অনুকূল পরিবেশ পেলে জঙ্গিরা ঝুঁকির কারণ হতে পারে

সিটিটিসি প্রধান

অনুকূল পরিবেশ পেলে জঙ্গিরা ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠতে পারে। জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও জঙ্গিবাদ এখনো আমাদের সমাজে বিদ্যমান। গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কাউন্টার টোরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম।

মনিরুল ইসলাম বলেছেন, হলি আর্টিজান হামলার পরবর্তি সময়ে আমরা জঙ্গি সংগঠনগুলোকে দুর্বল করে দিতে সক্ষম হয়েছি। তাই অতীতেও তাদের কোন অপতৎপরতা সফল হয়নি, ভবিষ্যতেও তারা সফল হবে না। তবে তাদের প্রচেষ্টা থাকলেও বড় ধরনের হামলা চালানোর সক্ষমতা নেই। এ পর্যায়ে জঙ্গি হামলার ঝুঁকির মাত্রা খুব বেশি না হলেও, সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

জঙ্গিবাদকে বৈশ্বিক সমস্যা আখ্যায়িত করে মনিরুল ইসলাম বলেন, যেকোন আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক বা জাতিগত ঘটনার প্রভাব পড়ে জঙ্গিদের উপর। নিউজিল্যান্ডে হামলার পর বাংলাদেশে ঝিমিয়ে পড়া জঙ্গিদের ভেতরে একটা আলোড়ন দেখেছি। এর পরপরই শ্রীলঙ্কায় হামলাও তাদের বড় অনুপ্রেরণা ছিল। তাদের ইনটেনশন থাকলেও ক্যাপাসিটি বিপর্যস্ত করে দেয়ায় তারা কোন ধরনের নাশকতায় সক্ষম হয়নি। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় হলি আর্টিজান হামলার পরবর্তি সময়ে জঙ্গি সংগঠনগুলোর সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে গেছে। তাদের নেতৃত্ব পর্যায়ে ধারাবাহিক সব নেতাই হয়তো কোন অভিযানে নিহত হয়েছেন নয়তো গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছেন। এ পর্যায়ে সবার সমর্থিত বা মনোনীত অবিভক্ত কোন নেতা নেই। ছোট ছোট গ্রুপে বিভক্ত হয়ে তাদের কর্মকান্ড চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আতঙ্কিত না হয়ে সবাই সতর্ক থাকলে জঙ্গিরা কখনোই সফল হবেন না।

সম্প্রতি গুলিস্তান ও মালিবাগে পুলিশকে টার্গেট করে হামলা চালনোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইএস এ হামলা চালিয়েছে, এমন কোন তথ্য আমাদের কাছে আসেনি। যদি তর্কের খাতিরে এটাকে জঙ্গি হামলা হিসেবে ধরেও নেই, তাহলে তাদের সক্ষমতা কোন পর্যায়ে বিষয়টি পরিষ্কার। যেহেতু বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন তাই এ হামলাকে জঙ্গি হামলা বলার সময় আসেনি। উপমহাদেশীয় অঞ্চলে আইএস তাদের অধ্যুষিত এলাকা ঘোষণা করেছে, বাংলাদেশের কোন জঙ্গির এর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে কিনাÑ এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইএস হিন্দ নামে তাদের যে প্রভিন্স ঘোষণা করেছে এটা কাশ্মীর কেন্দ্রিক। এর সঙ্গে বাংলাদেশের কোন সম্পর্ক নেই। হলি আর্টিজান হামলার তিন বছর পূর্তিতে মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, দীর্ঘ তদন্ত শেষে আমরা ৮ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছিলাম। হামলায় জড়িত বাকি ১৩ জন বিভিন্ন সময় অভিযানে নিহত হয়েছেন। অভিযুক্ত ৮ জনের মধ্যে দুইজন পলাতক ছিলেন, যারা পরবর্তি সময়ে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। এখন সবাই জেলে রয়েছেন। আমরা বলেছিলাম, তদন্তে আর কারও নাম বেরিয়ে এলে সম্পূরক অভিযোগপত্র দিব। কিন্তু পরবর্তিতে বাকি দুইজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছি আমরা। কিন্তু কারও বক্তব্যে অভিযোগপত্রে সংযুক্ত করার মতো এখনো নতুন কারও নাম আসেনি, নতুন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। ৮ জনের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

সোমবার, ০১ জুলাই ২০১৯ , ১৭ আষাঢ় ১৪২৫, ২৭ শাওয়াল ১৪৪০

অনুকূল পরিবেশ পেলে জঙ্গিরা ঝুঁকির কারণ হতে পারে

সিটিটিসি প্রধান

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

অনুকূল পরিবেশ পেলে জঙ্গিরা ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠতে পারে। জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও জঙ্গিবাদ এখনো আমাদের সমাজে বিদ্যমান। গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কাউন্টার টোরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম।

মনিরুল ইসলাম বলেছেন, হলি আর্টিজান হামলার পরবর্তি সময়ে আমরা জঙ্গি সংগঠনগুলোকে দুর্বল করে দিতে সক্ষম হয়েছি। তাই অতীতেও তাদের কোন অপতৎপরতা সফল হয়নি, ভবিষ্যতেও তারা সফল হবে না। তবে তাদের প্রচেষ্টা থাকলেও বড় ধরনের হামলা চালানোর সক্ষমতা নেই। এ পর্যায়ে জঙ্গি হামলার ঝুঁকির মাত্রা খুব বেশি না হলেও, সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

জঙ্গিবাদকে বৈশ্বিক সমস্যা আখ্যায়িত করে মনিরুল ইসলাম বলেন, যেকোন আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক বা জাতিগত ঘটনার প্রভাব পড়ে জঙ্গিদের উপর। নিউজিল্যান্ডে হামলার পর বাংলাদেশে ঝিমিয়ে পড়া জঙ্গিদের ভেতরে একটা আলোড়ন দেখেছি। এর পরপরই শ্রীলঙ্কায় হামলাও তাদের বড় অনুপ্রেরণা ছিল। তাদের ইনটেনশন থাকলেও ক্যাপাসিটি বিপর্যস্ত করে দেয়ায় তারা কোন ধরনের নাশকতায় সক্ষম হয়নি। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় হলি আর্টিজান হামলার পরবর্তি সময়ে জঙ্গি সংগঠনগুলোর সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে গেছে। তাদের নেতৃত্ব পর্যায়ে ধারাবাহিক সব নেতাই হয়তো কোন অভিযানে নিহত হয়েছেন নয়তো গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছেন। এ পর্যায়ে সবার সমর্থিত বা মনোনীত অবিভক্ত কোন নেতা নেই। ছোট ছোট গ্রুপে বিভক্ত হয়ে তাদের কর্মকান্ড চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আতঙ্কিত না হয়ে সবাই সতর্ক থাকলে জঙ্গিরা কখনোই সফল হবেন না।

সম্প্রতি গুলিস্তান ও মালিবাগে পুলিশকে টার্গেট করে হামলা চালনোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইএস এ হামলা চালিয়েছে, এমন কোন তথ্য আমাদের কাছে আসেনি। যদি তর্কের খাতিরে এটাকে জঙ্গি হামলা হিসেবে ধরেও নেই, তাহলে তাদের সক্ষমতা কোন পর্যায়ে বিষয়টি পরিষ্কার। যেহেতু বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন তাই এ হামলাকে জঙ্গি হামলা বলার সময় আসেনি। উপমহাদেশীয় অঞ্চলে আইএস তাদের অধ্যুষিত এলাকা ঘোষণা করেছে, বাংলাদেশের কোন জঙ্গির এর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে কিনাÑ এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইএস হিন্দ নামে তাদের যে প্রভিন্স ঘোষণা করেছে এটা কাশ্মীর কেন্দ্রিক। এর সঙ্গে বাংলাদেশের কোন সম্পর্ক নেই। হলি আর্টিজান হামলার তিন বছর পূর্তিতে মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, দীর্ঘ তদন্ত শেষে আমরা ৮ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছিলাম। হামলায় জড়িত বাকি ১৩ জন বিভিন্ন সময় অভিযানে নিহত হয়েছেন। অভিযুক্ত ৮ জনের মধ্যে দুইজন পলাতক ছিলেন, যারা পরবর্তি সময়ে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। এখন সবাই জেলে রয়েছেন। আমরা বলেছিলাম, তদন্তে আর কারও নাম বেরিয়ে এলে সম্পূরক অভিযোগপত্র দিব। কিন্তু পরবর্তিতে বাকি দুইজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছি আমরা। কিন্তু কারও বক্তব্যে অভিযোগপত্রে সংযুক্ত করার মতো এখনো নতুন কারও নাম আসেনি, নতুন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। ৮ জনের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।