সঞ্চয়পত্রের ঋণে আরও কঠোর সরকার

অর্থবছরের শুরুতেই সঞ্চয়পত্রের ঋণে আরও কঠোর হয়েছে সরকার। বাজেটে উৎসে কর বাড়ানোসহ বেশকিছু সিদ্ধান্তের পর এবার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীদের কঠোর নজরদারিতে আনছে। বিশেষ করে বড় বিনিয়োগকারীদের বিষয়ে বেশি নজর দেয়া হচ্ছে। প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ দিয়ে সঞ্চয়পত্র ক্রয়কারীদের জন্য কর কমিশনারের প্রত্যয়নের বিষয়টি কঠোরভাবে নজর দিতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইভাবে কৃষিভিত্তিক ফার্মের নামে সঞ্চয়পত্র কিনতে লাগবে উপকর কমিশনারের প্রত্যয়ন। এছাড়া সঞ্চয়পত্রে নিয়মবহির্ভূত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ঠেকাতে কঠোরতা আনা হয়েছে। নিয়মের বাইরে কেউ কেউ যাতে সঞ্চয়পত্র কিনতে না পারেন, এ জন্য ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক আলাদাভাবে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করেছে। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে ইতোমধ্যে। যদিও এসব নিয়মের অনেকটি আগে থেকেই ছিল, তবুও এতদিন তা সবক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করা হয়নি। কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার যে পরিমাণ অর্থ নেয়ার পরিকল্পনা করছে, বছরের অর্ধেক সময়েই এর চেয়ে বেশি অর্থ বিনিয়োগ করছে সাধারণ মানুষ। ফলে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে সরকারের ঋণের বোঝা বড় হচ্ছে। সুদ বাবদ অর্থ পরিশোধের দায় বাড়ছে। সদ্য সমাপ্ত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে ২৬ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্য নিয়েছিল। কিন্তু গত এপ্রিল পর্যন্ত অর্থবছরের ১০ মাসেই বিক্রি হয়েছে ৪৩ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র। ওই সময়ে সামগ্রিকভাবে সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮১ হাজার ২৪১ কোটি টাকা।

সঞ্চয়পত্রে ব্যাপক বিনিয়োগের ফলে ব্যাংক ব্যবস্থায় আমানত সরবরাহ কমছে। এ অবস্থায় সরকার সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগে কড়াকড়ি আরোপ করেছেÑ যাতে নিয়মবহির্ভূতভাবে কেউ সরকারের দেয়া এই বিশেষ সুবিধা নিতে না পারে। এ জন্য ইতোমধ্যে ‘সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ : অগ্রাধিকার কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় অর্থ বিভাগ ‘জাতীয় সঞ্চয় স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ চালু করেছে। ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগীয় শহরে এটি চলমান। এছাড়া সঞ্চয়পত্র কেনায় জাতীয় পরিচয়পত্রের নিয়ম করা হয়। এরপর চলতি অর্থবছরের বাজেটে ৫ শতাংশ উৎসে কর বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। তা গত ৩০ জুন পাস হয়েছে। ফলে ১ জুলাই থেকে নতুন-পুরনো সব সঞ্চয়পত্র গ্রাহকের মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর কেটে রাখা হবে। এছাড়া এখন থেকে সঞ্চয়পত্র কেনা ও মুনাফা নেয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) এবং একটি ব্যাংক হিসাব থাকা বাধ্যতামূলক। আর নগদে মাত্র ১ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। এতে টিআইএন লাগবে না। গোটা খাতকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে সরকার এই নিয়ম চালু করেছে।

মঙ্গলবার দেয়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অর্থ বিভাগ ‘জাতীয় সঞ্চয় স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ বাস্তবায়ন করছে। প্রথমে ঢাকা ও বিভাগীয় শহরে বাস্তবায়ন হলেও গত ৩০ জুন থেকে দেশের সবখানে এ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। নতুন এ ব্যবস্থার লেনদেন বিবরণী পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রতিদিন সারাদেশে প্রভিডেন্ট ফান্ডের নামে বড় অঙ্কের অর্থ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। এ জন্য এখন থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ডের নামে সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে সঞ্চয়পত্র বিধিমালা ১৯৭৭-এর বিধি ৫-এর উপবিধি-৫ অনুযায়ী কর কমিশনারের প্রত্যয়ন লাগবে। কর কমিশনার নিশ্চিত করবেন, ওই অর্থ কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের। একইভাবে কৃষিভিত্তিক ফার্মের অর্থের উৎস সম্পর্কে প্রত্যয়ন দেবেন উপ-কর কমিশনার।

উল্লেখ্য, কোন প্রতিষ্ঠান সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে পারে না। সরকার জনস্বার্থে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কল্যাণে গড়া প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ এ খাতে বিনিয়োগের সুযোগ দিয়েছে। এর পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক ফার্ম অর্থাৎ মৎস্য, পোলট্রি, পোলট্রি ফিড, বীজ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান, গবাদিপশুর খামার, দুগ্ধ খামার, উদ্যান ও রেশম জাতীয় কৃষি ফার্মের আয়ের ১০ শতাংশ অর্থ দিয়ে ৫ বছরমেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কেনা যায়।

গত মঙ্গলবার সঞ্চয়পত্রের কঠোরতা বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট আলাদা সার্কুলার জারি করে। সঞ্চয়পত্র বিক্রি বিষয়ে সতর্ক করে দেয়া ওই প্রজ্ঞাপন সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের নামে বড় অঙ্কের অর্থ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। কিন্তু সঞ্চয়পত্র বিধিমালা ১৯৭৭ অনুযায়ী উপ-কর কমিশনারের প্রত্যয়ন সাপেক্ষে তহবিলের অর্থ দ্বারা শুধু কৃষিভিত্তিক কয়েকটি ফার্মের আয়ের বিপরীতে ‘বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র’ কেনা যাবে।

উল্লেখ, সঞ্চয়পত্র বিক্রির মাধ্যমে সরকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বাজেটের ঘাটতি মেটাতে ঋণ নিয়ে থাকে। এ খাতে বর্তমানে ১০ থেকে ১১ শতাংশ সুদ নির্ধারণ করা রয়েছে। ফলে সাধাণ মানুষের জন্য এটি বিনিয়োগ। আর সরকারের জন্য ঋণ। পারিবারিক সঞ্চয়পত্র, ডাক বিভাগ সঞ্চয়পত্রসহ কয়েক প্রকার সঞ্চয়পত্র রয়েছে। তা ৩ মাস থেকে ৫ বছরমেয়াদী হয়ে থাকে। মেয়াদ শেষে ব্যক্তির হিসাবে মুনাফার অর্থ যোগ হয়।

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০১৯ , ২০ আষাঢ় ১৪২৫, ৩০ শাওয়াল ১৪৪০

অর্থবছরের শুরুতেই

সঞ্চয়পত্রের ঋণে আরও কঠোর সরকার

রোকন মাহমুদ

অর্থবছরের শুরুতেই সঞ্চয়পত্রের ঋণে আরও কঠোর হয়েছে সরকার। বাজেটে উৎসে কর বাড়ানোসহ বেশকিছু সিদ্ধান্তের পর এবার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীদের কঠোর নজরদারিতে আনছে। বিশেষ করে বড় বিনিয়োগকারীদের বিষয়ে বেশি নজর দেয়া হচ্ছে। প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ দিয়ে সঞ্চয়পত্র ক্রয়কারীদের জন্য কর কমিশনারের প্রত্যয়নের বিষয়টি কঠোরভাবে নজর দিতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইভাবে কৃষিভিত্তিক ফার্মের নামে সঞ্চয়পত্র কিনতে লাগবে উপকর কমিশনারের প্রত্যয়ন। এছাড়া সঞ্চয়পত্রে নিয়মবহির্ভূত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ঠেকাতে কঠোরতা আনা হয়েছে। নিয়মের বাইরে কেউ কেউ যাতে সঞ্চয়পত্র কিনতে না পারেন, এ জন্য ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক আলাদাভাবে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করেছে। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে ইতোমধ্যে। যদিও এসব নিয়মের অনেকটি আগে থেকেই ছিল, তবুও এতদিন তা সবক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করা হয়নি। কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার যে পরিমাণ অর্থ নেয়ার পরিকল্পনা করছে, বছরের অর্ধেক সময়েই এর চেয়ে বেশি অর্থ বিনিয়োগ করছে সাধারণ মানুষ। ফলে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে সরকারের ঋণের বোঝা বড় হচ্ছে। সুদ বাবদ অর্থ পরিশোধের দায় বাড়ছে। সদ্য সমাপ্ত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে ২৬ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্য নিয়েছিল। কিন্তু গত এপ্রিল পর্যন্ত অর্থবছরের ১০ মাসেই বিক্রি হয়েছে ৪৩ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র। ওই সময়ে সামগ্রিকভাবে সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮১ হাজার ২৪১ কোটি টাকা।

সঞ্চয়পত্রে ব্যাপক বিনিয়োগের ফলে ব্যাংক ব্যবস্থায় আমানত সরবরাহ কমছে। এ অবস্থায় সরকার সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগে কড়াকড়ি আরোপ করেছেÑ যাতে নিয়মবহির্ভূতভাবে কেউ সরকারের দেয়া এই বিশেষ সুবিধা নিতে না পারে। এ জন্য ইতোমধ্যে ‘সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ : অগ্রাধিকার কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় অর্থ বিভাগ ‘জাতীয় সঞ্চয় স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ চালু করেছে। ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগীয় শহরে এটি চলমান। এছাড়া সঞ্চয়পত্র কেনায় জাতীয় পরিচয়পত্রের নিয়ম করা হয়। এরপর চলতি অর্থবছরের বাজেটে ৫ শতাংশ উৎসে কর বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। তা গত ৩০ জুন পাস হয়েছে। ফলে ১ জুলাই থেকে নতুন-পুরনো সব সঞ্চয়পত্র গ্রাহকের মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর কেটে রাখা হবে। এছাড়া এখন থেকে সঞ্চয়পত্র কেনা ও মুনাফা নেয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) এবং একটি ব্যাংক হিসাব থাকা বাধ্যতামূলক। আর নগদে মাত্র ১ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। এতে টিআইএন লাগবে না। গোটা খাতকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে সরকার এই নিয়ম চালু করেছে।

মঙ্গলবার দেয়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অর্থ বিভাগ ‘জাতীয় সঞ্চয় স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ বাস্তবায়ন করছে। প্রথমে ঢাকা ও বিভাগীয় শহরে বাস্তবায়ন হলেও গত ৩০ জুন থেকে দেশের সবখানে এ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। নতুন এ ব্যবস্থার লেনদেন বিবরণী পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রতিদিন সারাদেশে প্রভিডেন্ট ফান্ডের নামে বড় অঙ্কের অর্থ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। এ জন্য এখন থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ডের নামে সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে সঞ্চয়পত্র বিধিমালা ১৯৭৭-এর বিধি ৫-এর উপবিধি-৫ অনুযায়ী কর কমিশনারের প্রত্যয়ন লাগবে। কর কমিশনার নিশ্চিত করবেন, ওই অর্থ কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের। একইভাবে কৃষিভিত্তিক ফার্মের অর্থের উৎস সম্পর্কে প্রত্যয়ন দেবেন উপ-কর কমিশনার।

উল্লেখ্য, কোন প্রতিষ্ঠান সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে পারে না। সরকার জনস্বার্থে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কল্যাণে গড়া প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ এ খাতে বিনিয়োগের সুযোগ দিয়েছে। এর পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক ফার্ম অর্থাৎ মৎস্য, পোলট্রি, পোলট্রি ফিড, বীজ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান, গবাদিপশুর খামার, দুগ্ধ খামার, উদ্যান ও রেশম জাতীয় কৃষি ফার্মের আয়ের ১০ শতাংশ অর্থ দিয়ে ৫ বছরমেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কেনা যায়।

গত মঙ্গলবার সঞ্চয়পত্রের কঠোরতা বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট আলাদা সার্কুলার জারি করে। সঞ্চয়পত্র বিক্রি বিষয়ে সতর্ক করে দেয়া ওই প্রজ্ঞাপন সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের নামে বড় অঙ্কের অর্থ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। কিন্তু সঞ্চয়পত্র বিধিমালা ১৯৭৭ অনুযায়ী উপ-কর কমিশনারের প্রত্যয়ন সাপেক্ষে তহবিলের অর্থ দ্বারা শুধু কৃষিভিত্তিক কয়েকটি ফার্মের আয়ের বিপরীতে ‘বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র’ কেনা যাবে।

উল্লেখ, সঞ্চয়পত্র বিক্রির মাধ্যমে সরকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বাজেটের ঘাটতি মেটাতে ঋণ নিয়ে থাকে। এ খাতে বর্তমানে ১০ থেকে ১১ শতাংশ সুদ নির্ধারণ করা রয়েছে। ফলে সাধাণ মানুষের জন্য এটি বিনিয়োগ। আর সরকারের জন্য ঋণ। পারিবারিক সঞ্চয়পত্র, ডাক বিভাগ সঞ্চয়পত্রসহ কয়েক প্রকার সঞ্চয়পত্র রয়েছে। তা ৩ মাস থেকে ৫ বছরমেয়াদী হয়ে থাকে। মেয়াদ শেষে ব্যক্তির হিসাবে মুনাফার অর্থ যোগ হয়।