দেশে ফিরেছেন ২৯ বাংলাদেশি

অপেক্ষায় আরও ৬০ পরিবার

লিবিয়ায় যুদ্ধাবস্থার মুখে ত্রিপোলি ছেড়ে গতকাল বাংলাদেশে পৌঁছান ২৯ বাংলাদেশি। আশপাশের শহরগুলো থেকে আরও ৬০টি পরিবার বাংলাদেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছে লিবিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস। স্বেচ্ছায় যারা দেশে ফিরতে চাচ্ছেন, তাদের নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশের দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম)।

যুদ্ধাবস্থা শুরু হওয়ার পর থেকেই ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে আগ্রহীদের জন্য রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা চালু করা হয়। ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা যায়, স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে আগ্রহীদের মধ্যে আইওএমের মাধ্যমে প্রথম গ্রুপে ৩৫, দ্বিতীয় গ্রুপে ৩৭ ও তৃতীয় গ্রুপে ৩৫ জনসহ ১০৭ জনের টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকিরা ৩ ও ৫ জুলাই দেশে ফেরত আসবেন বলে ধারণা করা যাচ্ছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, লিবিয়া থেকে ইস্তাম্বুল হয়ে ভোর সাড়ে ৫টায় টার্কিশ এয়ারলাইন্সের টিকে-৭১২ ফ্লাইটে ২৯ বাংলাদেশি দেশে পৌঁছান। ফিরে আসা কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইমিগ্রেশনে রাখা হয়েছে এবং তাদের ঠিকানা ভেরিফিকশনের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় খবর পাঠানো হয়েছে।

এর আগে লিবিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা এবং প্রয়োজনে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার (আইওএম) সমন্বয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়। বৈঠক থেকে লিবিয়ায় থাকা বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা বিধান ও প্রয়োজনবোধে ফিরিয়ে আনতে ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসে তিনটি হটলাইন নম্বর চালু করা ও কন্ট্রোল রুম প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা দেয়া হয়।

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব রৌনক জাহান বলেন, লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০১৯ , ১৯ আষাঢ় ১৪২৫, ২৯ শাওয়াল ১৪৪০

লিবিয়ায় যুদ্ধাবস্থা

দেশে ফিরেছেন ২৯ বাংলাদেশি

অপেক্ষায় আরও ৬০ পরিবার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

লিবিয়ায় যুদ্ধাবস্থার মুখে ত্রিপোলি ছেড়ে গতকাল বাংলাদেশে পৌঁছান ২৯ বাংলাদেশি। আশপাশের শহরগুলো থেকে আরও ৬০টি পরিবার বাংলাদেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছে লিবিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস। স্বেচ্ছায় যারা দেশে ফিরতে চাচ্ছেন, তাদের নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশের দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম)।

যুদ্ধাবস্থা শুরু হওয়ার পর থেকেই ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে আগ্রহীদের জন্য রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা চালু করা হয়। ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা যায়, স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে আগ্রহীদের মধ্যে আইওএমের মাধ্যমে প্রথম গ্রুপে ৩৫, দ্বিতীয় গ্রুপে ৩৭ ও তৃতীয় গ্রুপে ৩৫ জনসহ ১০৭ জনের টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকিরা ৩ ও ৫ জুলাই দেশে ফেরত আসবেন বলে ধারণা করা যাচ্ছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, লিবিয়া থেকে ইস্তাম্বুল হয়ে ভোর সাড়ে ৫টায় টার্কিশ এয়ারলাইন্সের টিকে-৭১২ ফ্লাইটে ২৯ বাংলাদেশি দেশে পৌঁছান। ফিরে আসা কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইমিগ্রেশনে রাখা হয়েছে এবং তাদের ঠিকানা ভেরিফিকশনের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় খবর পাঠানো হয়েছে।

এর আগে লিবিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা এবং প্রয়োজনে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার (আইওএম) সমন্বয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়। বৈঠক থেকে লিবিয়ায় থাকা বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা বিধান ও প্রয়োজনবোধে ফিরিয়ে আনতে ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসে তিনটি হটলাইন নম্বর চালু করা ও কন্ট্রোল রুম প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা দেয়া হয়।

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব রৌনক জাহান বলেন, লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।