রিফাত হত্যা

এ পর্যন্ত গ্রেফতার ৬

খুনিরা যেন পালাতে না পারে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে : আইজিপি

বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত হত্যা মামলায় পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় ২ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত সন্ধিগ্ধ ৪ জনসহ মোট ৬ আসামিকে গ্রেফতার করেছে।

রোববার জেলা বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে এজাহারভুক্ত বরগুনা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের অরুন চন্দ্র সরকারের ছেলে ৪নং আসামি চন্দন (২১) এবং ৯নং আসামি বরগুনা কলেজ রোডের আয়নাল হকের ছেলে মো. হাসান (১৯)। এছাড়া সন্দেহজনক গ্রেফতারকৃত আসামিরা হচ্ছে- বরগুনা সদর উপজেলার পোটকাখালি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. নাজমুল হাসান (১৮), বরগুনা পৌরসভার ধানসিঁড়ি সড়কের নয়া মিয়ার ছেলে তানভীর (২২), সদর উপজেলার নলী মাইঠা গ্রামের আ. লতিফ খানের ছেলে মো. সাগর (১৯), হাজারবিঘা গ্রামের কায়সার মিয়ার ছেলে কামরুল হাসান সাইমুন (২১), টিকটক হ্রদয় ও অলি। পুলিশ অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এ বিষয়ে দু’বার পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তবে পুলিশের বিভিন্ন সূত্র জানায় রিফাত হত্যা মামলার মূল আসামি পুলিশের নজরে রয়েছে। শীঘ্রই তাকে ধরা সম্ভব হবে।

রংপুর জেলা বার্তা পরিবেশক জানান, পুলিশের মহাপদির্শক (আইজি) জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, বরগুনার রিফাত হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে। খুনিরা যাতে দেশত্যাগ করে পালিয়ে যেতে না পারে, এ জন্য দেশের সব সীমান্তসহ নদী, আকাশ ও সড়কপথে চেকপোস্ট বসিয়ে নজরদারি করা হচ্ছে। খুনিদের ছবি পাঠানো হয়েছে দেশের সীমান্তসহ সারাদেশে। তিনি গতকাল রংপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

আইজি বলেন, বরগুনার রিফাত হত্যাকান্ড একটি হৃদয়স্পর্শী, হৃদয়বিদারক ও মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা ইতোমধ্যে খুনিদের চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছি। ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এবং অন্যান্য মাধ্যমে খুনিদের শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী, অচিরেই খুনিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হব।

আইজি বলেন, বরগুনা পুলিশ ছাড়াও সারাদেশের পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট খুনিদের গ্রেফতারে কাজ করছে। ডিবি পুলিশ, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। আমরা অচিরেই ভালো খবর দিতে পারব।

সভায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবদুল আলীম মাহমুদ, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিভাগীয় কমিউনিটি পুলিশিং সমিতির আয়োজনে স্থানীয় পুলিশ কমিউনিটি সেন্টার থেকে জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী সচেতনামূলক র‌্যালি করা হয়।

সোমবার, ০১ জুলাই ২০১৯ , ১৭ আষাঢ় ১৪২৫, ২৭ শাওয়াল ১৪৪০

রিফাত হত্যা

এ পর্যন্ত গ্রেফতার ৬

খুনিরা যেন পালাতে না পারে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে : আইজিপি

প্রতিনিধি, বরগুনা

image

বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত হত্যা মামলায় পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় ২ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত সন্ধিগ্ধ ৪ জনসহ মোট ৬ আসামিকে গ্রেফতার করেছে।

রোববার জেলা বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে এজাহারভুক্ত বরগুনা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের অরুন চন্দ্র সরকারের ছেলে ৪নং আসামি চন্দন (২১) এবং ৯নং আসামি বরগুনা কলেজ রোডের আয়নাল হকের ছেলে মো. হাসান (১৯)। এছাড়া সন্দেহজনক গ্রেফতারকৃত আসামিরা হচ্ছে- বরগুনা সদর উপজেলার পোটকাখালি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. নাজমুল হাসান (১৮), বরগুনা পৌরসভার ধানসিঁড়ি সড়কের নয়া মিয়ার ছেলে তানভীর (২২), সদর উপজেলার নলী মাইঠা গ্রামের আ. লতিফ খানের ছেলে মো. সাগর (১৯), হাজারবিঘা গ্রামের কায়সার মিয়ার ছেলে কামরুল হাসান সাইমুন (২১), টিকটক হ্রদয় ও অলি। পুলিশ অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এ বিষয়ে দু’বার পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তবে পুলিশের বিভিন্ন সূত্র জানায় রিফাত হত্যা মামলার মূল আসামি পুলিশের নজরে রয়েছে। শীঘ্রই তাকে ধরা সম্ভব হবে।

রংপুর জেলা বার্তা পরিবেশক জানান, পুলিশের মহাপদির্শক (আইজি) জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, বরগুনার রিফাত হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে। খুনিরা যাতে দেশত্যাগ করে পালিয়ে যেতে না পারে, এ জন্য দেশের সব সীমান্তসহ নদী, আকাশ ও সড়কপথে চেকপোস্ট বসিয়ে নজরদারি করা হচ্ছে। খুনিদের ছবি পাঠানো হয়েছে দেশের সীমান্তসহ সারাদেশে। তিনি গতকাল রংপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

আইজি বলেন, বরগুনার রিফাত হত্যাকান্ড একটি হৃদয়স্পর্শী, হৃদয়বিদারক ও মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা ইতোমধ্যে খুনিদের চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছি। ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এবং অন্যান্য মাধ্যমে খুনিদের শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী, অচিরেই খুনিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হব।

আইজি বলেন, বরগুনা পুলিশ ছাড়াও সারাদেশের পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট খুনিদের গ্রেফতারে কাজ করছে। ডিবি পুলিশ, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। আমরা অচিরেই ভালো খবর দিতে পারব।

সভায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবদুল আলীম মাহমুদ, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিভাগীয় কমিউনিটি পুলিশিং সমিতির আয়োজনে স্থানীয় পুলিশ কমিউনিটি সেন্টার থেকে জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী সচেতনামূলক র‌্যালি করা হয়।