জড়িতদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে

হাইকোর্ট

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্রিন সিটি আবাসন প্রকল্প নিয়ে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল এবং ওই প্রতিবেদন অনুসারে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা দুই সপ্তাহের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন ভবনে আসবাবপত্র বিশ্বস্ততার সঙ্গে (গুড ফেইথ) কেনা ও উত্তোলনের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।

পরে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন ভবনে আসবাবপত্র কেনায় যারা বিশ্বাস্ততা দেখানোর কথা ছিল, তারা সেখানে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন। এ ব্যর্থ হওয়াটা কেন অবৈধ বলে বিবেচনা করা হবে না, এ মর্মে রুল প্রদান করেছেন আদালত।

এছাড়া, আদালত সরকার পক্ষকে বলেছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তারা কী প্রতিবেদন নিয়ে আসবেন, এটা জমা দেয়ার জন্য এবং রিপোর্টের ভিত্তিতে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, তাও দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতকে জানানোর কথা রিটে উল্লেখ করা হয়েছে।

রিটের বিবাদীরা হচ্ছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকোশলী, রাজশাহীর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক।

প্রসঙ্গত, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্রিনসিটি প্রকল্পের ১১০ ফ্ল্যাটের জন্য অস্বাভাবিক দামে আসবাবপত্র কেনা ও ভবনে ওঠানোর ঘটনা অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে এ ঘটনা তদন্তের জন্য গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীকে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের তদন্তে দুর্নীতি প্রমাণিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তদন্ত প্রতিবেদন দুদককে দেয়া হবে। দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্রিনসিটি প্রকল্পে ২০ ও ১৬ তলা ভবনের ১১০টি ফ্ল্যাটের আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনা এবং ভবনে ওঠানোর কাজে অস্বাভাবিক ব্যয় নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

গত ১৯ মে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্রিন সিটি আবাসন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন।

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০১৯ , ১৯ আষাঢ় ১৪২৫, ২৯ শাওয়াল ১৪৪০

রূপপুর দুর্নীতি

জড়িতদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে

হাইকোর্ট

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্রিন সিটি আবাসন প্রকল্প নিয়ে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল এবং ওই প্রতিবেদন অনুসারে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা দুই সপ্তাহের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন ভবনে আসবাবপত্র বিশ্বস্ততার সঙ্গে (গুড ফেইথ) কেনা ও উত্তোলনের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।

পরে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন ভবনে আসবাবপত্র কেনায় যারা বিশ্বাস্ততা দেখানোর কথা ছিল, তারা সেখানে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন। এ ব্যর্থ হওয়াটা কেন অবৈধ বলে বিবেচনা করা হবে না, এ মর্মে রুল প্রদান করেছেন আদালত।

এছাড়া, আদালত সরকার পক্ষকে বলেছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তারা কী প্রতিবেদন নিয়ে আসবেন, এটা জমা দেয়ার জন্য এবং রিপোর্টের ভিত্তিতে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, তাও দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতকে জানানোর কথা রিটে উল্লেখ করা হয়েছে।

রিটের বিবাদীরা হচ্ছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকোশলী, রাজশাহীর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক।

প্রসঙ্গত, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্রিনসিটি প্রকল্পের ১১০ ফ্ল্যাটের জন্য অস্বাভাবিক দামে আসবাবপত্র কেনা ও ভবনে ওঠানোর ঘটনা অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে এ ঘটনা তদন্তের জন্য গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীকে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের তদন্তে দুর্নীতি প্রমাণিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তদন্ত প্রতিবেদন দুদককে দেয়া হবে। দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্রিনসিটি প্রকল্পে ২০ ও ১৬ তলা ভবনের ১১০টি ফ্ল্যাটের আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনা এবং ভবনে ওঠানোর কাজে অস্বাভাবিক ব্যয় নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

গত ১৯ মে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্রিন সিটি আবাসন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন।