নলছিটিতে দুই ইউনিয়নের যোগাযোগের মাধ্যম মানপাশা সেতুটি সংস্কার না করায় নলছিটির সিদ্ধকাঠী ও কুশঙ্গল ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি এখন চরমে। এছাড়া এই পথ দিয়ে পটুয়াখালী, বরগুনা ও কুয়াকাটা যাওয়ার সহজ পথ হওয়ায় ফলে হালকা ও ভারি যানবহন চলাচল করত। কিন্তু সেতুর কারণে জনদুর্ভোগের শেষ নেই।
ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু সেতুটি নির্মাণে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিলেও আজ পর্যন্ত কার্যকরি কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। ভগ্ন এ সেতুটি দিয়ে সিএনজি, অটোরিকশা ও ছোট গাড়ি চলাচল করলেও বর্তমানে তা বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন শিকদার জনস্বার্থে বাইপাস সড়ক নির্মাণ করলেও ব্রিজ নির্মাণে আশ্বাস ছাড়া কিছুই দেখা যাচ্ছে না বলে জানান।
ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার ৮ নম্বর সিদ্ধকাঠী ৬ নম্বর কুশাঙ্গল ইউনিয়নের মাঝে এ সংযোগ সেতুটি মানপাশা বাজার সংলগ্ন। ১৯৮৮সালে সেতুটি নির্মাণের পর ত্রিশ বছর পার হয়ে গেলেও এটি সংস্কার বা পূণঃনির্মাণে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। নলছিটি থেকে এই সড়ক ধরে মোল্লারহাটের খেঁজুরতলা হয়ে বরগুনা, পটুয়াখালী, কুয়াকাটা যাতায়াতসহ নলছিটি-বরিশাল, নিয়ামতি, নাচনমহল, সুবিদপুর, রানাপাশা, বাকেরগঞ্জে সড়ক পথে যাতায়াতে এ সেতুটি জন গুরুত্বপূর্ণ। নলছিটি উপজেলার কুশাঙ্গল ইউনিয়নের মানপাশা একটি বৃহৎ বাজার। ছোট বড় মিলিয়ে ৩ শতাধিক দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ব্যবসায়ীদের মালামাল পরিবহনের জন্য সেতুটি এখন একটি বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু বললেন, তার পরামর্শ অনুযায়ী আমি ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩ মাস তা নির্মাণ করেছি।
সেতুটি নির্মাণে দ্রুত উদ্যোগ না নিলে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদিও নির্বাহী প্রকৌশলী আশ্বাস দিচ্ছেন বরাদ্দ এলে শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।
এ ব্যাপারে এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন বলেন, সেতুটির বেহাল দশা এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। জাইকা প্রকল্পে সেতুটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি কনসালটেন্টকে এর ডিজাইন নির্মাণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ডিজাইনের পর বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশ্রাফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সেতুটি জাইকার অর্থায়নে হবে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ ব্রিজটি নির্মাণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। এলাকাবাসী অচিরেই এ সেতুটি নির্মাণের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার, ০৩ জুলাই ২০১৯ , ১৯ আষাঢ় ১৪২৫, ২৯ শাওয়াল ১৪৪০
মিলন কান্তি দাস, নলছিটি ঝালকাঠি
নলছিটিতে দুই ইউনিয়নের যোগাযোগের মাধ্যম মানপাশা সেতুটি সংস্কার না করায় নলছিটির সিদ্ধকাঠী ও কুশঙ্গল ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি এখন চরমে। এছাড়া এই পথ দিয়ে পটুয়াখালী, বরগুনা ও কুয়াকাটা যাওয়ার সহজ পথ হওয়ায় ফলে হালকা ও ভারি যানবহন চলাচল করত। কিন্তু সেতুর কারণে জনদুর্ভোগের শেষ নেই।
ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু সেতুটি নির্মাণে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিলেও আজ পর্যন্ত কার্যকরি কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। ভগ্ন এ সেতুটি দিয়ে সিএনজি, অটোরিকশা ও ছোট গাড়ি চলাচল করলেও বর্তমানে তা বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন শিকদার জনস্বার্থে বাইপাস সড়ক নির্মাণ করলেও ব্রিজ নির্মাণে আশ্বাস ছাড়া কিছুই দেখা যাচ্ছে না বলে জানান।
ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার ৮ নম্বর সিদ্ধকাঠী ৬ নম্বর কুশাঙ্গল ইউনিয়নের মাঝে এ সংযোগ সেতুটি মানপাশা বাজার সংলগ্ন। ১৯৮৮সালে সেতুটি নির্মাণের পর ত্রিশ বছর পার হয়ে গেলেও এটি সংস্কার বা পূণঃনির্মাণে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। নলছিটি থেকে এই সড়ক ধরে মোল্লারহাটের খেঁজুরতলা হয়ে বরগুনা, পটুয়াখালী, কুয়াকাটা যাতায়াতসহ নলছিটি-বরিশাল, নিয়ামতি, নাচনমহল, সুবিদপুর, রানাপাশা, বাকেরগঞ্জে সড়ক পথে যাতায়াতে এ সেতুটি জন গুরুত্বপূর্ণ। নলছিটি উপজেলার কুশাঙ্গল ইউনিয়নের মানপাশা একটি বৃহৎ বাজার। ছোট বড় মিলিয়ে ৩ শতাধিক দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ব্যবসায়ীদের মালামাল পরিবহনের জন্য সেতুটি এখন একটি বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু বললেন, তার পরামর্শ অনুযায়ী আমি ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩ মাস তা নির্মাণ করেছি।
সেতুটি নির্মাণে দ্রুত উদ্যোগ না নিলে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদিও নির্বাহী প্রকৌশলী আশ্বাস দিচ্ছেন বরাদ্দ এলে শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।
এ ব্যাপারে এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন বলেন, সেতুটির বেহাল দশা এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। জাইকা প্রকল্পে সেতুটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি কনসালটেন্টকে এর ডিজাইন নির্মাণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ডিজাইনের পর বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশ্রাফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সেতুটি জাইকার অর্থায়নে হবে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ ব্রিজটি নির্মাণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। এলাকাবাসী অচিরেই এ সেতুটি নির্মাণের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।