বদরগঞ্জে মহিলা বিষয়ক কর্তার অনিয়ম : তদন্ত শুরু

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে নানা অভিযোগের সংবাদ প্রকাশের পর তদন্তে নেমেছে রংপুরের উপপরিচালক। গত রোববার উপপরিচালক কাওসার পারভীন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের তদন্ত করেন। যার মধ্যে অন্যতম ছিল সেলাই প্রশিক্ষণ তালিকায় থাকা তিন নারীর প্রশিক্ষণ ভাতা জাল সাক্ষরের মাধ্যমে উত্তোলন ও আত্মসাত। তদন্ত শেষে মহিলা বিষয়ক উপ-পরিচালক সাংবাদিকদের জানান- অভিযোগের সত্যতা মেলায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হবে। এদিকে ইসমোতারা খাতুন নামে এক নারীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসারের নেতৃত্বে এক সদস্য বিশিষ্ট কমিটি খুব শীঘ্রই ওই তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে এলাকার দুঃস্থ, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা নারীদের স্বাবলম্বী করতে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতাধীন তিন মাস মেয়াদী সেলাই প্রশিক্ষণে ৩০ জন নারীকে বাছাই করা হয়। কাগজে-কলমে বলা হয়েছে ১এপ্রিল থেকে ওই ৩০ নারী সেলাই প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন এবং যথারীতি তারা প্রশিক্ষণ ভাতাও উত্তোলন করছেন। কিন্তু তালিকাভুক্ত নারীদের অনেকেই অভিযোগ করেন প্রশিক্ষণে তাদের ডাকা হয়নি এবং তারা প্রশিক্ষণ ভাতাও উত্তোলন করেননি। এ ঘটনায় সর্বত্রই তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। গত ২৪ জুন সংবাদের ৫নং পাতায় ‘বদরগঞ্জে সেলাই প্রশিক্ষণ প্রকল্প- কেতাবে প্রশিক্ষণার্থী ৩০, বাস্তবে নেই’- শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়। ফলে টনক নড়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের।

আরও খবর
আউটসোর্সিং কর্মীদের ভাতার টাকা আত্মসাৎ
বিলীন হচ্ছে কক্সবাজার সৈকতের ঝাউ বাগান
প্রতিযোগিতায় টিকতে চাই পেশাগত জ্ঞান
বরুড়ায় দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ২৫ হাজার
শাজাহানপুরে এলজিএসপি’র টাকায় নিম্নমানের কাজ
পটিয়ায় মসজিদের নাম নিয়ে দ্বন্দ্বে জনতা-পুলিশ
রেলের অধিগ্রহণ করা জমির ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাতে জালিয়াতি
মীরসরাই পাবলিক লাইব্রেরিতে বই পড়তে দেয়া হয় না!
মাধবদীতে কালভার্ট ভাঙা রাস্তা চলাচলের অযোগ্য
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাহবাজপুর নতুন সেতু চালু শীঘ্রই
সাভারে ঝুঁকিপূর্ণ দুই ভবন সিলগালা
নরসিংদীতে পবিসের প্রিপেইড মিটারের প্রতিবাদে মানববন্ধন
শ্রীপুরের জৈনাবাজার দেশের বৃহত্তম কাঁঠালের হাট
সাভারে তুরাগে ডুবে শিশুর মৃত্যু
শেরপুরে বিদ্যুতে গৃহবধূর মৃত্যু

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০১৯ , ১৮ আষাঢ় ১৪২৫, ২৮ শাওয়াল ১৪৪০

খবর প্রকাশের পর

বদরগঞ্জে মহিলা বিষয়ক কর্তার অনিয়ম : তদন্ত শুরু

প্রতিনিধি, বদরগঞ্জ (রংপুর)

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে নানা অভিযোগের সংবাদ প্রকাশের পর তদন্তে নেমেছে রংপুরের উপপরিচালক। গত রোববার উপপরিচালক কাওসার পারভীন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের তদন্ত করেন। যার মধ্যে অন্যতম ছিল সেলাই প্রশিক্ষণ তালিকায় থাকা তিন নারীর প্রশিক্ষণ ভাতা জাল সাক্ষরের মাধ্যমে উত্তোলন ও আত্মসাত। তদন্ত শেষে মহিলা বিষয়ক উপ-পরিচালক সাংবাদিকদের জানান- অভিযোগের সত্যতা মেলায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হবে। এদিকে ইসমোতারা খাতুন নামে এক নারীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসারের নেতৃত্বে এক সদস্য বিশিষ্ট কমিটি খুব শীঘ্রই ওই তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে এলাকার দুঃস্থ, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা নারীদের স্বাবলম্বী করতে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতাধীন তিন মাস মেয়াদী সেলাই প্রশিক্ষণে ৩০ জন নারীকে বাছাই করা হয়। কাগজে-কলমে বলা হয়েছে ১এপ্রিল থেকে ওই ৩০ নারী সেলাই প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন এবং যথারীতি তারা প্রশিক্ষণ ভাতাও উত্তোলন করছেন। কিন্তু তালিকাভুক্ত নারীদের অনেকেই অভিযোগ করেন প্রশিক্ষণে তাদের ডাকা হয়নি এবং তারা প্রশিক্ষণ ভাতাও উত্তোলন করেননি। এ ঘটনায় সর্বত্রই তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। গত ২৪ জুন সংবাদের ৫নং পাতায় ‘বদরগঞ্জে সেলাই প্রশিক্ষণ প্রকল্প- কেতাবে প্রশিক্ষণার্থী ৩০, বাস্তবে নেই’- শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়। ফলে টনক নড়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের।