সুন্দরবনকে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ ঐতিহ্য কমিটির

সুন্দরবনসহ ছয়টি বিশ্ব ঐতিহ্যকে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের বিজ্ঞান, শিক্ষা ও ঐতিহ্যবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটি। আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে গত রোববার শুরু হওয়া বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির ৪৩তম অধিবেশনে এই সুপারিশ করা হয়।

এবারের সভায় সুন্দরবনসহ ছয়টি বিশ্ব ঐতিহ্যকে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের বিজ্ঞান, শিক্ষা ও ঐতিহ্যবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটি। ৫ জুলাই সভায় এ বিষয়ে আলোচনা উঠছে। সুন্দরবনকে যাতে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে বাদ না দেয়া হয়, সে ব্যাপারে আলোচনা করতে বাংলাদেশ সরকারের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বাকুতে গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধিদলে সরকারের চারটি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব আহমদ কায়কাউস সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্র সুন্দরবনের ক্ষতির ব্যাপারে বেশ কিছু ভুল যুক্তি ও তথ্য উপস্থাপন করেছে। বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে সুন্দরবনের নাম বাদ দেয়ার যে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ যুক্তি তুলে ধরবে।

বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটি ইতোমধ্যে সুন্দরবনকে তালিকা থেকে বাদ দেয়ার পক্ষে বেশ কিছু যুক্তি তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। মূলত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ বন্ধ করা, সুন্দরবনের চারপাশে শিল্পকারখানার অনুমোদন ও কার্যক্রম বন্ধ করার বিষয়টি তারা উল্লেখ করে বলে, বাংলাদেশ সরকার সুন্দরবন রক্ষায় যথেষ্ট উদ্যোগ নেয়নি। এর ফলে এই বিশ্ব ঐতিহ্য অপূরণীয় ক্ষতির মুখে আছে।

এ ব্যাপারে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক সুলতানা কামাল সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘সুন্দরবন রক্ষায় সরকার যে অবহেলা ও অবজ্ঞা দেখিয়েছে, সে কারণেই এর নাম বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে বাদ যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এখনো সময় আছে, সরকার রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ সুন্দরবনের পাশের সব শিল্পকারখানা বন্ধ করে দিয়ে সুন্দরবন রক্ষার কার্যকর উদ্যোগ নিক, এটাই আমরা চাই।’

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০১৯ , ১৮ আষাঢ় ১৪২৫, ২৮ শাওয়াল ১৪৪০

সুন্দরবনকে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ ঐতিহ্য কমিটির

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সুন্দরবনসহ ছয়টি বিশ্ব ঐতিহ্যকে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের বিজ্ঞান, শিক্ষা ও ঐতিহ্যবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটি। আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে গত রোববার শুরু হওয়া বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির ৪৩তম অধিবেশনে এই সুপারিশ করা হয়।

এবারের সভায় সুন্দরবনসহ ছয়টি বিশ্ব ঐতিহ্যকে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের বিজ্ঞান, শিক্ষা ও ঐতিহ্যবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটি। ৫ জুলাই সভায় এ বিষয়ে আলোচনা উঠছে। সুন্দরবনকে যাতে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে বাদ না দেয়া হয়, সে ব্যাপারে আলোচনা করতে বাংলাদেশ সরকারের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বাকুতে গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধিদলে সরকারের চারটি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব আহমদ কায়কাউস সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্র সুন্দরবনের ক্ষতির ব্যাপারে বেশ কিছু ভুল যুক্তি ও তথ্য উপস্থাপন করেছে। বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে সুন্দরবনের নাম বাদ দেয়ার যে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ যুক্তি তুলে ধরবে।

বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটি ইতোমধ্যে সুন্দরবনকে তালিকা থেকে বাদ দেয়ার পক্ষে বেশ কিছু যুক্তি তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। মূলত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ বন্ধ করা, সুন্দরবনের চারপাশে শিল্পকারখানার অনুমোদন ও কার্যক্রম বন্ধ করার বিষয়টি তারা উল্লেখ করে বলে, বাংলাদেশ সরকার সুন্দরবন রক্ষায় যথেষ্ট উদ্যোগ নেয়নি। এর ফলে এই বিশ্ব ঐতিহ্য অপূরণীয় ক্ষতির মুখে আছে।

এ ব্যাপারে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক সুলতানা কামাল সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘সুন্দরবন রক্ষায় সরকার যে অবহেলা ও অবজ্ঞা দেখিয়েছে, সে কারণেই এর নাম বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে বাদ যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এখনো সময় আছে, সরকার রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ সুন্দরবনের পাশের সব শিল্পকারখানা বন্ধ করে দিয়ে সুন্দরবন রক্ষার কার্যকর উদ্যোগ নিক, এটাই আমরা চাই।’