কৈশোর ও স্বাস্থ্য

ডা. মিনতি অধিকারী

মানসিক ও মনস্তাত্ত্বিক বিকাশ বা পরিবর্তনসমূহ-

কিশোর-কিশোরীদের মনস্তত্ত্ব : কৈশোরে কিছু কগনিটিভ বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ ঘটে যেমন- তাদের প্রত্যক্ষ (egocentric) চিন্তা চেতনার বদলে এবসট্রাক্ট এডভানসড চিন্তা দেখা দেয় ফলে বিস্তৃত পটভূমিতে (wider perspective) তারা ভাবতে শেখে। কিছু মানসিক পরিবর্তন আসে যেমন সে নিজের পছন্দ-অপছন্দ ও কমিটমেন্ট সম্পর্কে সচেতন হয়। জটিল ও সাহসী কাজে উদ্যোগী হয়। চায় কাজের স্বীকৃতি। abstract চিন্তা করার প্রবণতা জন্মায়। আগে যা সহজ ভাবে দেখত, এখন তা অন্য ভাবে দেথে। কখনো হয়ত মরালিটির সঙ্গে ও সংঘাত বাধে। তাদের চিন্তাশক্তি দুর্বল। কোনো প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেতে বন্ধু, পিতামাতা বা আত্মীয়ের সাহায্য প্রয়োজন হয়, যে কোনো চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে তারাই পারে।

কিছু ইমোশনাল, শারীরিক ও আচরনগত পরিবর্তন ও আসে এ সময়; যা একদিকে কনফ্লিক্ট অন্যদিকে ইতিবাচক ব্যক্তিত্ব গঠনের সহায়ক। বাড়ির পরিবেশ তাদের সহায়ক রাখতে হবে নয়ত কিশোর-কিশোরী ঝুঁকিপূর্ণ আচরণে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে- যেমন ধূমপান, মাদক, সন্ত্রাস, অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হবে। তারা খুব বিদ্রোহী ও ক্ষিপ্ত হয়ে যাবে। কিশোর-কিশোরীদের চিন্তাধারা হয় বিমূর্ত, আদর্শিক ও লজিক্যাল। তখন তারা ভাবে কেউ তাদের বুঝতে পারছে না। একটা একক ব্যতিক্রমী সামাজিক পরিচিতির জন্য তারা ব্যাকুল হয়ে ওঠে। পিতা-মাতার সঙ্গে কনফ্লিক্ট দেথা দেয়- সাধারণত পড়াশুনা, ঘরেফেরা, প্রাইভেসির অধিকার নিয়ে। পিতামাতার সঙ্গে বন্ধন শিথিল হয়ে যায়; বাবা মার চেয়ে বন্ধুবান্ধবের ওপর নির্ভর করতে পছন্দ করে। ফলে বাবা-মা তথা পরিবারের সঙ্গে তাদের দূরত্ব বেড়ে যায়। তবে পিয়ারগ্রুপ ইনফ্লুয়েন্স ইতিবাচক হতে পারে যেমন- সোসাল স্কিল [ইমপেথি, শেয়ারিং, নেতৃত্ব গঠন, পড়াশুনায় উন্নতি] আবার নেতিবাচক ও হতে পারে যেমন- নৈতিক অবক্ষয়, চুরি, ধূমপান, ড্রাগ অসক্তি, উত্তেজনা বা আক্রমণাত্মক ব্যবহার।

এ সময়ে কিশোর-কিশোরীরা ভিন্নভাবে সবকিছু ভাবতে ও অনুভব করতে শেখে-তার পরিবার, বন্ধু, সতীর্থ সবাইকে নতুন মনে হয়। তুমি তাদের সঙ্গে যা করছ, যেভাবে তুমি নিজেকে ড্রেসআপ করছ, যে বিষয়ে তুমি আলোচনা করছ সব কিছুই নতুন। একেই বলে সামাজিক বা আচরণগত পরিবর্তন। কিশোর-কিশোরীরা জীবনকে ভিন্নভাবে চিন্তা ও বিশ্লেষণ করতে শুরু করে। পারিবারিক গন্ডির বাইরে গিয়ে তারা সমবয়সীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। ফলে পারিবারিক সম্পর্কেও পরিবর্তন আসে। সন্তানের কাছে পিতামাতার গুরুত্ব কমে আসে যেহেতু পরিবারের বাইরে তাদের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

পিতামাতার সঙ্গে সন্তানের প্রথমবারের মতো মতানৈক্য শুরু হয় কেননা উভয়ের ভাবনা চিন্তা ভিন্নধারায় প্রবাহিত হয়। তারা একে অন্যের মানসিক চিন্তা চেতনার ভাগ নিতে ব্যর্থ হয়। সন্তান তার সময়কেও শেয়ার করে বন্ধুর সঙ্গে কাটিয়ে বা তার সঙ্গে ফোনে গল্প করে। যদিও এসব ব্যাপারে পিতামাতা বিরক্তি বোধ করেন তবুও তাদের বুঝতে হবে যে এভাবেই শিশুর স্বাধীন সত্ত্বার বিকাশ ঘটে। সে আত্মনির্ভরশীল হতে শেখে।

পরিবার থেকে সে মূল্যবোধ অর্জন করে কিন্তু পোশাক পরিচ্ছদে সে বন্ধুদের অনুকরণ করে। পারিবারিক গন্ডির বাইরে তার এই বন্ধুত্ব তাকে শেখায় কি করে সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হয়। এবং পারিবারিক প্রথার বাইরে সে একটি স্বকীয় সত্ত্বার বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হয়।

সন্তানের এ আচরণে পিতামাতা নিজেদের অনেক সময় রিজেক্টেড মনে করেন। কিন্তু সন্তানের স্বকীয় সত্ত্বার বিকাশে এসবের প্রয়োজন আছে।

যদিও পিতা-মাতার কথায় অনেক যুক্তি আছে তবুও সন্তান হয়ত তা মানতে চাইবে না। তবে এই রিজেক্সন, এই কনফ্লিক্ট ব্যক্তিত্বের সংঘাত নয়; বা এমন নয় যে সন্তান পিতা-মাতা কে অপছন্দ করে। ব্যাপারটা অতি সাধারণ আর তা হল এই যে পিতা-মাতা তার অভিভাবক এবং সে চায় এখন থেকে নিজের ইচ্ছা অনিচ্ছা দ্বারা পরিচালিত হতে। নিজেকে স্বাধীন করতে।

স্বাধীনভাবে পরিচালিত হতে গিয়ে নিজের বুদ্ধির জোরে কাজ করতে গিয়ে সে যখন সফল হয় তখন দারুণ খুশি। আর যখন ব্যর্থ হয় তখন সে ভেঙ্গে পরে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে, আবার পিতা-মাতার শরণ নেয়। ফলে তার ব্যবহারে ও আচরণে আসে অভূতপূর্ব পরিবর্তন। কখনও সে নিজেকে ভাবে অভিজ্ঞ আবার কখনো অসফল। ফলে তার মেজাজ বিগড়ে যায়। যখন সে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরে, আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে, অসুস্থ হয়ে পরে তখন তা পরিবারির জন্য বিপজ্জনক হয়ে দেখা দিতে পারে। কিশোর-কিশোরীরা তাদের ব্যর্থতার জন্য দুঃখিত না হয়ে বরং অভিমানী হয়ে উঠতে পারে। মুখ ভার করে থাকতে পারে। তখন বাবা-মার উচিত সহানুভূতির সঙ্গে তাদের ব্যর্থতা ঘুচিয়ে দেয়া। তাদের দুঃখের ভার আপনার নিজের কাঁধে নেয়া।

বয়োসন্ধি এমন একটা সময় যখন কিশোর সন্তানটি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে পৃথিবীকে জানতে এবং এ পৃথিবীর মাঝে তার জায়গাটুকু খুঁজে পেতে। সে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা লাভে রত হয় যা তার জন্য রিস্কি এমনকি বিপজ্জনক হতে পারে।

তবে আশার কথা এই যে অধিকাংশ কিশোর- কিশোরী মিউজিক, খেলাধূলা প্রভৃতিতে আনন্দ লাভ করে যাতে শারীরিক আঘাত প্রাপ্তির সম্ভাবনা কম কিন্তু এনার্জি খরচ হয় প্রচুর।

বিপদের আশঙ্কা থাকে তখনই যখন তারা বিপদগামী বন্ধুদের সঙ্গে মিশে পরীক্ষামূলকভাবে বা নিছক কৌতুগলের বশে মদ, সিগ্রেট বা ড্রাগ গ্রহণ শুরু করে। কিন্তু পরবর্তীতে ড্রাগের নেশায় আসক্ত হয়। তবে কিশোর-কিশোরী নিজে নিজেই এসবে আসক্ত হলে চিন্তার কারণ বেশি, কেননা সে বাবা-মার বারণ শুনবে না। তবে দলের সঙ্গে নেশা করলে বড়ভাইদের বারণ সে অধিক আগ্রহে শুনতে পারে।

সোমবার, ০১ জুলাই ২০১৯ , ১৭ আষাঢ় ১৪২৫, ২৭ শাওয়াল ১৪৪০

কৈশোর ও স্বাস্থ্য

ডা. মিনতি অধিকারী

মানসিক ও মনস্তাত্ত্বিক বিকাশ বা পরিবর্তনসমূহ-

কিশোর-কিশোরীদের মনস্তত্ত্ব : কৈশোরে কিছু কগনিটিভ বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ ঘটে যেমন- তাদের প্রত্যক্ষ (egocentric) চিন্তা চেতনার বদলে এবসট্রাক্ট এডভানসড চিন্তা দেখা দেয় ফলে বিস্তৃত পটভূমিতে (wider perspective) তারা ভাবতে শেখে। কিছু মানসিক পরিবর্তন আসে যেমন সে নিজের পছন্দ-অপছন্দ ও কমিটমেন্ট সম্পর্কে সচেতন হয়। জটিল ও সাহসী কাজে উদ্যোগী হয়। চায় কাজের স্বীকৃতি। abstract চিন্তা করার প্রবণতা জন্মায়। আগে যা সহজ ভাবে দেখত, এখন তা অন্য ভাবে দেথে। কখনো হয়ত মরালিটির সঙ্গে ও সংঘাত বাধে। তাদের চিন্তাশক্তি দুর্বল। কোনো প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেতে বন্ধু, পিতামাতা বা আত্মীয়ের সাহায্য প্রয়োজন হয়, যে কোনো চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে তারাই পারে।

কিছু ইমোশনাল, শারীরিক ও আচরনগত পরিবর্তন ও আসে এ সময়; যা একদিকে কনফ্লিক্ট অন্যদিকে ইতিবাচক ব্যক্তিত্ব গঠনের সহায়ক। বাড়ির পরিবেশ তাদের সহায়ক রাখতে হবে নয়ত কিশোর-কিশোরী ঝুঁকিপূর্ণ আচরণে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে- যেমন ধূমপান, মাদক, সন্ত্রাস, অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হবে। তারা খুব বিদ্রোহী ও ক্ষিপ্ত হয়ে যাবে। কিশোর-কিশোরীদের চিন্তাধারা হয় বিমূর্ত, আদর্শিক ও লজিক্যাল। তখন তারা ভাবে কেউ তাদের বুঝতে পারছে না। একটা একক ব্যতিক্রমী সামাজিক পরিচিতির জন্য তারা ব্যাকুল হয়ে ওঠে। পিতা-মাতার সঙ্গে কনফ্লিক্ট দেথা দেয়- সাধারণত পড়াশুনা, ঘরেফেরা, প্রাইভেসির অধিকার নিয়ে। পিতামাতার সঙ্গে বন্ধন শিথিল হয়ে যায়; বাবা মার চেয়ে বন্ধুবান্ধবের ওপর নির্ভর করতে পছন্দ করে। ফলে বাবা-মা তথা পরিবারের সঙ্গে তাদের দূরত্ব বেড়ে যায়। তবে পিয়ারগ্রুপ ইনফ্লুয়েন্স ইতিবাচক হতে পারে যেমন- সোসাল স্কিল [ইমপেথি, শেয়ারিং, নেতৃত্ব গঠন, পড়াশুনায় উন্নতি] আবার নেতিবাচক ও হতে পারে যেমন- নৈতিক অবক্ষয়, চুরি, ধূমপান, ড্রাগ অসক্তি, উত্তেজনা বা আক্রমণাত্মক ব্যবহার।

এ সময়ে কিশোর-কিশোরীরা ভিন্নভাবে সবকিছু ভাবতে ও অনুভব করতে শেখে-তার পরিবার, বন্ধু, সতীর্থ সবাইকে নতুন মনে হয়। তুমি তাদের সঙ্গে যা করছ, যেভাবে তুমি নিজেকে ড্রেসআপ করছ, যে বিষয়ে তুমি আলোচনা করছ সব কিছুই নতুন। একেই বলে সামাজিক বা আচরণগত পরিবর্তন। কিশোর-কিশোরীরা জীবনকে ভিন্নভাবে চিন্তা ও বিশ্লেষণ করতে শুরু করে। পারিবারিক গন্ডির বাইরে গিয়ে তারা সমবয়সীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। ফলে পারিবারিক সম্পর্কেও পরিবর্তন আসে। সন্তানের কাছে পিতামাতার গুরুত্ব কমে আসে যেহেতু পরিবারের বাইরে তাদের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

পিতামাতার সঙ্গে সন্তানের প্রথমবারের মতো মতানৈক্য শুরু হয় কেননা উভয়ের ভাবনা চিন্তা ভিন্নধারায় প্রবাহিত হয়। তারা একে অন্যের মানসিক চিন্তা চেতনার ভাগ নিতে ব্যর্থ হয়। সন্তান তার সময়কেও শেয়ার করে বন্ধুর সঙ্গে কাটিয়ে বা তার সঙ্গে ফোনে গল্প করে। যদিও এসব ব্যাপারে পিতামাতা বিরক্তি বোধ করেন তবুও তাদের বুঝতে হবে যে এভাবেই শিশুর স্বাধীন সত্ত্বার বিকাশ ঘটে। সে আত্মনির্ভরশীল হতে শেখে।

পরিবার থেকে সে মূল্যবোধ অর্জন করে কিন্তু পোশাক পরিচ্ছদে সে বন্ধুদের অনুকরণ করে। পারিবারিক গন্ডির বাইরে তার এই বন্ধুত্ব তাকে শেখায় কি করে সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হয়। এবং পারিবারিক প্রথার বাইরে সে একটি স্বকীয় সত্ত্বার বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হয়।

সন্তানের এ আচরণে পিতামাতা নিজেদের অনেক সময় রিজেক্টেড মনে করেন। কিন্তু সন্তানের স্বকীয় সত্ত্বার বিকাশে এসবের প্রয়োজন আছে।

যদিও পিতা-মাতার কথায় অনেক যুক্তি আছে তবুও সন্তান হয়ত তা মানতে চাইবে না। তবে এই রিজেক্সন, এই কনফ্লিক্ট ব্যক্তিত্বের সংঘাত নয়; বা এমন নয় যে সন্তান পিতা-মাতা কে অপছন্দ করে। ব্যাপারটা অতি সাধারণ আর তা হল এই যে পিতা-মাতা তার অভিভাবক এবং সে চায় এখন থেকে নিজের ইচ্ছা অনিচ্ছা দ্বারা পরিচালিত হতে। নিজেকে স্বাধীন করতে।

স্বাধীনভাবে পরিচালিত হতে গিয়ে নিজের বুদ্ধির জোরে কাজ করতে গিয়ে সে যখন সফল হয় তখন দারুণ খুশি। আর যখন ব্যর্থ হয় তখন সে ভেঙ্গে পরে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে, আবার পিতা-মাতার শরণ নেয়। ফলে তার ব্যবহারে ও আচরণে আসে অভূতপূর্ব পরিবর্তন। কখনও সে নিজেকে ভাবে অভিজ্ঞ আবার কখনো অসফল। ফলে তার মেজাজ বিগড়ে যায়। যখন সে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরে, আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে, অসুস্থ হয়ে পরে তখন তা পরিবারির জন্য বিপজ্জনক হয়ে দেখা দিতে পারে। কিশোর-কিশোরীরা তাদের ব্যর্থতার জন্য দুঃখিত না হয়ে বরং অভিমানী হয়ে উঠতে পারে। মুখ ভার করে থাকতে পারে। তখন বাবা-মার উচিত সহানুভূতির সঙ্গে তাদের ব্যর্থতা ঘুচিয়ে দেয়া। তাদের দুঃখের ভার আপনার নিজের কাঁধে নেয়া।

বয়োসন্ধি এমন একটা সময় যখন কিশোর সন্তানটি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে পৃথিবীকে জানতে এবং এ পৃথিবীর মাঝে তার জায়গাটুকু খুঁজে পেতে। সে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা লাভে রত হয় যা তার জন্য রিস্কি এমনকি বিপজ্জনক হতে পারে।

তবে আশার কথা এই যে অধিকাংশ কিশোর- কিশোরী মিউজিক, খেলাধূলা প্রভৃতিতে আনন্দ লাভ করে যাতে শারীরিক আঘাত প্রাপ্তির সম্ভাবনা কম কিন্তু এনার্জি খরচ হয় প্রচুর।

বিপদের আশঙ্কা থাকে তখনই যখন তারা বিপদগামী বন্ধুদের সঙ্গে মিশে পরীক্ষামূলকভাবে বা নিছক কৌতুগলের বশে মদ, সিগ্রেট বা ড্রাগ গ্রহণ শুরু করে। কিন্তু পরবর্তীতে ড্রাগের নেশায় আসক্ত হয়। তবে কিশোর-কিশোরী নিজে নিজেই এসবে আসক্ত হলে চিন্তার কারণ বেশি, কেননা সে বাবা-মার বারণ শুনবে না। তবে দলের সঙ্গে নেশা করলে বড়ভাইদের বারণ সে অধিক আগ্রহে শুনতে পারে।