জন্ম : ১৭৩২
মৃত্যু : ২ জুলাই, ১৭৫৭
নবাব সিরাজউদদ্দৌলা বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব। পলাশীর যুদ্ধে তার পরাজয় ও মৃত্যুর পরই ভারতবর্ষে ইংরেজ-শাসনের সূচনা হয়। তিনি ছিলেন বাংলার নবাব আলীবর্দী খানের দৌহিত্র। আলীবর্দী খানের কোন ছেলে সন্তান ছিল না। তার ছিল তিন মেয়ে। তিন মেয়েকেই তিনি নিজের বড়ভাই হাজি আহমদের তিন ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেন। সিরাজউদদ্দৌলার মা ছিলেন আমেনা বেগম। তার জন্মতারিখ বা সাল নিয়ে মতভেদ আছে। অধিক গ্রহণযোগ্য মতো হলো ১৭৩২ সাল।
সিরাজউদদ্দৌলা সিংহাসনে আরোহণের পর কলকাতায় ইংরেজদের প্রতাপ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। তিনি তাদের দমন করার জন্য কাশিমবাজারের কুঠিয়াল ওয়াটসনকে কলকাতার দুর্গপ্রাচীর ভেঙে ফেলতে ও ভবিষ্যতে নবাবের পূর্বানুমতি ছাড়া এ ধরনের কাজ না করার নির্দেশ দেন।
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে পলাশীর যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন সকাল থেকেই পলাশীর প্রান্তরে নবাব বাহিনীর বিরুদ্ধে ইংরেজরা মুখোমুখি যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। যুদ্ধে নবাবের বাহিনী সুবিধজনক অবস্থায় থাকলেও ইংরেজদের দেশীয় দোসরদের ষড়যন্ত্রে ও বৃষ্টিতে নবাবের গোলাবারুদ ভিজে গেলে তিনি পরাস্ত হন।
যুদ্ধে ১৬ জন দেশীয় সৈন্য এবং সাতজন ইউরোপিয়ান নিহত হয়। রাজধানীকে রক্ষা করার জন্য নবাব দুই হাজার সৈন্য নিয়ে মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু রাজধানী রক্ষা করার জন্যেও কেউ তাকে সাহায্য করেনি। এরপর তিনি স্থলপথে ভগবানগোলায় যান। সেখান থেকে নৌকাযোগে পদ্মা ও মহানন্দা নদীর মধ্য দিয়ে উত্তর দিক অভিমুখে যাত্রা করেন। তার আশা ছিল পশ্চিমাঞ্চলে পৌঁছাতে পারলে ফরাসি বাহিনীর সহায়তায় বাংলাকে রক্ষা করবেন।
পথে তিনি ধরা পড়েন। ১৭৫৭ সালের ৩ জুলাই মিরজাফরের আদেশে তার পুত্র মিরনের তত্ত্বাবধানে ঘাতক মুহম্মদি বেগ নবাবকে হত্যা করে।
ইন্টারনেট
মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০১৯ , ১৮ আষাঢ় ১৪২৫, ২৮ শাওয়াল ১৪৪০
জন্ম : ১৭৩২
মৃত্যু : ২ জুলাই, ১৭৫৭
নবাব সিরাজউদদ্দৌলা বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব। পলাশীর যুদ্ধে তার পরাজয় ও মৃত্যুর পরই ভারতবর্ষে ইংরেজ-শাসনের সূচনা হয়। তিনি ছিলেন বাংলার নবাব আলীবর্দী খানের দৌহিত্র। আলীবর্দী খানের কোন ছেলে সন্তান ছিল না। তার ছিল তিন মেয়ে। তিন মেয়েকেই তিনি নিজের বড়ভাই হাজি আহমদের তিন ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেন। সিরাজউদদ্দৌলার মা ছিলেন আমেনা বেগম। তার জন্মতারিখ বা সাল নিয়ে মতভেদ আছে। অধিক গ্রহণযোগ্য মতো হলো ১৭৩২ সাল।
সিরাজউদদ্দৌলা সিংহাসনে আরোহণের পর কলকাতায় ইংরেজদের প্রতাপ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। তিনি তাদের দমন করার জন্য কাশিমবাজারের কুঠিয়াল ওয়াটসনকে কলকাতার দুর্গপ্রাচীর ভেঙে ফেলতে ও ভবিষ্যতে নবাবের পূর্বানুমতি ছাড়া এ ধরনের কাজ না করার নির্দেশ দেন।
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে পলাশীর যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন সকাল থেকেই পলাশীর প্রান্তরে নবাব বাহিনীর বিরুদ্ধে ইংরেজরা মুখোমুখি যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। যুদ্ধে নবাবের বাহিনী সুবিধজনক অবস্থায় থাকলেও ইংরেজদের দেশীয় দোসরদের ষড়যন্ত্রে ও বৃষ্টিতে নবাবের গোলাবারুদ ভিজে গেলে তিনি পরাস্ত হন।
যুদ্ধে ১৬ জন দেশীয় সৈন্য এবং সাতজন ইউরোপিয়ান নিহত হয়। রাজধানীকে রক্ষা করার জন্য নবাব দুই হাজার সৈন্য নিয়ে মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু রাজধানী রক্ষা করার জন্যেও কেউ তাকে সাহায্য করেনি। এরপর তিনি স্থলপথে ভগবানগোলায় যান। সেখান থেকে নৌকাযোগে পদ্মা ও মহানন্দা নদীর মধ্য দিয়ে উত্তর দিক অভিমুখে যাত্রা করেন। তার আশা ছিল পশ্চিমাঞ্চলে পৌঁছাতে পারলে ফরাসি বাহিনীর সহায়তায় বাংলাকে রক্ষা করবেন।
পথে তিনি ধরা পড়েন। ১৭৫৭ সালের ৩ জুলাই মিরজাফরের আদেশে তার পুত্র মিরনের তত্ত্বাবধানে ঘাতক মুহম্মদি বেগ নবাবকে হত্যা করে।
ইন্টারনেট