লিবিয়ায় অভিবাসী আটক কেন্দ্রে বিমান হামলা নিহত ৪৪

লিবিয়ার রাজধানীর বাইরে আটক কেন্দ্রে বিমান হামলা চালিয়ে ৪৪জনেরও বেশি অভিবাসী হত্যা করাকে ‘স্পষ্টতই যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ জাতিসংঘের

লিবিয়ায় অভিবাসীদের একটি আস্থায়ী আটক কেন্দ্রে (ডিটেনশন সেন্টার) বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৪৪ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আরও ১০০ জন আহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তরা। নিহতদের অধিকাংশই আফ্রিকান নাগরিক বলে জানা গেছে। তবে নিহতের এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় ভোররাতে লিবিয়ায় রাজধানী ত্রিপোলির বাইরে তাজৌরায় এ হামলা চালানো হয়। ত্রিপোলির জরুরি বিভাগগুলোর মুখপাত্র ওসামা আলী জানান, অভিবাসী আটক কেন্দ্রটিতে ১২০ জন অভিবাসন প্রত্যাশী ছিল। বিমান হামলায় এটি সরাসরি আক্রান্ত হয়েছে। এ হামলার জন্য দেশটির সাবেক জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন স্বঘোষিত লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মিকে (এলএনএ) দায়ী করেছে লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত জাতীয় ঐকমত্যের সরকার (জিএনএ)। বিমান হামলাটি যেখানে হয়েছে সেই তাজৌরা এলাকায় জিএনএ’র অনুগত বাহিনীগুলোর সঙ্গে এলএনএর লড়াই চলছে। জিএনএ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘ব্যাপক বিমান হামলার’ চালানো হবে বলে সোমবার ঘোষণা করে এলএনএ । কিন্তু এলএনএ’র এক মুখপাত্র অভিবাসী কেন্দ্রে তাদের হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ইউরোপে যাওয়ার প্রধান রুটে পরিণত হয়েছে লিবিয়া। কয়েক হাজার ইউরোপে গমন প্রত্যাশীকে আটক করে এ ধরনের অভিবাসী আটক কেন্দ্রগুলোতে রাখা হয়েছে। ত্রিপোলিকে কেন্দ্র করে লিবিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী দুই বাহিনীর লড়াই সম্প্রতি এসব আটক কেন্দ্রের এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। ২০১১ সালে দেশটির সাবেক শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করে হত্যার পর থেকে লিবিয়ায় সহিংসতা বিরাজ করছে এবং দেশটি প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার ও বাহিনীগুলোর মধ্যে বিভক্ত হয়ে আছে।

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০১৯ , ২০ আষাঢ় ১৪২৫, ৩০ শাওয়াল ১৪৪০

লিবিয়ায় অভিবাসী আটক কেন্দ্রে বিমান হামলা নিহত ৪৪

লিবিয়ার রাজধানীর বাইরে আটক কেন্দ্রে বিমান হামলা চালিয়ে ৪৪জনেরও বেশি অভিবাসী হত্যা করাকে ‘স্পষ্টতই যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ জাতিসংঘের

সংবাদ ডেস্ক

image

লিবিয়ার রাজধানীর বাইরে তাজৌরার অভিবাসী আটক কেন্দ্রে বিমান হামলা-পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতা -বিবিসি

লিবিয়ায় অভিবাসীদের একটি আস্থায়ী আটক কেন্দ্রে (ডিটেনশন সেন্টার) বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৪৪ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আরও ১০০ জন আহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তরা। নিহতদের অধিকাংশই আফ্রিকান নাগরিক বলে জানা গেছে। তবে নিহতের এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় ভোররাতে লিবিয়ায় রাজধানী ত্রিপোলির বাইরে তাজৌরায় এ হামলা চালানো হয়। ত্রিপোলির জরুরি বিভাগগুলোর মুখপাত্র ওসামা আলী জানান, অভিবাসী আটক কেন্দ্রটিতে ১২০ জন অভিবাসন প্রত্যাশী ছিল। বিমান হামলায় এটি সরাসরি আক্রান্ত হয়েছে। এ হামলার জন্য দেশটির সাবেক জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন স্বঘোষিত লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মিকে (এলএনএ) দায়ী করেছে লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত জাতীয় ঐকমত্যের সরকার (জিএনএ)। বিমান হামলাটি যেখানে হয়েছে সেই তাজৌরা এলাকায় জিএনএ’র অনুগত বাহিনীগুলোর সঙ্গে এলএনএর লড়াই চলছে। জিএনএ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘ব্যাপক বিমান হামলার’ চালানো হবে বলে সোমবার ঘোষণা করে এলএনএ । কিন্তু এলএনএ’র এক মুখপাত্র অভিবাসী কেন্দ্রে তাদের হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ইউরোপে যাওয়ার প্রধান রুটে পরিণত হয়েছে লিবিয়া। কয়েক হাজার ইউরোপে গমন প্রত্যাশীকে আটক করে এ ধরনের অভিবাসী আটক কেন্দ্রগুলোতে রাখা হয়েছে। ত্রিপোলিকে কেন্দ্র করে লিবিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী দুই বাহিনীর লড়াই সম্প্রতি এসব আটক কেন্দ্রের এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। ২০১১ সালে দেশটির সাবেক শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করে হত্যার পর থেকে লিবিয়ায় সহিংসতা বিরাজ করছে এবং দেশটি প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার ও বাহিনীগুলোর মধ্যে বিভক্ত হয়ে আছে।