৯ জনের মৃত্যুদন্ড যাবজ্জীবন ২৫

দশ বছর করে ১৩ জনের কারাদন্ড

১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি-বোমা হামলা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে পাবনা স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ৩-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. রুস্তম আলী এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে ৯ জনকে মৃত্যুদন্ডাদেশসহ ৫ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন বছর করে সশ্রম কারাদন্ড। ২৫ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও তিন লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছর করে সশ্রম কারাদন্ডাদেশ এবং ১৩ জনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও ১ লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করা হয়েছে। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তরা হলো ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোখলেছুর রহমান বাবলু, ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু (পলাতক), জেলা বিএনপির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান আখতার, ঈশ^রদী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি রেজাউল করিম শাহিন, বিএনপি নেতা অটল, ঈশ্বরদী স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজিজুর রহমান শাহিন, পৌর যুবদল সভাপতি শ্যামল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মাহবুবুর রহমান পলাশ, ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম।

যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলো আমিনুর ইসলাম ওরফে আমিন (পলাতক), আজাদ হোসেন, ইসমাইল হোসেন ওরফে জুয়েল, আলাউদ্দিন বিশ্বাস, সামসুর রহমান ওরফে সিমু, আনিছুর রহমান ওরফে সেকম (পালাতক), আক্কেল আলী, রবি (পালাতক), এনাম, কাশেম ওরফে হালট কাশেম (পলাতক), কালা বাবু (পালাতক), মামুন (পালাতক), মামুন (পলাতক), সেলিম, কল্লোল, তুহিন, শাহ আলম লিটন, আবদুল্লাহ আল মামুন ওরফে রিপন, লাইজু (পলাতক), আবদুল জব্বার, পলাশ, হাকিম উদ্দিন ওরফে টেনু, আলমগীর, আবুল কালাম (পালাতক) ও একেএম ফিরোজুল ইসলাম।

১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলো নেফাউর রহমান ওরফে রাজু, আজমল হোসেন ওরফে ডাবলু, আনোয়ার হোসেন জনি, রনো (পলাতক), বরকত, চাঁদ আলী (পালাতক), এনামুল কবির, মোক্তার, হাফিজুর রহমান মুকুল, হুমায়ন কবির দুলাল (পলাতক), জামরুল (পলাতক) তুিহন বিন সিদ্দিক ও ফজলুর রহমান। ইতোমধ্যে মামলার ৫ আসামি মৃত্যুবরণ করেছেন।

আদালত সূত্র জানায়, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সাংগঠনিক সফরে ট্রেনযোগে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশনে তাকে বহনকারী ট্রেন যাত্রাবিরতি করলে ওই ট্রেন ও শেখ হাসিনার কামরা লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ঈশ^রদী জিআরপি থানার তৎকালীন ওসি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওইদিনই একটি মামলা করেন। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল মোট ৫২ জনের নামে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। গত ৩০ জুন মামলার ৫২ আসামির মধ্যে ৩০ জন আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালতের বিচারক মো. রুস্তম আলী জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন এবং বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন। ২ জুলাই ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মোকলেছুর রহমান বাবলু এবং বিএনপি নেতা আবদুল হাকিম টেনু আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। সোমবার উভয়পক্ষে যুক্তি তর্ক উপস্থাপন শেষে বুধবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট আক্তারুজ্জামান মুক্তা, এপিপি অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ হোসেন লিটন, অ্যাডভোকেট গোলাম হাসনায়েন ও অ্যাডভোকেট আবদুল আহাদ বাবু। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার ও অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম গ্যাদা।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি সাজ্জাদ হোসেন লিটন জানান, ২৫ বছর পর মামলার রায়ে তারা সন্তুষ্ট। এর মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আসামীপক্ষের আইনজীবী মাসুদ খোন্দকার জানান, এ রায়ে সন্তুষ্ট নন তারা। রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত রায় দেয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানান তিনি।

এ বিষয়ে পাবনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তোতা বলেন, রায় নিয়ে আমাদের কোন মন্তব্য নেই। কোন কর্মসূচীও নেই। তবে আইনি প্রক্রিয়ায় মামলার মোকাবিলা করা হবে।

এদিকে মামলার রায় ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিষ্টিমুখ ও মিষ্টি বিতরণ করেন।

চার্জশিট প্রদান করে সিআইডি

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর পুলিশ মামলাটি পুনর্তদন্ত করে। তদন্ত শেষে নতুনভাবে ঈশ্বরদীর শীর্ষস্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ ৫২ জনকে এই মামলার আসামি করা হয়। মামলাটি করার পর এই মামলায় পুলিশ কোন সাক্ষী না পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্টও দাখিল করে। কিন্তু আদালত ওই রিপোর্ট গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে প্রেরণ করেন। পরে সিআইডি তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মামলা নম্বর এসটি ৪২/৯৭।

প্রথম চার্জশিটের ৭ আসামির বাইরেও এই মামলায় যাদের নতুনভাবে যুক্ত করা হয়, তাদের মধ্যে রয়েছেন ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মকলেছুর রহমান বাবলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র শামসুল আলম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন বিশ্বাস, পাবনা জেলা বিএনপির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক কেএম আক্তারুজ্জামান আক্তার, পাকশীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, সাহাপুরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নেফাউর রহমান রাজু, সাবেক ছাত্রনেতা মাহবুবুর রহমান পলাশ, সাবেক ভিপি রেজাউল করিম শাহীন, যুবদল নেতা আজিজুর রহমান শাহীন, সেলিম আহমেদ, পৌরসভার কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন জনি, বিএনপি নেতা ইসলাম হোসেন জুয়েল, শহীদুল ইসলাম অটল, আবদুল জব্বার প্রমুখ। তারা সবাই বিএনপি নেতা।

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০১৯ , ২০ আষাঢ় ১৪২৫, ৩০ শাওয়াল ১৪৪০

শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি

৯ জনের মৃত্যুদন্ড যাবজ্জীবন ২৫

দশ বছর করে ১৩ জনের কারাদন্ড

হাবিবুর রহমান স্বপন, পাবনা

১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি-বোমা হামলা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে পাবনা স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ৩-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. রুস্তম আলী এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে ৯ জনকে মৃত্যুদন্ডাদেশসহ ৫ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন বছর করে সশ্রম কারাদন্ড। ২৫ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও তিন লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছর করে সশ্রম কারাদন্ডাদেশ এবং ১৩ জনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও ১ লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করা হয়েছে। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তরা হলো ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোখলেছুর রহমান বাবলু, ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু (পলাতক), জেলা বিএনপির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান আখতার, ঈশ^রদী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি রেজাউল করিম শাহিন, বিএনপি নেতা অটল, ঈশ্বরদী স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজিজুর রহমান শাহিন, পৌর যুবদল সভাপতি শ্যামল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মাহবুবুর রহমান পলাশ, ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম।

যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলো আমিনুর ইসলাম ওরফে আমিন (পলাতক), আজাদ হোসেন, ইসমাইল হোসেন ওরফে জুয়েল, আলাউদ্দিন বিশ্বাস, সামসুর রহমান ওরফে সিমু, আনিছুর রহমান ওরফে সেকম (পালাতক), আক্কেল আলী, রবি (পালাতক), এনাম, কাশেম ওরফে হালট কাশেম (পলাতক), কালা বাবু (পালাতক), মামুন (পালাতক), মামুন (পলাতক), সেলিম, কল্লোল, তুহিন, শাহ আলম লিটন, আবদুল্লাহ আল মামুন ওরফে রিপন, লাইজু (পলাতক), আবদুল জব্বার, পলাশ, হাকিম উদ্দিন ওরফে টেনু, আলমগীর, আবুল কালাম (পালাতক) ও একেএম ফিরোজুল ইসলাম।

১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলো নেফাউর রহমান ওরফে রাজু, আজমল হোসেন ওরফে ডাবলু, আনোয়ার হোসেন জনি, রনো (পলাতক), বরকত, চাঁদ আলী (পালাতক), এনামুল কবির, মোক্তার, হাফিজুর রহমান মুকুল, হুমায়ন কবির দুলাল (পলাতক), জামরুল (পলাতক) তুিহন বিন সিদ্দিক ও ফজলুর রহমান। ইতোমধ্যে মামলার ৫ আসামি মৃত্যুবরণ করেছেন।

আদালত সূত্র জানায়, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সাংগঠনিক সফরে ট্রেনযোগে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশনে তাকে বহনকারী ট্রেন যাত্রাবিরতি করলে ওই ট্রেন ও শেখ হাসিনার কামরা লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ঈশ^রদী জিআরপি থানার তৎকালীন ওসি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওইদিনই একটি মামলা করেন। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল মোট ৫২ জনের নামে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। গত ৩০ জুন মামলার ৫২ আসামির মধ্যে ৩০ জন আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালতের বিচারক মো. রুস্তম আলী জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন এবং বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন। ২ জুলাই ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মোকলেছুর রহমান বাবলু এবং বিএনপি নেতা আবদুল হাকিম টেনু আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। সোমবার উভয়পক্ষে যুক্তি তর্ক উপস্থাপন শেষে বুধবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট আক্তারুজ্জামান মুক্তা, এপিপি অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ হোসেন লিটন, অ্যাডভোকেট গোলাম হাসনায়েন ও অ্যাডভোকেট আবদুল আহাদ বাবু। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার ও অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম গ্যাদা।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি সাজ্জাদ হোসেন লিটন জানান, ২৫ বছর পর মামলার রায়ে তারা সন্তুষ্ট। এর মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আসামীপক্ষের আইনজীবী মাসুদ খোন্দকার জানান, এ রায়ে সন্তুষ্ট নন তারা। রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত রায় দেয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানান তিনি।

এ বিষয়ে পাবনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তোতা বলেন, রায় নিয়ে আমাদের কোন মন্তব্য নেই। কোন কর্মসূচীও নেই। তবে আইনি প্রক্রিয়ায় মামলার মোকাবিলা করা হবে।

এদিকে মামলার রায় ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিষ্টিমুখ ও মিষ্টি বিতরণ করেন।

চার্জশিট প্রদান করে সিআইডি

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর পুলিশ মামলাটি পুনর্তদন্ত করে। তদন্ত শেষে নতুনভাবে ঈশ্বরদীর শীর্ষস্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ ৫২ জনকে এই মামলার আসামি করা হয়। মামলাটি করার পর এই মামলায় পুলিশ কোন সাক্ষী না পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্টও দাখিল করে। কিন্তু আদালত ওই রিপোর্ট গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে প্রেরণ করেন। পরে সিআইডি তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মামলা নম্বর এসটি ৪২/৯৭।

প্রথম চার্জশিটের ৭ আসামির বাইরেও এই মামলায় যাদের নতুনভাবে যুক্ত করা হয়, তাদের মধ্যে রয়েছেন ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মকলেছুর রহমান বাবলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র শামসুল আলম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন বিশ্বাস, পাবনা জেলা বিএনপির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক কেএম আক্তারুজ্জামান আক্তার, পাকশীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, সাহাপুরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নেফাউর রহমান রাজু, সাবেক ছাত্রনেতা মাহবুবুর রহমান পলাশ, সাবেক ভিপি রেজাউল করিম শাহীন, যুবদল নেতা আজিজুর রহমান শাহীন, সেলিম আহমেদ, পৌরসভার কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন জনি, বিএনপি নেতা ইসলাম হোসেন জুয়েল, শহীদুল ইসলাম অটল, আবদুল জব্বার প্রমুখ। তারা সবাই বিএনপি নেতা।