ছয় মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যা ২০৪ জন

আসক

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে গত ছয় মাসে দেশের ২০৪ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে দেশের প্রধান জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে মানবাধিকার সংস্থাটি এই তথ্য দিয়েছে।

সংস্থাটির হিসাব বলছে, গত ছয় মাসে র?্যাবের ‘ক্রসফায়ারে’ ৫৯ জন, পুলিশের ‘ক্রসফায়ারে’ ৯২ জন, ডিবি পুলিশের ‘ক্রসফায়ারে’ ১২ জন, যৌথ বাহিনীর ‘ক্রসফায়ারে’ ১ জন, কোস্টগার্ডের ‘ক্রসফায়ারে’ ১ জন, বিজিবির ‘ক্রসফায়ারে’ ২৮ জন, পুলিশের নির্যাতনে ২ জন, পুলিশের গুলিতে ২ জন, বিজিবির গুলিতে ৩ জন ও পুলিশের হেফাজতে আত্মহত্যা করেছেন ১ জন। এছাড়া ২ জনের ‘গুলিবিদ্ধ লাশ’ উদ্ধার ও র‌্যাবের হেফাজতে অসুস্থ হয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

তাদের হিসাব অনুযায়ী গ্রেফতারের আগে ‘ক্রসফায়ারে’ মারা গেছেন ১৫১ জন ও গ্রেফতারের পরে ‘ক্রসফায়ারের’ শিকার হয়েছেন ৪২ জন। এই সময়ের মধ্যে ভুক্তভোগী পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীর অভিযোগের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে ৯ জনকে আটক করার খবর গণমাধ্যমে এসেছে। এদের মধ্যে ২ জন ফেরত এসেছেন ও ১ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। কিন্তু বাহিনীগুলো আটকের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এর বাইরে কারা হেফাজতে আরও ৩০ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র। এদের মধ্যে কয়েদি ১০ জন ও হাজতি ২০।

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০১৯ , ১৮ আষাঢ় ১৪২৫, ২৮ শাওয়াল ১৪৪০

ছয় মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যা ২০৪ জন

আসক

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে গত ছয় মাসে দেশের ২০৪ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে দেশের প্রধান জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে মানবাধিকার সংস্থাটি এই তথ্য দিয়েছে।

সংস্থাটির হিসাব বলছে, গত ছয় মাসে র?্যাবের ‘ক্রসফায়ারে’ ৫৯ জন, পুলিশের ‘ক্রসফায়ারে’ ৯২ জন, ডিবি পুলিশের ‘ক্রসফায়ারে’ ১২ জন, যৌথ বাহিনীর ‘ক্রসফায়ারে’ ১ জন, কোস্টগার্ডের ‘ক্রসফায়ারে’ ১ জন, বিজিবির ‘ক্রসফায়ারে’ ২৮ জন, পুলিশের নির্যাতনে ২ জন, পুলিশের গুলিতে ২ জন, বিজিবির গুলিতে ৩ জন ও পুলিশের হেফাজতে আত্মহত্যা করেছেন ১ জন। এছাড়া ২ জনের ‘গুলিবিদ্ধ লাশ’ উদ্ধার ও র‌্যাবের হেফাজতে অসুস্থ হয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

তাদের হিসাব অনুযায়ী গ্রেফতারের আগে ‘ক্রসফায়ারে’ মারা গেছেন ১৫১ জন ও গ্রেফতারের পরে ‘ক্রসফায়ারের’ শিকার হয়েছেন ৪২ জন। এই সময়ের মধ্যে ভুক্তভোগী পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীর অভিযোগের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে ৯ জনকে আটক করার খবর গণমাধ্যমে এসেছে। এদের মধ্যে ২ জন ফেরত এসেছেন ও ১ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। কিন্তু বাহিনীগুলো আটকের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এর বাইরে কারা হেফাজতে আরও ৩০ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র। এদের মধ্যে কয়েদি ১০ জন ও হাজতি ২০।