আউটসোর্সিং কর্মীদের ভাতার টাকা আত্মসাৎ

প্রতি কর্মী ঠকছেন ৪-৮ হাজার টাকা

পাবনা মানসিক হাসপাতালে আউটসোর্সিং কর্মচারীদের ভাতা জালিয়াতির মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। হাসপাতালটিতে আর্থিক বছর অনুযায়ী জুলাই থেকে পরবর্তী জুন পর্যন্ত অস্থায়ী কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮০ জন (রাজস্ব ) এবং ২৫ জন উন্নয়ন খাতে কর্মী কাগজে-কলমে নিয়োগ দেয়া হয়। এদের জনপ্রতি সরকারি মাসিক ভাতা ১৪ হাজার ৪৫০ টাকা হলেও অভিনব উপায়ে ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা সুপারিশ অনুসারে দেয়া হয়। অস্থায়ী এ কর্মচারীদের প্রতিমাসে ২টি চেক স্বাক্ষর করে নেয়া হয়। একটি চেকে তাদের প্রদেয় ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা এবং অন্য চেকে ১৪ হাজার ৪৫০ টাকার বাদ বাঁকি টাকা ঠিকাদার তুলে নেয়।

প্রথমে ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে কর্মীদের ভাতা দেয়া হলেও ব্যাংক কর্মকর্তারা জালিয়াতি ধরে তাদের সুনামের প্রশ্নে কর্মচারীদের হিসাব পরিচালনায় আপত্তি জানায়। তারপর যমুনা ব্যাংকের পাবনা শাখায় কর্মীদের হিসাব খুলে এভাবে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। আর কাগজ কলমে আউটসোর্সিং ১০৫ জন কর্মীর মধ্যে ১৭ জনের কোন অস্তিত্ব নেই। শুধু ভুয়া ১৭ কর্মীর ভাতা বাবদ ২৯ লাখ ৪৭ হাজার ৮০০ টাকা ভাগ বন্টন করে নেয়া হয়েছে। আউটসোর্সিং কর্মীদের এ টাকা ঠিকাদার, হাসপাতাল পরিচালক ডা. তন্ময় প্রকাশ বিশ্বাস এবং ওয়ার্ডমাস্টার আব্দুল বারি সিন্ডিকেট ভাগাভাগি করেছে বলে আউটসোর্সিং কর্মচারীদের পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।

কর্মচারীদের বছরে ২টি বোনাস দেয়ার কথা থাকলেও তা আগের বছরগুলোতে দেয়া হয়নি। গত ঈদুল ফিত্র উপলক্ষে মুসলিম কর্মচারীদের বোনাস দেয়া হলেও তা পুরাপুরি নয়। হিন্দু কর্মচারীদের আর্থিক বছর শেষ হলেও তাদের বোনাস দেয়া হচ্ছে না। ঠিকাদারকে হিন্দু কর্মচারীরা বোনাসের কথা জিজ্ঞাসা করলে অক্টোবরে দুর্গা পূজার সময় তা দেয়া হবে বলে জানানো হয়। হিন্দু কর্মচারীরা প্রশ্ন তুলেছেন তাদের চাকরির মেয়াদ যেখানে জুনে শেষ সেখানে অক্টোবরে ঠিকাদার কিভাবে বোনাস দিবে। তাদের বোনাসের টাকাও হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে কর্মচারীরা অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে, ঈদুল ফিত্র উপলক্ষে ১০৫ জন কর্মীর বোনাস ঠিকাদার উত্তোলন করেছে। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে হাসপাতাল পরিচালকের ঘনিষ্ট একজন অস্থায়ী কর্মচারি হাসপাতাল চত্বরে ২৫-৩০টি কুকুর বিড়াল পোষেন। প্রতিদিন হাসপাতালের কিচেন থেকে ৩০ জনের খাবার নিয়ে এসব কুকুর বেড়ালকে খাওয়াতে হয়। শুধু তাই নয় রোগীদের খাবারের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এলাকার একাধিক সূত্র দাবি করেছে হাসপাতাল পরিচালক তার নিজের দুর্নীতি সামাল দিতে বৃদ্ধ এক কর্মীকে নিয়োগ দেন তার দাপটে কর্মীদের তটস্থ থাকতে হয় যা নিয়ে হাসপাতালে ব্যাপক অসন্তোষ বিরাজ করছে। এদিকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে আউটসোর্সিং কর্মী নিয়োগে ৩০ হাজার টাকা জামানতের নাম করে ঘুষ দাবি করা হয়েছে। সরকারি এধরনের জামানতের নিয়ম না থাকায় কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।

অন্যদিকে হাসপাতালের রোগীদের খাদ্যসামগ্রী ও স্টেশনারি ক্রয়ের টেন্ডারে বাজার দরের সঙ্গে সামঞ্জস্য না রেখে দাম ধরায় সরকারের বছরে ১ কোটির ওপর অতিরিক্ত টাকা গচ্চা দিতে হচ্ছে যা ঠিকাদার ও পরিচালকের পকেটে ঢুকে যাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছে। হাসপাতালের খাদ্য সামগ্রী ও বিভিন্ন পণ্য সরবরাহের টেন্ডার আহ্বানের পূর্বে বাজার দর যাচাই কমিটি করা হয়। এ কমিটি বাজার দরের রিপোর্ট জমা দেয়। বাজার যাচাই কমিটির দরের রিপোর্টকে উপেক্ষা করে হাসপাতাল পরিচালক জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তার দরকেই বেছে নেয় যা বাজার মূল্যের সাথে আকাশ পাতাল ফারাক রয়েছে।

খাবার সামগ্রি থেকে স্টেশনারি প্রত্যেকটি দ্রব্যের বাজার দরের চেয়ে অনেক বেশি ধরা হয়েছে যা অবিশ্বাস্য। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা প্রথমে যে বাজার দর দেন তা ছিল সামঞ্জস্যপূর্ণ । পরবর্তিতে তিনি রহস্যজনক কারণে পূর্বের বাজার দর পরিবর্তন করে পুনরায় দরের রিপোর্ট দেন যা বাজারের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। অভিযোগ উঠেছে সরকারের অতিরিক্ত কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে হাসপাতাল সিন্ডিকেট সমঝোতার মাধ্যমে জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তার এ দর অনুসারে ঠিকাদারের ওয়ার্ক অর্ডার দেয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জেলা মার্কেটিং অফিসারের সাথে বারবার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মানসিক হাসপাতাল পরিচালক ডা. তন্ময় প্রকাশ বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আউটসোর্সিং কর্মীদের ভাতার টাকা কম দেয়ার ব্যাপার তার দেখার কিছু নেই, এটি ঠিকাদারের ব্যাপার। কর্মীদের বোনাস না দেয়ার বিষয়ে তিনি অবশ্য স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়ে বলেন, যার যা প্রাপ্য তা তাদের দিতে হবে। তা না দিলে বিল দেয়া হবে না। যদিও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে কর্মীদের সব বিলই পাশ করা হয়েছে। ১৭ জন ভুয়া কর্মচারীর নামে ভাতা উত্তোলনের কথা তিনি অস্বীকার করেন। তিনি জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তার দরকে সঠিক বলে দাবি করেন। এ দরে পণ্য সামগ্রী কেনা হলে সরকারের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হবে এ প্রশ্নে করা হলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। হাসপাতাল চত্বরের কুকুর বিড়াল পোষার বিষযে তিনি নিশ্চুপ থাকেন। মানসিক হাসপাতালে নিরপেক্ষ তদন্ত করা হলে শুধুমাত্র ওষুধ ও যন্ত্রপাতি ক্রয় বাবদই কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির ঘটনা উদ্ঘাটিত হবে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র দাবি করেছে।

আরও খবর
বিলীন হচ্ছে কক্সবাজার সৈকতের ঝাউ বাগান
বদরগঞ্জে মহিলা বিষয়ক কর্তার অনিয়ম : তদন্ত শুরু
প্রতিযোগিতায় টিকতে চাই পেশাগত জ্ঞান
বরুড়ায় দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ২৫ হাজার
শাজাহানপুরে এলজিএসপি’র টাকায় নিম্নমানের কাজ
পটিয়ায় মসজিদের নাম নিয়ে দ্বন্দ্বে জনতা-পুলিশ
রেলের অধিগ্রহণ করা জমির ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাতে জালিয়াতি
মীরসরাই পাবলিক লাইব্রেরিতে বই পড়তে দেয়া হয় না!
মাধবদীতে কালভার্ট ভাঙা রাস্তা চলাচলের অযোগ্য
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাহবাজপুর নতুন সেতু চালু শীঘ্রই
সাভারে ঝুঁকিপূর্ণ দুই ভবন সিলগালা
নরসিংদীতে পবিসের প্রিপেইড মিটারের প্রতিবাদে মানববন্ধন
শ্রীপুরের জৈনাবাজার দেশের বৃহত্তম কাঁঠালের হাট
সাভারে তুরাগে ডুবে শিশুর মৃত্যু
শেরপুরে বিদ্যুতে গৃহবধূর মৃত্যু

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০১৯ , ১৮ আষাঢ় ১৪২৫, ২৮ শাওয়াল ১৪৪০

পাবনা মানসিক হাসপাতাল

আউটসোর্সিং কর্মীদের ভাতার টাকা আত্মসাৎ

প্রতি কর্মী ঠকছেন ৪-৮ হাজার টাকা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, পাবনা

পাবনা মানসিক হাসপাতালে আউটসোর্সিং কর্মচারীদের ভাতা জালিয়াতির মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। হাসপাতালটিতে আর্থিক বছর অনুযায়ী জুলাই থেকে পরবর্তী জুন পর্যন্ত অস্থায়ী কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮০ জন (রাজস্ব ) এবং ২৫ জন উন্নয়ন খাতে কর্মী কাগজে-কলমে নিয়োগ দেয়া হয়। এদের জনপ্রতি সরকারি মাসিক ভাতা ১৪ হাজার ৪৫০ টাকা হলেও অভিনব উপায়ে ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা সুপারিশ অনুসারে দেয়া হয়। অস্থায়ী এ কর্মচারীদের প্রতিমাসে ২টি চেক স্বাক্ষর করে নেয়া হয়। একটি চেকে তাদের প্রদেয় ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা এবং অন্য চেকে ১৪ হাজার ৪৫০ টাকার বাদ বাঁকি টাকা ঠিকাদার তুলে নেয়।

প্রথমে ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে কর্মীদের ভাতা দেয়া হলেও ব্যাংক কর্মকর্তারা জালিয়াতি ধরে তাদের সুনামের প্রশ্নে কর্মচারীদের হিসাব পরিচালনায় আপত্তি জানায়। তারপর যমুনা ব্যাংকের পাবনা শাখায় কর্মীদের হিসাব খুলে এভাবে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। আর কাগজ কলমে আউটসোর্সিং ১০৫ জন কর্মীর মধ্যে ১৭ জনের কোন অস্তিত্ব নেই। শুধু ভুয়া ১৭ কর্মীর ভাতা বাবদ ২৯ লাখ ৪৭ হাজার ৮০০ টাকা ভাগ বন্টন করে নেয়া হয়েছে। আউটসোর্সিং কর্মীদের এ টাকা ঠিকাদার, হাসপাতাল পরিচালক ডা. তন্ময় প্রকাশ বিশ্বাস এবং ওয়ার্ডমাস্টার আব্দুল বারি সিন্ডিকেট ভাগাভাগি করেছে বলে আউটসোর্সিং কর্মচারীদের পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।

কর্মচারীদের বছরে ২টি বোনাস দেয়ার কথা থাকলেও তা আগের বছরগুলোতে দেয়া হয়নি। গত ঈদুল ফিত্র উপলক্ষে মুসলিম কর্মচারীদের বোনাস দেয়া হলেও তা পুরাপুরি নয়। হিন্দু কর্মচারীদের আর্থিক বছর শেষ হলেও তাদের বোনাস দেয়া হচ্ছে না। ঠিকাদারকে হিন্দু কর্মচারীরা বোনাসের কথা জিজ্ঞাসা করলে অক্টোবরে দুর্গা পূজার সময় তা দেয়া হবে বলে জানানো হয়। হিন্দু কর্মচারীরা প্রশ্ন তুলেছেন তাদের চাকরির মেয়াদ যেখানে জুনে শেষ সেখানে অক্টোবরে ঠিকাদার কিভাবে বোনাস দিবে। তাদের বোনাসের টাকাও হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে কর্মচারীরা অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে, ঈদুল ফিত্র উপলক্ষে ১০৫ জন কর্মীর বোনাস ঠিকাদার উত্তোলন করেছে। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে হাসপাতাল পরিচালকের ঘনিষ্ট একজন অস্থায়ী কর্মচারি হাসপাতাল চত্বরে ২৫-৩০টি কুকুর বিড়াল পোষেন। প্রতিদিন হাসপাতালের কিচেন থেকে ৩০ জনের খাবার নিয়ে এসব কুকুর বেড়ালকে খাওয়াতে হয়। শুধু তাই নয় রোগীদের খাবারের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এলাকার একাধিক সূত্র দাবি করেছে হাসপাতাল পরিচালক তার নিজের দুর্নীতি সামাল দিতে বৃদ্ধ এক কর্মীকে নিয়োগ দেন তার দাপটে কর্মীদের তটস্থ থাকতে হয় যা নিয়ে হাসপাতালে ব্যাপক অসন্তোষ বিরাজ করছে। এদিকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে আউটসোর্সিং কর্মী নিয়োগে ৩০ হাজার টাকা জামানতের নাম করে ঘুষ দাবি করা হয়েছে। সরকারি এধরনের জামানতের নিয়ম না থাকায় কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।

অন্যদিকে হাসপাতালের রোগীদের খাদ্যসামগ্রী ও স্টেশনারি ক্রয়ের টেন্ডারে বাজার দরের সঙ্গে সামঞ্জস্য না রেখে দাম ধরায় সরকারের বছরে ১ কোটির ওপর অতিরিক্ত টাকা গচ্চা দিতে হচ্ছে যা ঠিকাদার ও পরিচালকের পকেটে ঢুকে যাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছে। হাসপাতালের খাদ্য সামগ্রী ও বিভিন্ন পণ্য সরবরাহের টেন্ডার আহ্বানের পূর্বে বাজার দর যাচাই কমিটি করা হয়। এ কমিটি বাজার দরের রিপোর্ট জমা দেয়। বাজার যাচাই কমিটির দরের রিপোর্টকে উপেক্ষা করে হাসপাতাল পরিচালক জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তার দরকেই বেছে নেয় যা বাজার মূল্যের সাথে আকাশ পাতাল ফারাক রয়েছে।

খাবার সামগ্রি থেকে স্টেশনারি প্রত্যেকটি দ্রব্যের বাজার দরের চেয়ে অনেক বেশি ধরা হয়েছে যা অবিশ্বাস্য। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা প্রথমে যে বাজার দর দেন তা ছিল সামঞ্জস্যপূর্ণ । পরবর্তিতে তিনি রহস্যজনক কারণে পূর্বের বাজার দর পরিবর্তন করে পুনরায় দরের রিপোর্ট দেন যা বাজারের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। অভিযোগ উঠেছে সরকারের অতিরিক্ত কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে হাসপাতাল সিন্ডিকেট সমঝোতার মাধ্যমে জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তার এ দর অনুসারে ঠিকাদারের ওয়ার্ক অর্ডার দেয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জেলা মার্কেটিং অফিসারের সাথে বারবার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মানসিক হাসপাতাল পরিচালক ডা. তন্ময় প্রকাশ বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আউটসোর্সিং কর্মীদের ভাতার টাকা কম দেয়ার ব্যাপার তার দেখার কিছু নেই, এটি ঠিকাদারের ব্যাপার। কর্মীদের বোনাস না দেয়ার বিষয়ে তিনি অবশ্য স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়ে বলেন, যার যা প্রাপ্য তা তাদের দিতে হবে। তা না দিলে বিল দেয়া হবে না। যদিও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে কর্মীদের সব বিলই পাশ করা হয়েছে। ১৭ জন ভুয়া কর্মচারীর নামে ভাতা উত্তোলনের কথা তিনি অস্বীকার করেন। তিনি জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তার দরকে সঠিক বলে দাবি করেন। এ দরে পণ্য সামগ্রী কেনা হলে সরকারের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হবে এ প্রশ্নে করা হলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। হাসপাতাল চত্বরের কুকুর বিড়াল পোষার বিষযে তিনি নিশ্চুপ থাকেন। মানসিক হাসপাতালে নিরপেক্ষ তদন্ত করা হলে শুধুমাত্র ওষুধ ও যন্ত্রপাতি ক্রয় বাবদই কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির ঘটনা উদ্ঘাটিত হবে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র দাবি করেছে।