১৯ ঘণ্টায়ও জ্ঞান ফেরেনি
সাতক্ষীরায় দুর্বৃত্তদের আঘাতে গুরুতর আহত কিশোর ভ্যানচালক শাহীনের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। গত শনিবার রাতে তিন ঘণ্টা চলে তার অপারেশন। তবে অপারেশনের পর ১৯ ঘণ্টায়ও জ্ঞান ফেরেনি তার। বর্তমানে তাকে ঢামেক হাসপাতালের জেনারেল আইসিইউতে রাখা হয়েছে আহত শাহীনের অপারেশন হলেও সে শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অসিত চন্দ্র সরকার বলেন, শাহীনের মাথার হাড় ফেটে ভেতরের দিকে ঢুকে গেছে। শনিবার ভর্তি হওয়ার পরপরই অপারেশন হয়েছে। ওর ইনজুরিটা একটু ক্রিটিক্যাল, তাই আইসিইউতে আছে। ওর চিকিৎসায় সাত সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এদিকে চেতনা থাকা অবস্থায় মাঝে মাঝেই চিৎকার দিয়ে শাহীন বলে উঠছিল- এত করে কলাম, আমারে মারিস না; ওরা কয় তোর নিস্তার নেই।
শাহীনের মা মোসাম্মত খাদিজা জানান, চেতনা থাকা অবস্থায় মাঝে মাঝেই চিৎকার করে উঠত শাহীন। বলে উঠত, দুর্বৃত্তদের কাছে তার মিনতির কথা। শাহীনকে গত শনিবার রাতে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। রাতে অপারেশন শেষে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শাহীনের মা খাদিজা বলেন, গত শুক্রবার সকালে ৭টার সময়ে শাহীন ভ্যান নিয়ে বের হয়ে যায়। দুপুরে গ্রামের মেম্বার ফোন করে শাহীনের কথা জানায়। প্রথমে শুনেছিলাম ও মারা গেছে। পরে ওরে আমরা খুলনা হাসপাতালে নিয়ে যাই। পথের মধ্যেই বারবার চিৎকার করে উঠতেছিল- এত করে কলাম, আমারে মারিস না; ওরা কয় তোর নিস্তার নেই।
যশোরের কেশবপুরের গোলাঘাটা দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শাহীন গত শুক্রবার দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হয়। ওই দিন যাত্রীবেশী কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার ভ্যানটি ভাড়া নেয়। শাহীন তাদের নিয়ে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়ার নামক এলাকায় যাচ্ছিল। পথে একটি পাটক্ষেতের পাশে শাহীনের ভ্যানটি দাঁড় করায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা শাহীনের মাথায় আঘাত করে ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায়। আঘাত ও রক্তক্ষরণের ফলে অচেতন হয়ে পড়েছিল শাহীন। পরে জ্ঞান ফিরলে কাঁদতে শুরু করে সে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানায় খবর দেয়।
শাহীনের খালু রবিউল বাশার বলেন, ভ্যান ও শাহীনের সঙ্গে থাকা টাকা, মোবাইল ফোন সবই নিয়ে গেছে হামলাকারীরা। শাহীন মারা গেছে ভেবে ওরা ফেলে রেখে চলে যায়। প্রথমে শাহীনকে সাতক্ষীরা হাসপাতালের মর্গে নিয়ে রাখা হয়। পরে স্থানীয় কয়েকজন দেখে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। শাহীনকে দ্রুত খুলনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়। খুলনার চিকিৎসকরা জানান, শাহীনের মাথায় মারাত্মক জখম হয়েছে, ঢাকা মেডিকেলে নিতে হবে। শনিবার ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয় শাহীনকে।
কেশবপুর থানার মঙ্গলকোট গ্রামে শাহীনদের বাড়ি। বাবা হায়দার আলী মোড়ল একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ব্যাটারিচালিত ভ্যান কিনেছিলেন। বাড়তি রোজগারের আশায় পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে শাহীনও ভ্যান নিয়ে বেরিয়ে পড়ত। মা খাদিজা বলেন, তার ছেলে পড়াশোনায় ভালো। ছোট দুই বোনের পড়াশোনার প্রতিও নজর ছিল শাহীনের। সংসারের উপার্জনের বাহনটি ছিনতাই হলেও মায়ের চিন্তা এখন শুধুই ছেলের সুস্থতা নিয়ে। কখন ছেলের জ্ঞান ফিরবে, সেই আশায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের বারান্দায় স্বজনদের সঙ্গে অপেক্ষা করছেন খাদিজা। তিনি বলেন, ছেলে আমার জানে বাঁচি গেছে। আল্লাহ এখন ওকে সুস্থ করে দিলেই আমার শান্তি।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, হাসপাতালের পক্ষ থেকেই তার চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শাহীনের চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যে নিউরোসার্জারি বিভাগীয় প্রধানকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। শাহীনের চিকিৎসা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকেও সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। জানা গেছে, যশোরের কেশবপুরের গোলাখালী মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র শাহীন। তার মাদ্রাসায় পরীক্ষা চলছিল। সে পাঁচটি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। গত শুক্রবার সকালে ব্যাটারিচালিত ভ্যান নিয়ে রোজগারে বের হয়েছিল। দুপুরে দুর্বৃত্তরা ভ্যানটি ভাড়া নেয়। পরে ধানদিয়া গ্রামের হামজামতলা মাঠে ঢুকে একটি পাটক্ষেতের পাশে দুর্বৃত্তরা শাহীনের মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে সে। জ্ঞান ফিরে কাঁদতে থাকলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানায় খবর দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে খুলনার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে আনা হয়। গত শনিবার তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। রাতে ভর্তির পর তার অপারেশন করেন চিকিৎসকরা।
শাহীনের বাবা হায়দার আলী মোড়ল বাদী হয়ে গত শনিবার পাটকেলঘাটা থানায় মামলা করেছেন। মামলার পর অপরাধীদের ধরতে সাতক্ষীরা ও যশোরের পুলিশ যৌথ অভিযান চালাচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, গত শনিবার রাত থেকে অভিযান শুরু করেছে। দ্রুতই অপরাধীদের গ্রেফতার করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম বলেন, একজন ইতালি প্রবাসী তার কাছে শাহীনের বাবা-মাকে দেয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন। এ দিকে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, যশোর থেকে ঢাকা মেডিকেলে আসা এবং অপারেশন থেকে শুরু করে চিকিৎসার সব কাজে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরা সহায়তা করেছেন। তিনি পোস্টে আরও লেখেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী তার বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়াও যোগাযোগ রাখছিলেন।
সোমবার, ০১ জুলাই ২০১৯ , ১৭ আষাঢ় ১৪২৫, ২৭ শাওয়াল ১৪৪০
১৯ ঘণ্টায়ও জ্ঞান ফেরেনি
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
সাতক্ষীরায় দুর্বৃত্তদের আঘাতে গুরুতর আহত কিশোর ভ্যানচালক শাহীনের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। গত শনিবার রাতে তিন ঘণ্টা চলে তার অপারেশন। তবে অপারেশনের পর ১৯ ঘণ্টায়ও জ্ঞান ফেরেনি তার। বর্তমানে তাকে ঢামেক হাসপাতালের জেনারেল আইসিইউতে রাখা হয়েছে আহত শাহীনের অপারেশন হলেও সে শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অসিত চন্দ্র সরকার বলেন, শাহীনের মাথার হাড় ফেটে ভেতরের দিকে ঢুকে গেছে। শনিবার ভর্তি হওয়ার পরপরই অপারেশন হয়েছে। ওর ইনজুরিটা একটু ক্রিটিক্যাল, তাই আইসিইউতে আছে। ওর চিকিৎসায় সাত সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এদিকে চেতনা থাকা অবস্থায় মাঝে মাঝেই চিৎকার দিয়ে শাহীন বলে উঠছিল- এত করে কলাম, আমারে মারিস না; ওরা কয় তোর নিস্তার নেই।
শাহীনের মা মোসাম্মত খাদিজা জানান, চেতনা থাকা অবস্থায় মাঝে মাঝেই চিৎকার করে উঠত শাহীন। বলে উঠত, দুর্বৃত্তদের কাছে তার মিনতির কথা। শাহীনকে গত শনিবার রাতে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। রাতে অপারেশন শেষে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শাহীনের মা খাদিজা বলেন, গত শুক্রবার সকালে ৭টার সময়ে শাহীন ভ্যান নিয়ে বের হয়ে যায়। দুপুরে গ্রামের মেম্বার ফোন করে শাহীনের কথা জানায়। প্রথমে শুনেছিলাম ও মারা গেছে। পরে ওরে আমরা খুলনা হাসপাতালে নিয়ে যাই। পথের মধ্যেই বারবার চিৎকার করে উঠতেছিল- এত করে কলাম, আমারে মারিস না; ওরা কয় তোর নিস্তার নেই।
যশোরের কেশবপুরের গোলাঘাটা দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শাহীন গত শুক্রবার দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হয়। ওই দিন যাত্রীবেশী কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার ভ্যানটি ভাড়া নেয়। শাহীন তাদের নিয়ে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়ার নামক এলাকায় যাচ্ছিল। পথে একটি পাটক্ষেতের পাশে শাহীনের ভ্যানটি দাঁড় করায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা শাহীনের মাথায় আঘাত করে ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায়। আঘাত ও রক্তক্ষরণের ফলে অচেতন হয়ে পড়েছিল শাহীন। পরে জ্ঞান ফিরলে কাঁদতে শুরু করে সে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানায় খবর দেয়।
শাহীনের খালু রবিউল বাশার বলেন, ভ্যান ও শাহীনের সঙ্গে থাকা টাকা, মোবাইল ফোন সবই নিয়ে গেছে হামলাকারীরা। শাহীন মারা গেছে ভেবে ওরা ফেলে রেখে চলে যায়। প্রথমে শাহীনকে সাতক্ষীরা হাসপাতালের মর্গে নিয়ে রাখা হয়। পরে স্থানীয় কয়েকজন দেখে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। শাহীনকে দ্রুত খুলনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়। খুলনার চিকিৎসকরা জানান, শাহীনের মাথায় মারাত্মক জখম হয়েছে, ঢাকা মেডিকেলে নিতে হবে। শনিবার ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয় শাহীনকে।
কেশবপুর থানার মঙ্গলকোট গ্রামে শাহীনদের বাড়ি। বাবা হায়দার আলী মোড়ল একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ব্যাটারিচালিত ভ্যান কিনেছিলেন। বাড়তি রোজগারের আশায় পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে শাহীনও ভ্যান নিয়ে বেরিয়ে পড়ত। মা খাদিজা বলেন, তার ছেলে পড়াশোনায় ভালো। ছোট দুই বোনের পড়াশোনার প্রতিও নজর ছিল শাহীনের। সংসারের উপার্জনের বাহনটি ছিনতাই হলেও মায়ের চিন্তা এখন শুধুই ছেলের সুস্থতা নিয়ে। কখন ছেলের জ্ঞান ফিরবে, সেই আশায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের বারান্দায় স্বজনদের সঙ্গে অপেক্ষা করছেন খাদিজা। তিনি বলেন, ছেলে আমার জানে বাঁচি গেছে। আল্লাহ এখন ওকে সুস্থ করে দিলেই আমার শান্তি।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, হাসপাতালের পক্ষ থেকেই তার চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শাহীনের চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যে নিউরোসার্জারি বিভাগীয় প্রধানকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। শাহীনের চিকিৎসা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকেও সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। জানা গেছে, যশোরের কেশবপুরের গোলাখালী মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র শাহীন। তার মাদ্রাসায় পরীক্ষা চলছিল। সে পাঁচটি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। গত শুক্রবার সকালে ব্যাটারিচালিত ভ্যান নিয়ে রোজগারে বের হয়েছিল। দুপুরে দুর্বৃত্তরা ভ্যানটি ভাড়া নেয়। পরে ধানদিয়া গ্রামের হামজামতলা মাঠে ঢুকে একটি পাটক্ষেতের পাশে দুর্বৃত্তরা শাহীনের মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে সে। জ্ঞান ফিরে কাঁদতে থাকলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানায় খবর দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে খুলনার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে আনা হয়। গত শনিবার তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। রাতে ভর্তির পর তার অপারেশন করেন চিকিৎসকরা।
শাহীনের বাবা হায়দার আলী মোড়ল বাদী হয়ে গত শনিবার পাটকেলঘাটা থানায় মামলা করেছেন। মামলার পর অপরাধীদের ধরতে সাতক্ষীরা ও যশোরের পুলিশ যৌথ অভিযান চালাচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, গত শনিবার রাত থেকে অভিযান শুরু করেছে। দ্রুতই অপরাধীদের গ্রেফতার করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম বলেন, একজন ইতালি প্রবাসী তার কাছে শাহীনের বাবা-মাকে দেয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন। এ দিকে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, যশোর থেকে ঢাকা মেডিকেলে আসা এবং অপারেশন থেকে শুরু করে চিকিৎসার সব কাজে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরা সহায়তা করেছেন। তিনি পোস্টে আরও লেখেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী তার বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়াও যোগাযোগ রাখছিলেন।