পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের রমজানপুর গ্রামে জঙ্গলে নিয়ে ১১ বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত শনিবার রাতে নির্যাতনের শিকার শিশুর বাবা রুহুল আমিন বাদী হয়ে একই গ্রামের আনোয়ার সরদারের ছেলে শাহীন সরদারকে (৩০) আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।
মহিপুর থানার ওসি মো. সাইদুল ইসলাম জানান, মামলা দায়েরের পরই পুলিশ আসামিকে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। বর্তমান নির্যাতনের শিকার পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মামলা ও শিশুর পরিবার জানান, গত ২৬ জুন বিকালে মায়ের জন্য পান-সুপারি ও ভেঙে যাওয়া মোবাইলের ডিসপ্লে ঠিক করতে রমজানপুর রগ্রাম থেকে পাশ্ববর্তী তেগাছিয়া বাজারে যায় ওই কিশোরী। সন্ধ্যায় বাসায় ফেরার পথে রমজানপুর গ্রামের আনোয়ার সরদারের ছেলে শাহীন সরদার (৩০) তার মুখ চেপে ধরে রাস্তা থেকে কিছু দূরে জঙ্গলে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে শাহীন পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় কিশোরীকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
নির্যাতনের শিকার শিশুর ভগ্নিপতি জহিরুল ইসলাম জানান, শিশুটি ঠিকমতো খেতেও পারছে না। মুখ চেপে নিয়ে যাওয়ায় মুখে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে এবং এ ঘটনার পর সে চরম আতংকে রয়েছে। মানুষ দেখলেই আঁতকে উঠছে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা-মাও ভেঙে পড়েছে।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জিয়াউল করিম সাংবাদিকদের জানান, হাসপাতালে ভিকটিমের সব পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। দু-একদিনের মধ্যেই এ সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করা হবে।
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রামের ২৫ বছরের এক প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণের শিকার হয়ে নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিচার না পেয়ে অবশেষে আদালতে মামলা করে।
জানা যায়, একই গ্রামের মিরুজ মোল্যার ছেলে সুমন (২০) বিয়ের প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করে আসছে। ঘটনার একপর্যায়ে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। অন্তঃসত্ত্বার ৩-৪ মাস পর গর্ভধারণের বিষয়টি শারীরিকভাবে প্রকাশ পেলে ছেলে ও মেয়ের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন গোপনে আপস-মীমাংসার চেষ্টা চলে। সে চেষ্টা ব্যর্থ হলে সামাজিক বিচার প্রত্যাশা করে স্থানীয় মাতবরদের দ্বারস্থ হলে সে প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়। অবশেষে গত ২৪ জুন মেয়ের বাবা বাদী হয়ে ফরিদপুর ৭নং আমলি আদালতে ধর্ষক সুমন, সুমনের পিতা মো. মিরাজ মোল্লা ও মা রহিকে আসামি করে মামলা করেন।
বাদীপক্ষের উকিল অ্যাড. মিরাজ শরিফ বলেন, বোয়ালমারী থানার ওসিকে মামলা এফআইআর করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বোয়ালমারী থানার ওসি একেএম শামীম হাসান বলেন, এখন পর্যন্ত আদালতের নির্দেশনা হাতে পাইনি। পেলেই এফআইআর করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত সুমনের মা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার সঙ্গে তার ছেলে একা জড়িত নয়, আরও চারজন জড়িত ছিল বলে তিনি শুনেছেন।
প্রতিবন্ধী মেয়ের বাবা বলেন, তার অসহায় প্রতিবন্ধী মেয়েটি এখন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তিনি এই ঘটনার বিচার চেয়ে মানুষের পেছনে পেছনে ঘুরেছি। কোথাও বিচার না পেয়ে নিরুপায় হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে। আমি এর ন্যায়বিচার চাই।
সোমবার, ০১ জুলাই ২০১৯ , ১৭ আষাঢ় ১৪২৫, ২৭ শাওয়াল ১৪৪০
প্রতিনিধি, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের রমজানপুর গ্রামে জঙ্গলে নিয়ে ১১ বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত শনিবার রাতে নির্যাতনের শিকার শিশুর বাবা রুহুল আমিন বাদী হয়ে একই গ্রামের আনোয়ার সরদারের ছেলে শাহীন সরদারকে (৩০) আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।
মহিপুর থানার ওসি মো. সাইদুল ইসলাম জানান, মামলা দায়েরের পরই পুলিশ আসামিকে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। বর্তমান নির্যাতনের শিকার পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মামলা ও শিশুর পরিবার জানান, গত ২৬ জুন বিকালে মায়ের জন্য পান-সুপারি ও ভেঙে যাওয়া মোবাইলের ডিসপ্লে ঠিক করতে রমজানপুর রগ্রাম থেকে পাশ্ববর্তী তেগাছিয়া বাজারে যায় ওই কিশোরী। সন্ধ্যায় বাসায় ফেরার পথে রমজানপুর গ্রামের আনোয়ার সরদারের ছেলে শাহীন সরদার (৩০) তার মুখ চেপে ধরে রাস্তা থেকে কিছু দূরে জঙ্গলে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে শাহীন পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় কিশোরীকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
নির্যাতনের শিকার শিশুর ভগ্নিপতি জহিরুল ইসলাম জানান, শিশুটি ঠিকমতো খেতেও পারছে না। মুখ চেপে নিয়ে যাওয়ায় মুখে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে এবং এ ঘটনার পর সে চরম আতংকে রয়েছে। মানুষ দেখলেই আঁতকে উঠছে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা-মাও ভেঙে পড়েছে।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জিয়াউল করিম সাংবাদিকদের জানান, হাসপাতালে ভিকটিমের সব পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। দু-একদিনের মধ্যেই এ সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করা হবে।
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রামের ২৫ বছরের এক প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণের শিকার হয়ে নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিচার না পেয়ে অবশেষে আদালতে মামলা করে।
জানা যায়, একই গ্রামের মিরুজ মোল্যার ছেলে সুমন (২০) বিয়ের প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করে আসছে। ঘটনার একপর্যায়ে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। অন্তঃসত্ত্বার ৩-৪ মাস পর গর্ভধারণের বিষয়টি শারীরিকভাবে প্রকাশ পেলে ছেলে ও মেয়ের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন গোপনে আপস-মীমাংসার চেষ্টা চলে। সে চেষ্টা ব্যর্থ হলে সামাজিক বিচার প্রত্যাশা করে স্থানীয় মাতবরদের দ্বারস্থ হলে সে প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়। অবশেষে গত ২৪ জুন মেয়ের বাবা বাদী হয়ে ফরিদপুর ৭নং আমলি আদালতে ধর্ষক সুমন, সুমনের পিতা মো. মিরাজ মোল্লা ও মা রহিকে আসামি করে মামলা করেন।
বাদীপক্ষের উকিল অ্যাড. মিরাজ শরিফ বলেন, বোয়ালমারী থানার ওসিকে মামলা এফআইআর করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বোয়ালমারী থানার ওসি একেএম শামীম হাসান বলেন, এখন পর্যন্ত আদালতের নির্দেশনা হাতে পাইনি। পেলেই এফআইআর করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত সুমনের মা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার সঙ্গে তার ছেলে একা জড়িত নয়, আরও চারজন জড়িত ছিল বলে তিনি শুনেছেন।
প্রতিবন্ধী মেয়ের বাবা বলেন, তার অসহায় প্রতিবন্ধী মেয়েটি এখন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তিনি এই ঘটনার বিচার চেয়ে মানুষের পেছনে পেছনে ঘুরেছি। কোথাও বিচার না পেয়ে নিরুপায় হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে। আমি এর ন্যায়বিচার চাই।