মা-ছেলে খুনের পরিকল্পনাকারীসহ ৭ জন গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার আলোচিত মা-ছেলে জোড়া খুনের মূল পরিকল্পনাকারীসহ হত্যার সঙ্গে জড়িত ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের জবানবন্দি অনুযায়ী হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী তার কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। গ্রেফতারকৃতরা হলোÑ মূল পরিকল্পনাকারী আবুল কালাম আজাদ (৭০), রহমত উল্লাহ পান্না (৩৮), রফিকুল ইসলাম (৫৭), মনছুর আলী (২২), হাফিজুর ইলাম (৩৫), দেলোয়ার হোসেন দুলাল (৫০) এবং সাইদুর রহমান বাচ্চু (৩৮)।

পুলিশ সুপার জানান বালু মহালের আধিপত্য বিস্তার এবং একটি মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে গত ২৭ জুন রাতে আসামি আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে উল্লাপাড়া উপজেলার মহেষপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আলতাব হোসেন মুকুল (৬০) ও তার মা রেজিয়া খাতুনকে (৯০) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। তিনি বলেন ঘটনার কয়েকদিন আগে আবুল কালামের নেতৃত্বে স্থানীয় বালু মহালে বসে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় এবং হত্যাকারীদের জন্য চাঁদা তোলা হয়। পরে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নিহত আলতাব হোসেনের ভাগ্নে হাফিজুর ইসলাম ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে আলতাবের বাড়িতে গিয়ে দরজায় টোকা দেয়। এ সময় আলতাব ভাত খাচ্ছিল। ভেতর থেকে কে, জিজ্ঞাসা করলে হাফিজুর তার পরিচয় দেয়। পরে দরজা খুলে দিলে হাফিজুরের পেছনে থাকা আসামিরা ঘরের ভেতর প্রবেশ করে আলতাবকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় মা রেজিয়া খাতুন হাফিজুরকে চিনে ফেলে চিৎকার দিলে তারা রেজিয়াকেও উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে মা-ছেলে উভয়ই নিহত হয়। সিরাজগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহসান হাবিবের আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আসামিরা হত্যার কথা স্বীকার করে এসব তথ্য দেয়। প্রেস ব্রিফিংকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ উপস্থিত ছিলেন। এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন আবুল কালামের নামে ১৯৭৬ সালের একটি হত্যা মামলা রয়েছে।

উল্লেখ্য, হত্যাকান্ডের পরদিন আলতাবের স্ত্রী মোছা. শামীম আরা বাদী হয়ে ২১ জনকে আসামি করে উল্লাপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

সোমবার, ০১ জুলাই ২০১৯ , ১৭ আষাঢ় ১৪২৫, ২৭ শাওয়াল ১৪৪০

সিরাজগঞ্জ

মা-ছেলে খুনের পরিকল্পনাকারীসহ ৭ জন গ্রেফতার

জেলা বার্তা পরিবেশক (সিরাজগঞ্জ)

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার আলোচিত মা-ছেলে জোড়া খুনের মূল পরিকল্পনাকারীসহ হত্যার সঙ্গে জড়িত ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের জবানবন্দি অনুযায়ী হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী তার কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। গ্রেফতারকৃতরা হলোÑ মূল পরিকল্পনাকারী আবুল কালাম আজাদ (৭০), রহমত উল্লাহ পান্না (৩৮), রফিকুল ইসলাম (৫৭), মনছুর আলী (২২), হাফিজুর ইলাম (৩৫), দেলোয়ার হোসেন দুলাল (৫০) এবং সাইদুর রহমান বাচ্চু (৩৮)।

পুলিশ সুপার জানান বালু মহালের আধিপত্য বিস্তার এবং একটি মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে গত ২৭ জুন রাতে আসামি আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে উল্লাপাড়া উপজেলার মহেষপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আলতাব হোসেন মুকুল (৬০) ও তার মা রেজিয়া খাতুনকে (৯০) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। তিনি বলেন ঘটনার কয়েকদিন আগে আবুল কালামের নেতৃত্বে স্থানীয় বালু মহালে বসে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় এবং হত্যাকারীদের জন্য চাঁদা তোলা হয়। পরে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নিহত আলতাব হোসেনের ভাগ্নে হাফিজুর ইসলাম ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে আলতাবের বাড়িতে গিয়ে দরজায় টোকা দেয়। এ সময় আলতাব ভাত খাচ্ছিল। ভেতর থেকে কে, জিজ্ঞাসা করলে হাফিজুর তার পরিচয় দেয়। পরে দরজা খুলে দিলে হাফিজুরের পেছনে থাকা আসামিরা ঘরের ভেতর প্রবেশ করে আলতাবকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় মা রেজিয়া খাতুন হাফিজুরকে চিনে ফেলে চিৎকার দিলে তারা রেজিয়াকেও উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে মা-ছেলে উভয়ই নিহত হয়। সিরাজগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহসান হাবিবের আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আসামিরা হত্যার কথা স্বীকার করে এসব তথ্য দেয়। প্রেস ব্রিফিংকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ উপস্থিত ছিলেন। এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন আবুল কালামের নামে ১৯৭৬ সালের একটি হত্যা মামলা রয়েছে।

উল্লেখ্য, হত্যাকান্ডের পরদিন আলতাবের স্ত্রী মোছা. শামীম আরা বাদী হয়ে ২১ জনকে আসামি করে উল্লাপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।