সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ঢাবি অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে

প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে এবং দেশ ও মানুষের কল্যাণে আরও বেশি করে অবদান রাখবে। বাসস।

১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে রোববার দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এবারের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের প্রতিপাদ্য ‘গুণগত শিক্ষা, প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণ’।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘শতবর্ষের পথে এগিয়ে চলা ঐতিহ্যবাহী এই বিশ্ববিদ্যালয় উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে, দেশ ও মানুষের কল্যাণে আরও বেশি করে অবদান রাখবে এ প্রত্যাশা করি।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ নিরন্তর উন্নয়ন অভিযাত্রার সমার্থক এক নাম। বিশ্বমানের মেধা লালনের মধ্য দিয়ে উন্নয়নের পথে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলা এই বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সহযোগী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।’

যুগোপযোগী প্রতিপাদ্য নির্ধারণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক সাধুবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষাকে অনিবার্যভাবেই মানসম্মত হতে হয়; মানহীন শিক্ষা অজ্ঞতারই নামান্তর। শিক্ষার কাক্সিক্ষত মান অর্জনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে তা বিশেষভাবে প্রশংসার দাবিদার।’

তিনি বলেন, ‘মননশীলতার নিরবচ্ছিন্ন চর্চায় এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অনন্য। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রামসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এই বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের গণতন্ত্র বিনির্মাণ, অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক সত্ত্বার বিকাশ ও দেশের গণমানুষের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণে অব্যাহতভাবে অবদান রেখে চলেছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন, সেই বিশ্ববিদ্যালয় ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন পূরণে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলবে- এটাই প্রত্যাশিত।’

বাণীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃপ্ত অগ্রযাত্রার ৯৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং দিবসের সব আয়োজনের সাফল্য কামনা করেন।

সোমবার, ০১ জুলাই ২০১৯ , ১৭ আষাঢ় ১৪২৫, ২৭ শাওয়াল ১৪৪০

সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ঢাবি অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে

প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে এবং দেশ ও মানুষের কল্যাণে আরও বেশি করে অবদান রাখবে। বাসস।

১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে রোববার দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এবারের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের প্রতিপাদ্য ‘গুণগত শিক্ষা, প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণ’।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘শতবর্ষের পথে এগিয়ে চলা ঐতিহ্যবাহী এই বিশ্ববিদ্যালয় উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে, দেশ ও মানুষের কল্যাণে আরও বেশি করে অবদান রাখবে এ প্রত্যাশা করি।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ নিরন্তর উন্নয়ন অভিযাত্রার সমার্থক এক নাম। বিশ্বমানের মেধা লালনের মধ্য দিয়ে উন্নয়নের পথে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলা এই বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সহযোগী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।’

যুগোপযোগী প্রতিপাদ্য নির্ধারণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক সাধুবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষাকে অনিবার্যভাবেই মানসম্মত হতে হয়; মানহীন শিক্ষা অজ্ঞতারই নামান্তর। শিক্ষার কাক্সিক্ষত মান অর্জনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে তা বিশেষভাবে প্রশংসার দাবিদার।’

তিনি বলেন, ‘মননশীলতার নিরবচ্ছিন্ন চর্চায় এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অনন্য। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রামসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এই বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের গণতন্ত্র বিনির্মাণ, অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক সত্ত্বার বিকাশ ও দেশের গণমানুষের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণে অব্যাহতভাবে অবদান রেখে চলেছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন, সেই বিশ্ববিদ্যালয় ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন পূরণে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলবে- এটাই প্রত্যাশিত।’

বাণীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃপ্ত অগ্রযাত্রার ৯৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং দিবসের সব আয়োজনের সাফল্য কামনা করেন।