এলএনজি ব্যবসায়ীদের পকেট ভারী করতে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হয়

ফখরুল

এলএনজি গ্যাস ব্যবসায়ীদের পকেট ভারী করতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে শুধু যারা ব্যবসায়ী, যারা এলএনজি গ্যাস আমদানি করছে, তাদের জন্য। অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে লুট করা যে অর্থ, তা দিয়ে তারা তাদের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করছে।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশের (অ্যাব) এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রকৌশলী হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শওকত মাহমুদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেট প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব ফখরুল বলেন, এই বাজেটের নাম করে তারা ট্যাক্স আরোপ করছে। মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও সাধারণ মানুষের পকেট কেটে নিয়ে তারা তাদের লুণ্ঠনের সম্পদ বৃদ্ধি করছে। বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ গরিব থেকে গরিব হচ্ছে এবং ধনী-গরিবের ব্যবধান আরও বাড়ছে। তিনি বলেন, বাজেটের মাধ্যমে তারা একদিকে যেমন জনগণের সম্পদ লুট করে নিচ্ছে, অন্যদিকে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে মানুষকে আরও বেশি করে সংকটে ফেলে দিয়েছে। এই সরকার এক এক করে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক জীবনে এক ভয়াবহ সংকটের সৃষ্টি করেছে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, এই সংকট নিরসনের একমাত্র পথ খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তাকে মুক্তি দেয়ার মধ্য দিয়ে আমরা একটা সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতে পারি। অবিলম্বে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন এবং অবিলম্বে এই নির্বাচনের ফল বাতিল করে, নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন দিন।

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০১৯ , ১৮ আষাঢ় ১৪২৫, ২৮ শাওয়াল ১৪৪০

এলএনজি ব্যবসায়ীদের পকেট ভারী করতে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হয়

ফখরুল

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

এলএনজি গ্যাস ব্যবসায়ীদের পকেট ভারী করতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে শুধু যারা ব্যবসায়ী, যারা এলএনজি গ্যাস আমদানি করছে, তাদের জন্য। অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে লুট করা যে অর্থ, তা দিয়ে তারা তাদের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করছে।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশের (অ্যাব) এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রকৌশলী হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শওকত মাহমুদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেট প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব ফখরুল বলেন, এই বাজেটের নাম করে তারা ট্যাক্স আরোপ করছে। মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও সাধারণ মানুষের পকেট কেটে নিয়ে তারা তাদের লুণ্ঠনের সম্পদ বৃদ্ধি করছে। বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ গরিব থেকে গরিব হচ্ছে এবং ধনী-গরিবের ব্যবধান আরও বাড়ছে। তিনি বলেন, বাজেটের মাধ্যমে তারা একদিকে যেমন জনগণের সম্পদ লুট করে নিচ্ছে, অন্যদিকে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে মানুষকে আরও বেশি করে সংকটে ফেলে দিয়েছে। এই সরকার এক এক করে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক জীবনে এক ভয়াবহ সংকটের সৃষ্টি করেছে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, এই সংকট নিরসনের একমাত্র পথ খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তাকে মুক্তি দেয়ার মধ্য দিয়ে আমরা একটা সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতে পারি। অবিলম্বে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন এবং অবিলম্বে এই নির্বাচনের ফল বাতিল করে, নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন দিন।