সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার ২১৫৮ শিশু

গত ছয় মাসে ২১৫৮টি শিশু বিভিন্ন ধরনের সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এরমধ্যে ৯৮৮টি শিশু বিভিন্ন ধরনের অপমৃত্যুর শিকার হয়েছে এবং ৭২৬টি শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের (বিএসএএফ) শিশু অধিকার পরিস্থিতি-২০১৯ জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ১৫টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সংবাদ পর্যালোচনা করে এমন প্রতিবেদন তৈরি করেছে শিশু অধিকার বিষয়ে কাজ করে এমন ২৬৯টি বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন বা এনজিও সমূহের এটি একটি জাতীয় নেটওয়ার্ক বিএসএএফ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৯ সালের প্রথম ৬ মাসে উল্লেখযোগ্য শিশু নির্যাতনের ঘটনাগুলো হলো- হত্যা, ধর্ষণ, আত্মহত্যা, বিভিন্ন দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যু। যেমন : পানিতে ডুবে, সড়ক দুর্ঘটনায়; নিখোঁজপরবর্তী মৃত অবস্থায় পাওয়া, বাবা-মায়ের হাতে নিহত হওয়া এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পিটিয়ে নির্যাতন। বিএসএএফ বলছে, গত বছরের তুলনায় এই বছরের প্রথম ৬ মাসে দেশে শিশু ধর্ষণ বেড়েছে ৪১% হারে,যা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। বছরের প্রথম ছয় মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪৯৬টি শিশু। যেখানে গত বছরের প্রথম ছয় মাসে এই সংখ্যা ছিল ৩৫১টি। এপ্রিল এবং মে এই দুই মাসেই শিশু ধর্ষণ হয়েছে ২৪১টি যা মোট ধর্ষণের অর্ধেকেরও বেশি। এই ৪৯৬টি ধর্ষণ হওয়া শিশুর মধ্যে ৫৩টি শিশুকে গণধর্ষণ করা হয়েছে এবং ২৭টি প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং ২৩ জন শিশুকে ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয়েছে।

বিএসএএফ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ২০৫টি শিশু হত্যা করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৮টি শিশু বাবা-মায়ের হাতে হত্যার শিকার হয়েছে। এছাড়াও এই সময়ে ১২০টি শিশু অপহরণ হয়েছে এবং ৭২ টি শিশু নিখোঁজ হয়েছে। অপহরণ হওয়া শিশুদের মধ্যে ৬১টি শিশুকে অপহরণের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা জীবিত উদ্ধার করা গিয়েছে। কিন্তু নিখোঁজ হওয়া শিশুদের মধ্যে ২৪টি শিশুকে মৃত/হত্যা করা অবস্থায় পাওয়া যায়। এছাড়াও সড়ক দুর্ঘটনায় এবং পানিতে ডুবে যথাক্রমে ২৮৬ এবং ১৯৪ টি শিশু নিহত হয়েছে, ৯৩টি শিশু আত্মহত্যা করেছে এবং ২৭টি শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শারীরিক শাস্তি/নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০১৯ , ১৯ আষাঢ় ১৪২৫, ২৯ শাওয়াল ১৪৪০

ছয় মাসে

সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার ২১৫৮ শিশু

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

গত ছয় মাসে ২১৫৮টি শিশু বিভিন্ন ধরনের সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এরমধ্যে ৯৮৮টি শিশু বিভিন্ন ধরনের অপমৃত্যুর শিকার হয়েছে এবং ৭২৬টি শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের (বিএসএএফ) শিশু অধিকার পরিস্থিতি-২০১৯ জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ১৫টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সংবাদ পর্যালোচনা করে এমন প্রতিবেদন তৈরি করেছে শিশু অধিকার বিষয়ে কাজ করে এমন ২৬৯টি বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন বা এনজিও সমূহের এটি একটি জাতীয় নেটওয়ার্ক বিএসএএফ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৯ সালের প্রথম ৬ মাসে উল্লেখযোগ্য শিশু নির্যাতনের ঘটনাগুলো হলো- হত্যা, ধর্ষণ, আত্মহত্যা, বিভিন্ন দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যু। যেমন : পানিতে ডুবে, সড়ক দুর্ঘটনায়; নিখোঁজপরবর্তী মৃত অবস্থায় পাওয়া, বাবা-মায়ের হাতে নিহত হওয়া এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পিটিয়ে নির্যাতন। বিএসএএফ বলছে, গত বছরের তুলনায় এই বছরের প্রথম ৬ মাসে দেশে শিশু ধর্ষণ বেড়েছে ৪১% হারে,যা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। বছরের প্রথম ছয় মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪৯৬টি শিশু। যেখানে গত বছরের প্রথম ছয় মাসে এই সংখ্যা ছিল ৩৫১টি। এপ্রিল এবং মে এই দুই মাসেই শিশু ধর্ষণ হয়েছে ২৪১টি যা মোট ধর্ষণের অর্ধেকেরও বেশি। এই ৪৯৬টি ধর্ষণ হওয়া শিশুর মধ্যে ৫৩টি শিশুকে গণধর্ষণ করা হয়েছে এবং ২৭টি প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং ২৩ জন শিশুকে ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয়েছে।

বিএসএএফ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ২০৫টি শিশু হত্যা করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৮টি শিশু বাবা-মায়ের হাতে হত্যার শিকার হয়েছে। এছাড়াও এই সময়ে ১২০টি শিশু অপহরণ হয়েছে এবং ৭২ টি শিশু নিখোঁজ হয়েছে। অপহরণ হওয়া শিশুদের মধ্যে ৬১টি শিশুকে অপহরণের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা জীবিত উদ্ধার করা গিয়েছে। কিন্তু নিখোঁজ হওয়া শিশুদের মধ্যে ২৪টি শিশুকে মৃত/হত্যা করা অবস্থায় পাওয়া যায়। এছাড়াও সড়ক দুর্ঘটনায় এবং পানিতে ডুবে যথাক্রমে ২৮৬ এবং ১৯৪ টি শিশু নিহত হয়েছে, ৯৩টি শিশু আত্মহত্যা করেছে এবং ২৭টি শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শারীরিক শাস্তি/নির্যাতনের শিকার হয়েছে।