রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হজ নিয়ে ব্যবসা না করার জন্য বাংলাদেশ হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি গতকাল রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে হজ কর্মসূচি-২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। বাসস।
রাষ্ট্রপতি হজ এজেন্সিগুলোর উদ্দেশে বলেন, ‘মনে রাখবেন, হাজিরা কারও দয়া অথবা অনুকম্পা নিয়ে সৌদি আরবে যান না। বরং আপনারা তাদের কাছ থেকে লাভবান হচ্ছেন। তাই হজ ব্যবসার নামে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করবেন না, কারণ বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর।’
রাষ্ট্রপতি হজ নিয়ে নানা অভিযোগ ও অনিয়মের উল্লেখ করে বলেন, হজ ব্যবস্থাপনায় কোন প্রকার অবহেলা, অনিয়ম ও দুর্নীতি বরদাশত করা হবে না। তিনি হজ নিয়ে যেকোন ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, কোন ব্যাক্তি অথবা এজেন্সির বিরুদ্ধে কোন প্রকার অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার কোন দ্বিধা করবে না।
আবদুল হামিদ হজের সময় মক্কা এবং মদিনায় হাজিদের জন্য প্রয়োজনীয় সবরকমের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হাব প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি মক্কায় পবিত্র কাবা শরীফে নামাজ আদায়কালে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং জনগণের কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া করার জন্য হাজিদের প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি হাজিদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা পবিত্র স্থানে যাচ্ছেন, আপনারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী বীর শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করবেন।
রাষ্ট্রপতি হাজীদেরকে দেশের দূত হিসেবে উল্লেখ করে সবক্ষেত্রে দেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে তাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি তাদের উদ্দেশে বলেন, অনুগ্রহ করে আপনাদেরকে মনে রাখতে হবে, আপনাদের আচরণ ও কথায় কেউ যেন কষ্ট না পান। তিনি হজ পালন শেষে নিরাপদে সবার দেশে ফিরে আসা কামনা করেন।
হাজিদের নিরাপদ ভ্রমণ এবং তাদের হজ কবুল করতে মহান আল্লাহর কাছে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। রাষ্ট্রপতি পরে হাজিদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করেন।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে সরকারের তত্ত্বাবধানে ৬ হাজার ৯২৩ জনসহ মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ জন হাজি হজ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগামী ৪ জুলাই থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং সৌদি এয়ার লাইন্স হজ যাত্রীদের পরিবহন করবে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এমপি, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন এমপি, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব মো. মহিবুল হক, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনিসুর রহমান, ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হারকান বিন শাবিহা এবং হাবের সভাপতি এম শাহাদৎ আলী উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার, ০৩ জুলাই ২০১৯ , ১৯ আষাঢ় ১৪২৫, ২৯ শাওয়াল ১৪৪০
রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হজ নিয়ে ব্যবসা না করার জন্য বাংলাদেশ হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি গতকাল রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে হজ কর্মসূচি-২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। বাসস।
রাষ্ট্রপতি হজ এজেন্সিগুলোর উদ্দেশে বলেন, ‘মনে রাখবেন, হাজিরা কারও দয়া অথবা অনুকম্পা নিয়ে সৌদি আরবে যান না। বরং আপনারা তাদের কাছ থেকে লাভবান হচ্ছেন। তাই হজ ব্যবসার নামে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করবেন না, কারণ বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর।’
রাষ্ট্রপতি হজ নিয়ে নানা অভিযোগ ও অনিয়মের উল্লেখ করে বলেন, হজ ব্যবস্থাপনায় কোন প্রকার অবহেলা, অনিয়ম ও দুর্নীতি বরদাশত করা হবে না। তিনি হজ নিয়ে যেকোন ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, কোন ব্যাক্তি অথবা এজেন্সির বিরুদ্ধে কোন প্রকার অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার কোন দ্বিধা করবে না।
আবদুল হামিদ হজের সময় মক্কা এবং মদিনায় হাজিদের জন্য প্রয়োজনীয় সবরকমের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হাব প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি মক্কায় পবিত্র কাবা শরীফে নামাজ আদায়কালে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং জনগণের কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া করার জন্য হাজিদের প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি হাজিদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা পবিত্র স্থানে যাচ্ছেন, আপনারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী বীর শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করবেন।
রাষ্ট্রপতি হাজীদেরকে দেশের দূত হিসেবে উল্লেখ করে সবক্ষেত্রে দেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে তাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি তাদের উদ্দেশে বলেন, অনুগ্রহ করে আপনাদেরকে মনে রাখতে হবে, আপনাদের আচরণ ও কথায় কেউ যেন কষ্ট না পান। তিনি হজ পালন শেষে নিরাপদে সবার দেশে ফিরে আসা কামনা করেন।
হাজিদের নিরাপদ ভ্রমণ এবং তাদের হজ কবুল করতে মহান আল্লাহর কাছে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। রাষ্ট্রপতি পরে হাজিদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করেন।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে সরকারের তত্ত্বাবধানে ৬ হাজার ৯২৩ জনসহ মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ জন হাজি হজ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগামী ৪ জুলাই থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং সৌদি এয়ার লাইন্স হজ যাত্রীদের পরিবহন করবে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এমপি, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন এমপি, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব মো. মহিবুল হক, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনিসুর রহমান, ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হারকান বিন শাবিহা এবং হাবের সভাপতি এম শাহাদৎ আলী উপস্থিত ছিলেন।