গ্যাসের দাম বৃদ্ধি ব্যবসায় প্রভাব ফেলবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে ব্যবসায় অবশ্যই প্রভাব পড়বে উল্লেখ করে আর কত ভর্তুকি দিয়ে চালানো যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হু ক্যাং ইলের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

মতবিনিময়কালে বাণিজ্য সচিব মফিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে ব্যবসায় অবশ্যই প্রভাব পড়বে। তবে আর কত ভর্তুকি দিয়ে চালানো যাবে। আমাদের নিজস্ব সোর্স থেকে গ্যাস শেষ হয়ে আসছে। বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানি করতে অনেক বেশি দাম পড়ে। ওই অনুযায়ী দাম বাড়ানো হয়নি। যত খরচ পড়ছে, তত চাপিয়ে দেয়া হয়নি। দামে কিছুটা সমন্বয় করা হয়েছে। আগামীতে গ্যাসের চাহিদা পূরণে আমাদের আরও গ্যাস আমদানি করতে হবে। আমরা আমদানি করেই চাহিদা পূরণ করব। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শিল্প খাতে যত গ্যাস প্রয়োজন, তত দিতে হবে। কিন্তু আমদানিতে যে দাম পড়ছে, ওই দাম বাড়ানোর কথা তো চিন্তাও করা যাবে না। দাম কিছুটা তো সমন্বয় করতে হবে। চিন্তাভাবনা করেই দাম বাড়ানো হয়েছে। দাম বাড়ার ফলে ব্যবসায় প্রভাব পড়বে জানিয়ে তিনি বলেন, দাম বাড়ানোর ফলে ব্যবসায় কিছু প্রভাব তো পড়বেই। বিনিয়োগেও কিছুটা চাপ বাড়বে। সেটিকে মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে। ব্যবসায়ীদের দাবি ছিলÑ যেন আলোচনা করে এটি করা হয়। আগামীতে আরও আলোচনা করতে হবে। এসব নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আবারও বসব। গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য পণ্যে দাম কী পরিমাণ বাড়বে, এটিও দেখতে হবে। কত ভর্তুকি দিয়ে আমরা এ খাতটি চালাব। বাড়িতে বাড়িতে গ্যাস দেয়া হচ্ছে। তাদের ক্ষেত্রেও দাম বেড়েছে। আমরা যদি ২ কোটি মানুষকে গ্যাস দিই, তাহলে ২ কোটির ওপর চাপ পড়বে। বাকি ১৩ কিংবা ১৫ কোটি মানুষের তেমন কিছু হবে না। তারপরও এক্ষেত্রে দামটি এমনভাবে বাড়ানো হয়েছেÑ যাতে চাপটি সহ্য করা যায়।

টিপু মুনশি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া এখন এশিয়ার শিল্প খাতে রোল মডেল। তাদের মাথাপিছু আয় ৩০ হাজার ডলার। তারা যেভাবে উন্নত হয়েছেন, আমরা ওই স্টাইলে যেতে চাই। তাদের পদ্ধতি গ্রহণ করতে চাই। তিনি বলেন, ১৩ জুলাই বিকেলে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী লি নাক-ইয়োন। তার সঙ্গে ১০০ ব্যবসায়ীসহ ৪০ থেকে ৫০ সরকারি কর্মকর্তা আসবেন। ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ১৪ জুলাই বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিভিন্ন বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়েছে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রীর আরও আগে আসার কথা থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে আসতে পারেননি। বিভিন্ন হেভি মেশিনারি, পাওয়ার জেনারেশন, অবকাঠামোসহ যেসব খাতে তারা অভিজ্ঞ, সেসব খাতে দেশে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০১৯ , ১৯ আষাঢ় ১৪২৫, ২৯ শাওয়াল ১৪৪০

গ্যাসের দাম বৃদ্ধি ব্যবসায় প্রভাব ফেলবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে ব্যবসায় অবশ্যই প্রভাব পড়বে উল্লেখ করে আর কত ভর্তুকি দিয়ে চালানো যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হু ক্যাং ইলের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

মতবিনিময়কালে বাণিজ্য সচিব মফিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে ব্যবসায় অবশ্যই প্রভাব পড়বে। তবে আর কত ভর্তুকি দিয়ে চালানো যাবে। আমাদের নিজস্ব সোর্স থেকে গ্যাস শেষ হয়ে আসছে। বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানি করতে অনেক বেশি দাম পড়ে। ওই অনুযায়ী দাম বাড়ানো হয়নি। যত খরচ পড়ছে, তত চাপিয়ে দেয়া হয়নি। দামে কিছুটা সমন্বয় করা হয়েছে। আগামীতে গ্যাসের চাহিদা পূরণে আমাদের আরও গ্যাস আমদানি করতে হবে। আমরা আমদানি করেই চাহিদা পূরণ করব। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শিল্প খাতে যত গ্যাস প্রয়োজন, তত দিতে হবে। কিন্তু আমদানিতে যে দাম পড়ছে, ওই দাম বাড়ানোর কথা তো চিন্তাও করা যাবে না। দাম কিছুটা তো সমন্বয় করতে হবে। চিন্তাভাবনা করেই দাম বাড়ানো হয়েছে। দাম বাড়ার ফলে ব্যবসায় প্রভাব পড়বে জানিয়ে তিনি বলেন, দাম বাড়ানোর ফলে ব্যবসায় কিছু প্রভাব তো পড়বেই। বিনিয়োগেও কিছুটা চাপ বাড়বে। সেটিকে মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে। ব্যবসায়ীদের দাবি ছিলÑ যেন আলোচনা করে এটি করা হয়। আগামীতে আরও আলোচনা করতে হবে। এসব নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আবারও বসব। গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য পণ্যে দাম কী পরিমাণ বাড়বে, এটিও দেখতে হবে। কত ভর্তুকি দিয়ে আমরা এ খাতটি চালাব। বাড়িতে বাড়িতে গ্যাস দেয়া হচ্ছে। তাদের ক্ষেত্রেও দাম বেড়েছে। আমরা যদি ২ কোটি মানুষকে গ্যাস দিই, তাহলে ২ কোটির ওপর চাপ পড়বে। বাকি ১৩ কিংবা ১৫ কোটি মানুষের তেমন কিছু হবে না। তারপরও এক্ষেত্রে দামটি এমনভাবে বাড়ানো হয়েছেÑ যাতে চাপটি সহ্য করা যায়।

টিপু মুনশি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া এখন এশিয়ার শিল্প খাতে রোল মডেল। তাদের মাথাপিছু আয় ৩০ হাজার ডলার। তারা যেভাবে উন্নত হয়েছেন, আমরা ওই স্টাইলে যেতে চাই। তাদের পদ্ধতি গ্রহণ করতে চাই। তিনি বলেন, ১৩ জুলাই বিকেলে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী লি নাক-ইয়োন। তার সঙ্গে ১০০ ব্যবসায়ীসহ ৪০ থেকে ৫০ সরকারি কর্মকর্তা আসবেন। ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ১৪ জুলাই বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিভিন্ন বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়েছে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রীর আরও আগে আসার কথা থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে আসতে পারেননি। বিভিন্ন হেভি মেশিনারি, পাওয়ার জেনারেশন, অবকাঠামোসহ যেসব খাতে তারা অভিজ্ঞ, সেসব খাতে দেশে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।