টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর দুই স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কলেজ পরিচালনা পরিষদ। একইসঙ্গে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেকের কার্যালয়ে তার উপস্থিতিতে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট এ তথ্য প্রকাশ করেন মহিলা কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি লতীফপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন।
জানা যায়, গত ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখ বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজের একটি কক্ষে আটকিয়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর দুই ছাত্রীকে অধ্যক্ষ শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ সময় ওই দুই ছাত্রীর চিৎকার শুনে এক ছাত্রীর মা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজন নিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। পুলিশ খবর পেয়ে কলেজ অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার কিছু সময় পরে ছেড়ে দেয়া হয়। ওই দুই ছাত্রীর অভিভাবক এ বিষয়ে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল মালেকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। বিষয়টি টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলামের নজরে আসলে তিনি তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. হারুন অর রশিদকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ঠ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন কৃষি অফিসার মো. মশিউর রহমান এবং মহিলাবিষয়ক অফিসার মিনু পারভীন।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর গত ২৪ জুন মহিলা কলেজ পরিচালনা পরিষদের এক বৈঠক শিক্ষকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে কলেজের অভিযুক্ত অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত এবং কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। ১৫ দিনের মধ্যে উপযুক্ত কারন দর্শাতে ব্যার্থ হলে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে বলে কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. জাকির হোসেন মঙ্গলবার সকালে স্থানী গণমাধ্যম কর্মীদের অবহিত করেন।
বুধবার, ০৩ জুলাই ২০১৯ , ১৯ আষাঢ় ১৪২৫, ২৯ শাওয়াল ১৪৪০
প্রতিনিধি, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর দুই স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কলেজ পরিচালনা পরিষদ। একইসঙ্গে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেকের কার্যালয়ে তার উপস্থিতিতে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট এ তথ্য প্রকাশ করেন মহিলা কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি লতীফপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন।
জানা যায়, গত ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখ বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজের একটি কক্ষে আটকিয়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর দুই ছাত্রীকে অধ্যক্ষ শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ সময় ওই দুই ছাত্রীর চিৎকার শুনে এক ছাত্রীর মা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজন নিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। পুলিশ খবর পেয়ে কলেজ অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার কিছু সময় পরে ছেড়ে দেয়া হয়। ওই দুই ছাত্রীর অভিভাবক এ বিষয়ে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল মালেকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। বিষয়টি টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলামের নজরে আসলে তিনি তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. হারুন অর রশিদকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ঠ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন কৃষি অফিসার মো. মশিউর রহমান এবং মহিলাবিষয়ক অফিসার মিনু পারভীন।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর গত ২৪ জুন মহিলা কলেজ পরিচালনা পরিষদের এক বৈঠক শিক্ষকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে কলেজের অভিযুক্ত অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত এবং কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। ১৫ দিনের মধ্যে উপযুক্ত কারন দর্শাতে ব্যার্থ হলে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে বলে কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. জাকির হোসেন মঙ্গলবার সকালে স্থানী গণমাধ্যম কর্মীদের অবহিত করেন।