কয়েকটি পত্রিকাই ভরসা পাঠকদের
নাগরিকদের জ্ঞান চর্চার সুযোগ অবারিত করতে সরকারিভাবে পাবলিক লাইব্রেরি চালু করলেও এর কোন সুফল পাচ্ছে না মীরসরাইবাসী। শুধুমাত্র কয়েকটি পত্রিকা পাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ এর কার্যক্রম। অল্পকিছু বই থাকলেও তা পড়তে দেয়া হয় না কাউকে। বর্তমানে লাইব্রেরিতে দায়িত্বে আছে আবু তাহের এক ব্যক্তি। কিছুদিন আগে নাজিম উদ্দিন, কাজী নাজিম, অরুপ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, সাকাওয়াত হোসেন, শামীম আহম্মেত সহ কিছু ছাত্র লাইব্রেরিতে দায়িত্বে থাকা আবু তাহেরের কাছে বই চাইলে তিনি বলেন, মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার থেকে অনুমতি নিয়ে আস। বই দেয়ার দায়িত্ব আমার কাছে নাই। তিনি বলেন যে বই দিবে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। এই পাবলিক লাইব্রেরিতে কিছু পাঠক থাকা স্বত্বে ও নেই বই, নেই উপযুক্ত পরিবেশ। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সপ্তাহের ৫দিন খোলা থাকে লাইব্রেরি। শুক্রবার ও শনিবার সরকারি ছুটির দিন। আবার খোলার সময় কিছু বই থাকলেও তা কেউ পড়ার সুযোগ পায় না। সরেজমিনে দেখা যায়, দুটি আলমারি এবং দুটি সেলফে কিছু বই আছে যেগুলো অনেক পুরোনো। লাইব্রেরিতে ১০-১২টি চেয়ার আর ২টি টেবিল ভালো আছে। বাকি কয়েকটি চেয়ার ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে আছে দীর্ঘদিন। দশ বছর আগে নতুন বই আনা হয়েছে লাইব্রেরিতে। বই না পড়তে পেরে, যারা আসে তারা শুধু পত্রিকা পড়ে চলে যায়। ভাঙ্গা চেয়ার, অন্ধকারচ্ছন্ন কক্ষে প্রবেশ মাত্র শরীর শিউরে উঠে। মনে হয় যেন কোলাহলমুক্ত নির্জন ভূতের বাড়ি। পাবলিক লাইব্রেরির ভেতরে বসবাস করেন আবু তাহের। তিনি লাইব্রেরির দেখাশুনা করেন। লাইব্রেরিতে যে বইগুলো আছে তাও সব সময় আলমারীতে তালাবদ্ধ থাকে। পাবলিক লাইব্রেরিতে নিয়মিত পত্রিকা পড়তে যাওয়া একাধিক পাঠক বলেন, এখানে নেই আগের মতো পাঠক সমাগম। সারাদিন কিছু খালি চেয়ার আর আগোছালো দু’একটা পত্রিকা পড়ে থাকে। এখানে নেই তেমন কোন নতুন বইয়ের সংগ্রহ। এ বিষয়ে মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন জানান, পাবালিক লাইব্রেরি জেলা পরিষদ কর্তৃক পরিচালনাধীন। অনুমতির বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, বই পড়তে পাড়লে পড়বে, তবে আমার থেকে অনুমতির বিষয়টা আমার জানা নাই।
মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০১৯ , ১৮ আষাঢ় ১৪২৫, ২৮ শাওয়াল ১৪৪০
কয়েকটি পত্রিকাই ভরসা পাঠকদের
প্রতিনিধি, মীরসরাই (চট্টগ্রাম)
নাগরিকদের জ্ঞান চর্চার সুযোগ অবারিত করতে সরকারিভাবে পাবলিক লাইব্রেরি চালু করলেও এর কোন সুফল পাচ্ছে না মীরসরাইবাসী। শুধুমাত্র কয়েকটি পত্রিকা পাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ এর কার্যক্রম। অল্পকিছু বই থাকলেও তা পড়তে দেয়া হয় না কাউকে। বর্তমানে লাইব্রেরিতে দায়িত্বে আছে আবু তাহের এক ব্যক্তি। কিছুদিন আগে নাজিম উদ্দিন, কাজী নাজিম, অরুপ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, সাকাওয়াত হোসেন, শামীম আহম্মেত সহ কিছু ছাত্র লাইব্রেরিতে দায়িত্বে থাকা আবু তাহেরের কাছে বই চাইলে তিনি বলেন, মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার থেকে অনুমতি নিয়ে আস। বই দেয়ার দায়িত্ব আমার কাছে নাই। তিনি বলেন যে বই দিবে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। এই পাবলিক লাইব্রেরিতে কিছু পাঠক থাকা স্বত্বে ও নেই বই, নেই উপযুক্ত পরিবেশ। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সপ্তাহের ৫দিন খোলা থাকে লাইব্রেরি। শুক্রবার ও শনিবার সরকারি ছুটির দিন। আবার খোলার সময় কিছু বই থাকলেও তা কেউ পড়ার সুযোগ পায় না। সরেজমিনে দেখা যায়, দুটি আলমারি এবং দুটি সেলফে কিছু বই আছে যেগুলো অনেক পুরোনো। লাইব্রেরিতে ১০-১২টি চেয়ার আর ২টি টেবিল ভালো আছে। বাকি কয়েকটি চেয়ার ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে আছে দীর্ঘদিন। দশ বছর আগে নতুন বই আনা হয়েছে লাইব্রেরিতে। বই না পড়তে পেরে, যারা আসে তারা শুধু পত্রিকা পড়ে চলে যায়। ভাঙ্গা চেয়ার, অন্ধকারচ্ছন্ন কক্ষে প্রবেশ মাত্র শরীর শিউরে উঠে। মনে হয় যেন কোলাহলমুক্ত নির্জন ভূতের বাড়ি। পাবলিক লাইব্রেরির ভেতরে বসবাস করেন আবু তাহের। তিনি লাইব্রেরির দেখাশুনা করেন। লাইব্রেরিতে যে বইগুলো আছে তাও সব সময় আলমারীতে তালাবদ্ধ থাকে। পাবলিক লাইব্রেরিতে নিয়মিত পত্রিকা পড়তে যাওয়া একাধিক পাঠক বলেন, এখানে নেই আগের মতো পাঠক সমাগম। সারাদিন কিছু খালি চেয়ার আর আগোছালো দু’একটা পত্রিকা পড়ে থাকে। এখানে নেই তেমন কোন নতুন বইয়ের সংগ্রহ। এ বিষয়ে মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন জানান, পাবালিক লাইব্রেরি জেলা পরিষদ কর্তৃক পরিচালনাধীন। অনুমতির বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, বই পড়তে পাড়লে পড়বে, তবে আমার থেকে অনুমতির বিষয়টা আমার জানা নাই।