস্তুতকারী অমল বালা জানান, আমি দীর্ঘদিন যাবত শুটকি তৈরি ও বিক্রি করে আসছি। শুটকি তৈরির জন্য এখানে মাছ কাটতে এসে অনেকই মজুরি হিসেবে টাকা না নিয়ে মাছের পেটা নেয়। আগের তুলনায় বর্তমানে দেশিয় মাছ কম পাওয়া যায় । দাম বেশি থাকায় শুকটি তৈরি ও বিক্রি করে আগের মতো তেমন লাভ হচ্ছে না। তাই শ্রমিকদেরও বেশি মজুরি দিতে পারছি না। তবে আমার এখানে মাছ কাটার কাজ করে অনেক নারী শ্রমিকরাই স্বাবলম্বী।