দুদকের সাবেক ২ পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি পেতে ডিআইজি মিজান ও লন্ডন প্রবাসী আবদুল দায়েস এবং এলপিআরে থাকা দুদক পরিচালক আবদুল আজিজের কথোপকথনের অডিও রেকর্ড প্রকাশ পাওয়ার বিষয়ে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। উপ-পরিচালক ফ্যানফিল্যার নেতৃত্বে দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান ও সালাউদ্দিন আহমেদের টিম গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দুদকের সাবেক দুই পরিচালক আবদুল আজিজ ভূইয়া এবং একেএম জায়েদ হোসেন খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে উপ-পরিচালক আবদুল আজিজ ভূইয়া লন্ডন প্রবাসী আবদুল দয়াছের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা স্বীকার করলেও হোটেলে উপস্থিত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। অন্যদিকে একে এম জায়েদ হোসেন খান দাবি করেন, অডিও রেকর্ডে জাহিদ হোসেন খানের নামে যার নাম এসেছে সে জাহিদ হোসেন খান তিনি নন।

এদিকে দুদক পরিচালককে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে জানতে পুলিশের বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মো. মিজানুর রহমানের দেহরক্ষী হৃদয় ও গাড়িচালক সাদ্দাম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস পাঠিয়েছে দুদক। ঘটনার অনুসন্ধান কর্মকর্তা শেখ মো. ফ্যানফিল্যা স্বাক্ষরিত নোটিসে আগামী ৭ জুলাই দুজনকে দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে।

দুদকের সূত্র জানায়, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তে দায়মুক্তি পেতে দুদক পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা খন্দকার এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেয়া এবং সেই ঘুষের বিষয়ে কথোপকথনের অডিও রেকর্ড প্রকাশের পর একই বিষয়ে আরও ৫টি অডিও রেকর্ড প্রকাশ পায় গণমাধ্যমে। ওই ৫ অডিও কথোপকথনে রাজধানীর একটি হোটেলে ডিআইজি মিজানের সঙ্গে লন্ডন প্রবাসী আবদুল দয়াছ, দুদকের এলপিআরে থাকা পরিচালক আবদুল আজিজ ভূইয়ার সঙ্গে কথোপকথন পাওয়া গেছে। পৃথক আলোচনায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে ডিআইজি মিজানকে কিভাবে রেহাই দেয়া যাবে এসব নিয়ে কথোপকথনে দুদকের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। সেই কথোপকথনের বিষয়ে জানতে এলপিআরে থাকা দুদক পরিচালক আবদুল আজিজকে গতকাল দুদক কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। একই সঙ্গে অবসরে যাওয়া দুদক পরিচালক একেএম জাহেদ হোসেন খানকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে অবসরপ্রাপ্ত পরিচালক একেএম জাহেদ হোসেন খান বলেছেন, অডিও রেকর্ডে জাহিদ হোসেন খান নামে কারও বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি তো জাহিদ হোসেন খান নন। তার নাম জায়েদ হোসেন খান। সুতারাং এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। অন্যদিকে ছুটিতে থাকা পরিচালক আবদুল আজিজ ভূইয়া বলেন, লন্ডন প্রবাসী দয়াছের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে দয়াছের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু যে দিনের কথা উল্লেখ করে দয়াস ও বরখাস্ত হওয়া জিআইজি মিজানের সঙ্গে তার কথা বলার অডিও রেকর্ড প্রকাশ হয়েছে, সেদিন তিনি ওই হোটেলে উপস্থিত ছিলেন না। জিজ্ঞাসাবাদে অডিও কথোপকথনে তার কন্ঠ যে শোনা গেছে সেই কন্ঠ তার নয় বলে দাবি করেন তিনি।

দুদকের তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানান, জিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হলে অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দেয়ার শর্তে অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুদক পরিচালক (বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত) খন্দকার এনামুর বাছিরকে বিভিন্ন সময়ে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেন ডিআইজি মিজান। এ ঘুষ লেনদেনসহ ডিআইজি মিজানের সঙ্গে অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্য পাচার করে একটি গাড়িও দাবি করেন খন্দকার এনামুর বাছির। ডিআইজি মিজানের সঙ্গে যে মোবাইল নম্বরে কথা বলেছেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা খন্দকার এনামুল বাছির সেই দুটি মোবাইল সিম ডিআইজি মিজানের দেহরক্ষী কনস্টেবল হৃদয় এবং গাড়ি চালক কনস্টেবল সাদ্দামের নামে রেজিস্ট্রেশন করা। ওই দুই মোবাইল নাম্বারে ডিআইজি মিজানের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে ম্যাসেজ আদান-প্রদান এবং কথা বলেছেন দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। এছাড়া ডিআইজি মিজানের দাবি অনুযায়ী, দু দফায় ডিআইজি মিজানের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার সময় তার দেহরক্ষী হৃদয় এবং গাড়িচালক সাদ্দাম সাক্ষী ছিলেন। কারণ টাকা দেয়ার পর বাছিরকে ডিআইজি মিজান তার সরকারি গাড়িতে করে গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ডিআইজি মিজানের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানের দায়িত্বে থাকা দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির গত ৩০ মে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে ৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য দিয়ে মামলার সুপারিশ করে অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দেন দুদকে। এরপর ডিআইজি মিজান দাবি করেন ওই অভিযোগ থেকে অব্যহতি দেয়ার কথা বলে এবং তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তা খন্দকার এনামুর বাছির তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এ নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হলে খন্দকার এনামুল বাছিরকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় ঘুষ লেনদেনে জড়িত থাকার অভিযোগে। এ ঘটনা তদন্ত করতে দুদকের উপ-পরিচালক শেখ মো. ফানফিল্যাকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দুদক। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলো- সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান ও সালাউদ্দিন আহমেদ। এর মধ্যে কমিটি খন্দকার এনামুর বাছিরের ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তার বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর মধ্যে ৬ কোটি টাকারও বেশি অবৈধ সম্পদ থাকার অভিযোগে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এর মধ্যে প্রকাশ পায় আরও ৫ টি অডিও রেকর্ড। যেগুলোতে দুদক চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিতি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক আবদুল দয়াছের সঙ্গে ডিআইজি মিজান ও দুদকের এক কর্মকর্তার কথোপকথন প্রকাশ হয়েছে।

সোমবার, ০১ জুলাই ২০১৯ , ১৭ আষাঢ় ১৪২৫, ২৭ শাওয়াল ১৪৪০

ডিআইজি মিজানের অডিও

দুদকের সাবেক ২ পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি পেতে ডিআইজি মিজান ও লন্ডন প্রবাসী আবদুল দায়েস এবং এলপিআরে থাকা দুদক পরিচালক আবদুল আজিজের কথোপকথনের অডিও রেকর্ড প্রকাশ পাওয়ার বিষয়ে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। উপ-পরিচালক ফ্যানফিল্যার নেতৃত্বে দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান ও সালাউদ্দিন আহমেদের টিম গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দুদকের সাবেক দুই পরিচালক আবদুল আজিজ ভূইয়া এবং একেএম জায়েদ হোসেন খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে উপ-পরিচালক আবদুল আজিজ ভূইয়া লন্ডন প্রবাসী আবদুল দয়াছের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা স্বীকার করলেও হোটেলে উপস্থিত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। অন্যদিকে একে এম জায়েদ হোসেন খান দাবি করেন, অডিও রেকর্ডে জাহিদ হোসেন খানের নামে যার নাম এসেছে সে জাহিদ হোসেন খান তিনি নন।

এদিকে দুদক পরিচালককে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে জানতে পুলিশের বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মো. মিজানুর রহমানের দেহরক্ষী হৃদয় ও গাড়িচালক সাদ্দাম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস পাঠিয়েছে দুদক। ঘটনার অনুসন্ধান কর্মকর্তা শেখ মো. ফ্যানফিল্যা স্বাক্ষরিত নোটিসে আগামী ৭ জুলাই দুজনকে দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে।

দুদকের সূত্র জানায়, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তে দায়মুক্তি পেতে দুদক পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা খন্দকার এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেয়া এবং সেই ঘুষের বিষয়ে কথোপকথনের অডিও রেকর্ড প্রকাশের পর একই বিষয়ে আরও ৫টি অডিও রেকর্ড প্রকাশ পায় গণমাধ্যমে। ওই ৫ অডিও কথোপকথনে রাজধানীর একটি হোটেলে ডিআইজি মিজানের সঙ্গে লন্ডন প্রবাসী আবদুল দয়াছ, দুদকের এলপিআরে থাকা পরিচালক আবদুল আজিজ ভূইয়ার সঙ্গে কথোপকথন পাওয়া গেছে। পৃথক আলোচনায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে ডিআইজি মিজানকে কিভাবে রেহাই দেয়া যাবে এসব নিয়ে কথোপকথনে দুদকের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। সেই কথোপকথনের বিষয়ে জানতে এলপিআরে থাকা দুদক পরিচালক আবদুল আজিজকে গতকাল দুদক কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। একই সঙ্গে অবসরে যাওয়া দুদক পরিচালক একেএম জাহেদ হোসেন খানকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে অবসরপ্রাপ্ত পরিচালক একেএম জাহেদ হোসেন খান বলেছেন, অডিও রেকর্ডে জাহিদ হোসেন খান নামে কারও বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি তো জাহিদ হোসেন খান নন। তার নাম জায়েদ হোসেন খান। সুতারাং এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। অন্যদিকে ছুটিতে থাকা পরিচালক আবদুল আজিজ ভূইয়া বলেন, লন্ডন প্রবাসী দয়াছের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে দয়াছের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু যে দিনের কথা উল্লেখ করে দয়াস ও বরখাস্ত হওয়া জিআইজি মিজানের সঙ্গে তার কথা বলার অডিও রেকর্ড প্রকাশ হয়েছে, সেদিন তিনি ওই হোটেলে উপস্থিত ছিলেন না। জিজ্ঞাসাবাদে অডিও কথোপকথনে তার কন্ঠ যে শোনা গেছে সেই কন্ঠ তার নয় বলে দাবি করেন তিনি।

দুদকের তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানান, জিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হলে অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দেয়ার শর্তে অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুদক পরিচালক (বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত) খন্দকার এনামুর বাছিরকে বিভিন্ন সময়ে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেন ডিআইজি মিজান। এ ঘুষ লেনদেনসহ ডিআইজি মিজানের সঙ্গে অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্য পাচার করে একটি গাড়িও দাবি করেন খন্দকার এনামুর বাছির। ডিআইজি মিজানের সঙ্গে যে মোবাইল নম্বরে কথা বলেছেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা খন্দকার এনামুল বাছির সেই দুটি মোবাইল সিম ডিআইজি মিজানের দেহরক্ষী কনস্টেবল হৃদয় এবং গাড়ি চালক কনস্টেবল সাদ্দামের নামে রেজিস্ট্রেশন করা। ওই দুই মোবাইল নাম্বারে ডিআইজি মিজানের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে ম্যাসেজ আদান-প্রদান এবং কথা বলেছেন দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। এছাড়া ডিআইজি মিজানের দাবি অনুযায়ী, দু দফায় ডিআইজি মিজানের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার সময় তার দেহরক্ষী হৃদয় এবং গাড়িচালক সাদ্দাম সাক্ষী ছিলেন। কারণ টাকা দেয়ার পর বাছিরকে ডিআইজি মিজান তার সরকারি গাড়িতে করে গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ডিআইজি মিজানের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানের দায়িত্বে থাকা দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির গত ৩০ মে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে ৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য দিয়ে মামলার সুপারিশ করে অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দেন দুদকে। এরপর ডিআইজি মিজান দাবি করেন ওই অভিযোগ থেকে অব্যহতি দেয়ার কথা বলে এবং তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তা খন্দকার এনামুর বাছির তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এ নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হলে খন্দকার এনামুল বাছিরকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় ঘুষ লেনদেনে জড়িত থাকার অভিযোগে। এ ঘটনা তদন্ত করতে দুদকের উপ-পরিচালক শেখ মো. ফানফিল্যাকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দুদক। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলো- সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান ও সালাউদ্দিন আহমেদ। এর মধ্যে কমিটি খন্দকার এনামুর বাছিরের ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তার বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর মধ্যে ৬ কোটি টাকারও বেশি অবৈধ সম্পদ থাকার অভিযোগে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এর মধ্যে প্রকাশ পায় আরও ৫ টি অডিও রেকর্ড। যেগুলোতে দুদক চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিতি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক আবদুল দয়াছের সঙ্গে ডিআইজি মিজান ও দুদকের এক কর্মকর্তার কথোপকথন প্রকাশ হয়েছে।