সুজন মাহাবুবের ‘তৈল সমাচার’

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ২৩তম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী। ১ জুলাই উদ্বোধনী দিন সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে জাতীয় চিত্রশালার সম্মুখে সুজন মাহবুব পরিবেশন করেন তার পারফরমেন্স আর্ট ‘তৈল সমাচার’। পরশ্রিত মানুষের কৌশলী পথচলা এবং পরিণতি নিয়ে শিল্পী সুজন মাহাবুব-এর পারফরমেন্স আর্ট ‘তৈল সমাচার’। বৃক্ষে বাঁধা ক্ষমতা রূপ চেয়ারে, মই রূপ সিঁড়িতে তৈল এবং ঘি রূপ প্রশংসার প্রলে বুলিয়ে পরাশ্রিত মানুষ রূপে শিল্পী সুজন মাহাবুবের নিরন্তর শীর্ষে আহরন ও পতনের পরিক্রমাই তৈল সমাচার।

আলো-জল-বাতাস আর মাটির রসে পুষ্ট হয়ে বীজ থেকে অঙ্কুর তার স্বাভাবিক নিয়মে বৃক্ষে পরিনত হবে কিন্তু পরগাছার ক্ষেত্রে সে নিয়মে খাটে না। সে তলারও খাবে আবার উপরেরও খাবে। অর্থাৎ আলো-জল-বাতাস-মাটির রসতো নেবেই পাশাপাশি অপরাপর বৃক্ষের গা জড়িয়ে, ছলনার জাল বিছিয়ে সে বৃক্ষের রস নিংড়ে, চুষে নিজের স্বার্থ হাসিল করবে এবং অপরাপর বৃক্ষের স্বাভাবিক বৃদ্ধির ব্যাঘাত করবে। মানুষের ভীড়ে এমন পরাশ্রিত মানুষেরও দেখা মেলে যারা কথার জালে, প্রশংসার ছলনে এবং চাটুকারিতার কূটকৌশলে অপরকে ব্যবহার করে নিজের স্বার্থ হাসিল করতে সর্বদা ব্যাস্ত থাকে। এতে একদিকে স্বাভাবিক মানুষটি যেমনিভাবে হয় পথভ্রষ্ট অপরদিকে পরাশ্রিত মানুষটি আপাত কৌশলী হয়ে সাময়িক লাভবান হলেও দীর্ঘতর পথচলায় হয়ে পড়ে দুর্বল থেকে দুর্বলতর। এতদসত্ত্বেও মোসাহেবীর এই চর্চা আবহমান কাল থেকে আজ অবধি বেগবান থেকে বেগবান তর।

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০১৯ , ২০ আষাঢ় ১৪২৫, ৩০ শাওয়াল ১৪৪০

সুজন মাহাবুবের ‘তৈল সমাচার’

বিনোদন প্রতিবেদক

image

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ২৩তম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী। ১ জুলাই উদ্বোধনী দিন সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে জাতীয় চিত্রশালার সম্মুখে সুজন মাহবুব পরিবেশন করেন তার পারফরমেন্স আর্ট ‘তৈল সমাচার’। পরশ্রিত মানুষের কৌশলী পথচলা এবং পরিণতি নিয়ে শিল্পী সুজন মাহাবুব-এর পারফরমেন্স আর্ট ‘তৈল সমাচার’। বৃক্ষে বাঁধা ক্ষমতা রূপ চেয়ারে, মই রূপ সিঁড়িতে তৈল এবং ঘি রূপ প্রশংসার প্রলে বুলিয়ে পরাশ্রিত মানুষ রূপে শিল্পী সুজন মাহাবুবের নিরন্তর শীর্ষে আহরন ও পতনের পরিক্রমাই তৈল সমাচার।

আলো-জল-বাতাস আর মাটির রসে পুষ্ট হয়ে বীজ থেকে অঙ্কুর তার স্বাভাবিক নিয়মে বৃক্ষে পরিনত হবে কিন্তু পরগাছার ক্ষেত্রে সে নিয়মে খাটে না। সে তলারও খাবে আবার উপরেরও খাবে। অর্থাৎ আলো-জল-বাতাস-মাটির রসতো নেবেই পাশাপাশি অপরাপর বৃক্ষের গা জড়িয়ে, ছলনার জাল বিছিয়ে সে বৃক্ষের রস নিংড়ে, চুষে নিজের স্বার্থ হাসিল করবে এবং অপরাপর বৃক্ষের স্বাভাবিক বৃদ্ধির ব্যাঘাত করবে। মানুষের ভীড়ে এমন পরাশ্রিত মানুষেরও দেখা মেলে যারা কথার জালে, প্রশংসার ছলনে এবং চাটুকারিতার কূটকৌশলে অপরকে ব্যবহার করে নিজের স্বার্থ হাসিল করতে সর্বদা ব্যাস্ত থাকে। এতে একদিকে স্বাভাবিক মানুষটি যেমনিভাবে হয় পথভ্রষ্ট অপরদিকে পরাশ্রিত মানুষটি আপাত কৌশলী হয়ে সাময়িক লাভবান হলেও দীর্ঘতর পথচলায় হয়ে পড়ে দুর্বল থেকে দুর্বলতর। এতদসত্ত্বেও মোসাহেবীর এই চর্চা আবহমান কাল থেকে আজ অবধি বেগবান থেকে বেগবান তর।