চীন সফরে প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ দিনের সরকারি সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। সফরসঙ্গীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সোমবার বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে যাত্রা শুরু করেন। টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর এটি শেখ হাসিনার প্রথম চীন সফর।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিংয়ের আমন্ত্রণে এ সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সফরকালীন ডালিয়ানে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভায় অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। সফরসূচি অনুযায়ী বাংলাদেশ সময় গতকাল সোমবার রাত ১০টায় ডালিয়ানের ঝৌশুইজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর মোটর শোভাযাত্রা সহকারে প্রধানমন্ত্রীকে শাংগ্রিলা হোটেলে নিয়ে যাওয়ার কথা। ‘সামার দাভোস’ নামে পরিচিতি পাওয়া ডালিয়ানের এই সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের সরকার, ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজ, শিক্ষা ও সাহিত্য-সংস্কৃতি ক্ষেত্রের প্রায় দুই হাজার প্রতিনিধি অংশ নেবেন। তার এই সফরে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি সই ছাড়াও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের উপায় নিয়ে আলোচনা হবে আশা করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রধানমন্ত্রী ৪ জুলাই চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি তুলবেন। ডালিয়ানে ‘ডব্লিউইএফ অ্যানুয়াল মিটিং অব দ্যা নিউ চ্যাম্পিয়ন্স-২০১৯’-এ অংশ নেয়া শেষে বুধবার একটি বিশেষ চীনা ফ্লাইটে বেইজিংয়ে যাবেন শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে দিয়ায়োতাই স্টেট গেস্ট হাইজে নিয়ে যাওয়া হবে। চীনের রাজধানীতে সফরকালে তিনি এই হোটেলেই থাকবেন। ওই দিন বিকেলে বেইজিংয়ে বাংলাদেশিদের দেয়া নাগরিক সংবর্ধনায় অংশ নেবেন। পরের দিন গ্রেট হল অব দ্য পিপলে বীরদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার পর চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। প্রধানমন্ত্রী গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত এক ভোজসভায় অংশ নেবেন। একই দিন বিকেলে সিসিপিআইটিতে চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে একটি গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি।

৫ জুলাই সকালে প্রধানমন্ত্রীর চীনা থিংক ট্যাংক ‘পাঙ্গোয়াল ইনস্টিটিউশন’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। সফরসূচি অনুযায়ী চীনের বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহীরাও শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করবেন। চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের চেয়ারম্যান লি জান শুর সঙ্গে বৈঠক হবে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার। চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টিতে শি চিন পিংয়ের পর দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে তাকেই বিবেচনা হয়। বিকেলে শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দিয়াওইয়ুতাই রাষ্ট্রীয় অতিথিশালায় বৈঠকের পর তার সম্মানে দেয়া চীনা প্রেসিডেন্টের ভোজসভায়ও অংশ নেবেন।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে আটটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এসব প্রকল্পে মোট কত টাকা ঋণ নেয়া হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

চুক্তি ও সমঝোতাগুলো হলো- ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ নিয়ে ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট। ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ নিয়ে গভর্নমেন্ট কনসেশনাল লোন এগ্রিমেন্ট। ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ নিয়ে প্রিফারেনশিয়াল বায়ার্স ক্রেডিট লোন এগ্রিমেন্ট। পিজিসিবি প্রকল্পের আওতায় বিদ্যুৎ গ্রিড নেটওয়ার্ক জোরদার প্রকল্পের জন্য ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট।

বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে অর্থনীতি ও কারিগরি সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি। ইনভেস্টমেন্ট কোঅপারেশন ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠা নিয়ে সমঝোতা স্মারক। ইয়ালু ঝাংবো ও ব্রহ্মপুত্র নদীর তথ্য বিনিময় সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক ও তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা। সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পর্যটন কর্মসূচি নিয়ে সমঝোতা স্মারক।

প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বেসরকারি খাত বিষয়ক ?উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ রয়েছেন। চীন সফর শেষে ৬ জুলাই বাংলাদেশে ফেরার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।

প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাতে গতকাল সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, তিন বাহিনীর প্রধান, ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০১৯ , ১৮ আষাঢ় ১৪২৫, ২৮ শাওয়াল ১৪৪০

চীন সফরে প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ দিনের সরকারি সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। সফরসঙ্গীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সোমবার বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে যাত্রা শুরু করেন। টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর এটি শেখ হাসিনার প্রথম চীন সফর।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিংয়ের আমন্ত্রণে এ সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সফরকালীন ডালিয়ানে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভায় অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। সফরসূচি অনুযায়ী বাংলাদেশ সময় গতকাল সোমবার রাত ১০টায় ডালিয়ানের ঝৌশুইজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর মোটর শোভাযাত্রা সহকারে প্রধানমন্ত্রীকে শাংগ্রিলা হোটেলে নিয়ে যাওয়ার কথা। ‘সামার দাভোস’ নামে পরিচিতি পাওয়া ডালিয়ানের এই সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের সরকার, ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজ, শিক্ষা ও সাহিত্য-সংস্কৃতি ক্ষেত্রের প্রায় দুই হাজার প্রতিনিধি অংশ নেবেন। তার এই সফরে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি সই ছাড়াও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের উপায় নিয়ে আলোচনা হবে আশা করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রধানমন্ত্রী ৪ জুলাই চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি তুলবেন। ডালিয়ানে ‘ডব্লিউইএফ অ্যানুয়াল মিটিং অব দ্যা নিউ চ্যাম্পিয়ন্স-২০১৯’-এ অংশ নেয়া শেষে বুধবার একটি বিশেষ চীনা ফ্লাইটে বেইজিংয়ে যাবেন শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে দিয়ায়োতাই স্টেট গেস্ট হাইজে নিয়ে যাওয়া হবে। চীনের রাজধানীতে সফরকালে তিনি এই হোটেলেই থাকবেন। ওই দিন বিকেলে বেইজিংয়ে বাংলাদেশিদের দেয়া নাগরিক সংবর্ধনায় অংশ নেবেন। পরের দিন গ্রেট হল অব দ্য পিপলে বীরদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার পর চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। প্রধানমন্ত্রী গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত এক ভোজসভায় অংশ নেবেন। একই দিন বিকেলে সিসিপিআইটিতে চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে একটি গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি।

৫ জুলাই সকালে প্রধানমন্ত্রীর চীনা থিংক ট্যাংক ‘পাঙ্গোয়াল ইনস্টিটিউশন’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। সফরসূচি অনুযায়ী চীনের বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহীরাও শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করবেন। চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের চেয়ারম্যান লি জান শুর সঙ্গে বৈঠক হবে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার। চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টিতে শি চিন পিংয়ের পর দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে তাকেই বিবেচনা হয়। বিকেলে শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দিয়াওইয়ুতাই রাষ্ট্রীয় অতিথিশালায় বৈঠকের পর তার সম্মানে দেয়া চীনা প্রেসিডেন্টের ভোজসভায়ও অংশ নেবেন।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে আটটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এসব প্রকল্পে মোট কত টাকা ঋণ নেয়া হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

চুক্তি ও সমঝোতাগুলো হলো- ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ নিয়ে ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট। ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ নিয়ে গভর্নমেন্ট কনসেশনাল লোন এগ্রিমেন্ট। ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ নিয়ে প্রিফারেনশিয়াল বায়ার্স ক্রেডিট লোন এগ্রিমেন্ট। পিজিসিবি প্রকল্পের আওতায় বিদ্যুৎ গ্রিড নেটওয়ার্ক জোরদার প্রকল্পের জন্য ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট।

বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে অর্থনীতি ও কারিগরি সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি। ইনভেস্টমেন্ট কোঅপারেশন ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠা নিয়ে সমঝোতা স্মারক। ইয়ালু ঝাংবো ও ব্রহ্মপুত্র নদীর তথ্য বিনিময় সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক ও তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা। সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পর্যটন কর্মসূচি নিয়ে সমঝোতা স্মারক।

প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বেসরকারি খাত বিষয়ক ?উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ রয়েছেন। চীন সফর শেষে ৬ জুলাই বাংলাদেশে ফেরার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।

প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাতে গতকাল সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, তিন বাহিনীর প্রধান, ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।