প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে : পলক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রতিবন্ধীদের দেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করার ওপর গুরুতারোপ করে বলেন, প্রতিবন্ধী ভাইবোনেরা অক্ষম নন বিশেষভাবে সক্ষম। প্রতিবন্ধীরা দেশের বোঝা নয় সম্পদ। তিনি বলেন যারা বিশেষভাবে সক্ষম তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আইসিটিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ করে তুলতে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

প্রতিমন্ত্রী গত ২৩ জুন গ্রীন রোডে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক ক্যাম্পাস প্রাঙ্গনে আইসিটি বিভাগ ও এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয় এর যৌথ উদ্যোগে ‘যুব প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য জাতীয় আইটি প্রতিযোগিতা-২০১৯ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।

পলক বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর ৭টি আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রায় ৩ হাজার প্রতিবন্ধী তরুণ তরুণীর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছরে আইসিটি খাতে ১০ লাখ তরুণ তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে যার অন্তত ১ শতাংশ হবে প্রতিবন্ধীরা।

অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আইটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ১০০ জন প্রতিযোগীর মধ্যে থেকে চারটি ক্যাটেগরিতে তিন জন করে মোট ১২ জন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিভাগে বগুড়ার সহদেব কুমার, সিলেটের জয়দ্বীন রায় এবং বরিশালের জহিদুল ইসলাম; শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্যাটেগরিতে বরিশালের সাজ্জাদুল ইসলাম স্বাধীন, ইয়ামিন হোসেন আমিন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের সজীব আলী; বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিভাগে কুষ্টিয়ার নাজমুস সাইফ, ব্রাহ্মণবাডিয়ার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এবং ঢাকার ফারহান ইকবাল এবং নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী বিভাগে ঢাকার রিশতা গালিব, ফেনীর রাফিউল ইসলাম এবং ঢাকার আশিকুর রহমান। এছাড়াও বিশেষ ক্যাটাগরিতে আরও দুই জন প্রতিযোগীকে পুরস্কৃত করা হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে ইউনিভার্সিটি অব এশিয় প্যাসিফিক এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী, বিসিসি এর নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে দিনব্যাপী এমন জাতীয় আইটি প্রতিযোগিতা প্রথমবারের মতো আয়োজিত হয়। এটি ছিল চতুর্থ আয়োজন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০১৯ , ১৮ আষাঢ় ১৪২৫, ২৮ শাওয়াল ১৪৪০

প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে : পলক

image

তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রতিবন্ধীদের দেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করার ওপর গুরুতারোপ করে বলেন, প্রতিবন্ধী ভাইবোনেরা অক্ষম নন বিশেষভাবে সক্ষম। প্রতিবন্ধীরা দেশের বোঝা নয় সম্পদ। তিনি বলেন যারা বিশেষভাবে সক্ষম তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আইসিটিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ করে তুলতে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

প্রতিমন্ত্রী গত ২৩ জুন গ্রীন রোডে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক ক্যাম্পাস প্রাঙ্গনে আইসিটি বিভাগ ও এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয় এর যৌথ উদ্যোগে ‘যুব প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য জাতীয় আইটি প্রতিযোগিতা-২০১৯ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।

পলক বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর ৭টি আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রায় ৩ হাজার প্রতিবন্ধী তরুণ তরুণীর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছরে আইসিটি খাতে ১০ লাখ তরুণ তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে যার অন্তত ১ শতাংশ হবে প্রতিবন্ধীরা।

অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আইটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ১০০ জন প্রতিযোগীর মধ্যে থেকে চারটি ক্যাটেগরিতে তিন জন করে মোট ১২ জন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিভাগে বগুড়ার সহদেব কুমার, সিলেটের জয়দ্বীন রায় এবং বরিশালের জহিদুল ইসলাম; শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্যাটেগরিতে বরিশালের সাজ্জাদুল ইসলাম স্বাধীন, ইয়ামিন হোসেন আমিন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের সজীব আলী; বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিভাগে কুষ্টিয়ার নাজমুস সাইফ, ব্রাহ্মণবাডিয়ার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এবং ঢাকার ফারহান ইকবাল এবং নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী বিভাগে ঢাকার রিশতা গালিব, ফেনীর রাফিউল ইসলাম এবং ঢাকার আশিকুর রহমান। এছাড়াও বিশেষ ক্যাটাগরিতে আরও দুই জন প্রতিযোগীকে পুরস্কৃত করা হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে ইউনিভার্সিটি অব এশিয় প্যাসিফিক এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী, বিসিসি এর নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে দিনব্যাপী এমন জাতীয় আইটি প্রতিযোগিতা প্রথমবারের মতো আয়োজিত হয়। এটি ছিল চতুর্থ আয়োজন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।