ভারতের সামনে বড় লক্ষ্য ইংল্যান্ডের

বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সেমিফাইনালের দৌড়ে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করার তাগিদে গতকাল ভারতের বিপক্ষে আটঘাট বেঁধেই নেমেছিল চলতি আসরের স্বাগতিকরা। জেসন রয়ের প্রত্যাবর্তনে প্রাণ ফিরে পাওয়া ইংলিশ ব্যাটিং ডিপার্টমেন্ট শুরু থেকেই ভারতীয় বোলারদের তুলোধুনো করছিল। তবে, ভুবনেশ্বর কুমারের ইনজুরির কারণে দলে জায়গা পাওয়া মোহাম্মদ শামি করে ফেলেছেন ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং, ফিরিয়েছেন পাঁচ ইংলিশ ব্যাটসম্যানকে। তাতে একটা পর্যায়ে ইংল্যান্ডের রান চারশ’ হয়ে যাবে বলে ধারণা করা গেলেও টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড দল নির্ধারিত ৫০ ওভারে জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরি এবং জেসন রয় ও বেন স্টোকসের হাফ সেঞ্চুরিতে সাত উইকেটে তুলেছে ৩৩৭ রান। ফলে ভারত পায় ৩৩৮ রানের জয়ের টার্গেট। অর্থাৎ জিততে হলে রেকর্ড গড়া চাই টিম ইন্ডিয়ার। এর আগে ২০১১ সালে ইংলিশদের দেয়া ৩২৭ রানের টার্গেট তাড়া করে আইরিশদের পাওয়া জয়টাই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভারত ৩৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৮৩ রান করেছে। আগেই বলা হয়েছে ইংলিশ ব্যাটিং ডিপার্টমেন্ট শুরু থেকে এজবাস্টনের পিচে যেভাবে ব্যাট চালাচ্ছিল, তাতে চারশ’ রান মামুলি বলেই মনে হচ্ছিল। ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেন মোহাম্মদ শামি। গতির ঝলকে এই পেসার ৬৯ রানের বিনিময়ে তুলে নেন পাঁচ উইকেট। বাধা পড়ে ইংল্যান্ডের রানের চাকায়।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো। ভারতীয় বোলাররা পাত্তাই পাচ্ছিলেন না। ৯৩ বলে তাদের জুটি একশ’ ছাড়িয়ে যায়। ৫৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বেয়ারস্টো। তার চেয়ে দ্রুতগতিতে মাত্র ৪১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন জেসন রয়। ১২১ বলে ইংল্যান্ডের স্কোর দেড়শ’ ছাড়িয়ে যায়। কুলদীপ যাদবের বলে ৫৭ বলে ৭ বাউন্ডারি ও দুটো ছক্কায় ৬৬ রান করা জেসন রয় ধরা পড়েন বদলি ফিল্ডার রবীন্দ্র জাদেজার হাতে। ভাঙে ১৬০ রানের উদ্বোধনী জুটি।

কিন্তু ছুটতে থাকেন বেয়ারস্টো। ৯০ বলে ৮ বাউন্ডারি ও ছটি ছক্কায় তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৮ম সেঞ্চুরি। জো রুটের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৫ রানের জুটি গড়ে মোহাম্মদ শামির বলে থামেন বেয়ারস্টো। ততক্ষণে ১০৯ বলে তার রান ১১১।

উইকেটে এসেই মোহাম্মদ শামির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন অধিনায়ক এউইন মরগান (১)। এ সময় ম্যাচ ভারতের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তবে ব্যাটে ঝড় তোলা অব্যাহত রেখেছিলেন বেন স্টোকস। এই অল-রাউন্ডার মাত্র ৩৮ বলে তিনটি বাউন্ডারি ও দুটো ছক্কায় তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন শামি। একে একে জো রুট (৪৪), জস বাটলার (২০) এবং ক্রিস ওকসকে ফিরিয়ে এক ইনিংসে ৫ উইকেট শিকারের কৃতিত্ব অর্জন করেন। এটাই শামির ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ৫৪ বলে ৭৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে শেষ ওভারের চতুর্থ বলে জসপ্রিত বুমরাহর শিকার হন বেন স্টোকস। যদিও তার আউটটা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট ৩৩৭ রান তোলে

ইংল্যান্ড।

সোমবার, ০১ জুলাই ২০১৯ , ১৭ আষাঢ় ১৪২৫, ২৭ শাওয়াল ১৪৪০

ভারতের সামনে বড় লক্ষ্য ইংল্যান্ডের

বিশেষ প্রতিনিধি

image

বোলিংয়ের ফাঁকে দুই ব্যাটসম্যান জেসন রয় ও বেয়ারস্টোরের সঙ্গে কৌতুক করছেন বোলার পান্ডিয়া

বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সেমিফাইনালের দৌড়ে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করার তাগিদে গতকাল ভারতের বিপক্ষে আটঘাট বেঁধেই নেমেছিল চলতি আসরের স্বাগতিকরা। জেসন রয়ের প্রত্যাবর্তনে প্রাণ ফিরে পাওয়া ইংলিশ ব্যাটিং ডিপার্টমেন্ট শুরু থেকেই ভারতীয় বোলারদের তুলোধুনো করছিল। তবে, ভুবনেশ্বর কুমারের ইনজুরির কারণে দলে জায়গা পাওয়া মোহাম্মদ শামি করে ফেলেছেন ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং, ফিরিয়েছেন পাঁচ ইংলিশ ব্যাটসম্যানকে। তাতে একটা পর্যায়ে ইংল্যান্ডের রান চারশ’ হয়ে যাবে বলে ধারণা করা গেলেও টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড দল নির্ধারিত ৫০ ওভারে জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরি এবং জেসন রয় ও বেন স্টোকসের হাফ সেঞ্চুরিতে সাত উইকেটে তুলেছে ৩৩৭ রান। ফলে ভারত পায় ৩৩৮ রানের জয়ের টার্গেট। অর্থাৎ জিততে হলে রেকর্ড গড়া চাই টিম ইন্ডিয়ার। এর আগে ২০১১ সালে ইংলিশদের দেয়া ৩২৭ রানের টার্গেট তাড়া করে আইরিশদের পাওয়া জয়টাই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভারত ৩৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৮৩ রান করেছে। আগেই বলা হয়েছে ইংলিশ ব্যাটিং ডিপার্টমেন্ট শুরু থেকে এজবাস্টনের পিচে যেভাবে ব্যাট চালাচ্ছিল, তাতে চারশ’ রান মামুলি বলেই মনে হচ্ছিল। ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেন মোহাম্মদ শামি। গতির ঝলকে এই পেসার ৬৯ রানের বিনিময়ে তুলে নেন পাঁচ উইকেট। বাধা পড়ে ইংল্যান্ডের রানের চাকায়।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো। ভারতীয় বোলাররা পাত্তাই পাচ্ছিলেন না। ৯৩ বলে তাদের জুটি একশ’ ছাড়িয়ে যায়। ৫৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বেয়ারস্টো। তার চেয়ে দ্রুতগতিতে মাত্র ৪১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন জেসন রয়। ১২১ বলে ইংল্যান্ডের স্কোর দেড়শ’ ছাড়িয়ে যায়। কুলদীপ যাদবের বলে ৫৭ বলে ৭ বাউন্ডারি ও দুটো ছক্কায় ৬৬ রান করা জেসন রয় ধরা পড়েন বদলি ফিল্ডার রবীন্দ্র জাদেজার হাতে। ভাঙে ১৬০ রানের উদ্বোধনী জুটি।

কিন্তু ছুটতে থাকেন বেয়ারস্টো। ৯০ বলে ৮ বাউন্ডারি ও ছটি ছক্কায় তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৮ম সেঞ্চুরি। জো রুটের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৫ রানের জুটি গড়ে মোহাম্মদ শামির বলে থামেন বেয়ারস্টো। ততক্ষণে ১০৯ বলে তার রান ১১১।

উইকেটে এসেই মোহাম্মদ শামির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন অধিনায়ক এউইন মরগান (১)। এ সময় ম্যাচ ভারতের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তবে ব্যাটে ঝড় তোলা অব্যাহত রেখেছিলেন বেন স্টোকস। এই অল-রাউন্ডার মাত্র ৩৮ বলে তিনটি বাউন্ডারি ও দুটো ছক্কায় তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন শামি। একে একে জো রুট (৪৪), জস বাটলার (২০) এবং ক্রিস ওকসকে ফিরিয়ে এক ইনিংসে ৫ উইকেট শিকারের কৃতিত্ব অর্জন করেন। এটাই শামির ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ৫৪ বলে ৭৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে শেষ ওভারের চতুর্থ বলে জসপ্রিত বুমরাহর শিকার হন বেন স্টোকস। যদিও তার আউটটা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট ৩৩৭ রান তোলে

ইংল্যান্ড।