গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে অনলাইন পদ্ধতির আওতায় আনা হবে

শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষা ক্ষেত্রে সর্বত্র তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, একাদশ শ্রেণীতে ভর্তিতে অনলাইন প্রদ্ধতি প্রয়োগের ফলে ছাত্রছাত্রীরা এখন মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ভর্তি হতে পারছে। এখন আর কলেজ ক্যাম্পাসে ভর্তি নিয়ে বাণিজ্য ও মারামারি হয় না। কেউ লাঞ্ছিতও হয় না। অভিভাবকদের হয়রানি ও ভোগান্তিও কমেছে। কলেজে ভর্তিতে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকার এ উদ্যোগ নিয়ছে। গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে অনলাইন পদ্ধতির আওতায় নিয়ে আসা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী গতকাল রাজধানীর সরকারি ঢাকা কলেজ মিলনায়তনে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক প্রমুখ।

শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, দেশের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিরোধে সোচ্চার হতে হবে। সর্বোপরি নিজেকে একজন মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

সরকার চাকরির ক্ষেত্রে মেধা ও মননকে প্রাধান্য দিচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, চাকরিতে নিয়োগে স্বচ্ছতা আনা হয়েছে। মেধা ও যোগ্যতা দিয়েই সব অর্জন করতে হবে। এখন আর কোন কিছুতে তদবিরের সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, অভিজ্ঞ ও সুশিক্ষিত শিক্ষকরাই ঢাকা কলেজে শিক্ষকতার সুযোগ পান। ফলে এ কলেজে যারা অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছেন, তারা শুধু মেধাবীই নয়, ভাগ্যবানও বটে। শিক্ষার্থীদের কাছে প্রত্যাশাও অনেক বেশি। ফলে শিক্ষার্থীদের অনেক বেশি দায়িত্বশীল ও কর্তব্যপরায়ণ হতে হবে।

সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, মেধা ও যোগ্যতা ছাড়া এখন এর কিছু অর্জন করা যায় না। প্রতিদিন একটু একটু করে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। একসময় এই ঢাকা কলেজেও তদবিরের মাধ্যমে ভর্তি হওয়া যেত। এখন তা আর সম্ভব নয়। সবকিছুই এখন অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে। এর ফলে একাদশে ভর্তিতে এখন শৃঙ্খলা ফিরেছে। শিক্ষার সবখানেই তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাই। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ পরিচালনা করবে আজকের এই তরুণরাই। তাদের নৈতিকতা, দেশপ্রেম ও সততা নিয়ে গড়ে উঠতে হবে।

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০১৯ , ২০ আষাঢ় ১৪২৫, ৩০ শাওয়াল ১৪৪০

গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে অনলাইন পদ্ধতির আওতায় আনা হবে

শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

শিক্ষা ক্ষেত্রে সর্বত্র তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, একাদশ শ্রেণীতে ভর্তিতে অনলাইন প্রদ্ধতি প্রয়োগের ফলে ছাত্রছাত্রীরা এখন মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ভর্তি হতে পারছে। এখন আর কলেজ ক্যাম্পাসে ভর্তি নিয়ে বাণিজ্য ও মারামারি হয় না। কেউ লাঞ্ছিতও হয় না। অভিভাবকদের হয়রানি ও ভোগান্তিও কমেছে। কলেজে ভর্তিতে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকার এ উদ্যোগ নিয়ছে। গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে অনলাইন পদ্ধতির আওতায় নিয়ে আসা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী গতকাল রাজধানীর সরকারি ঢাকা কলেজ মিলনায়তনে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক প্রমুখ।

শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, দেশের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিরোধে সোচ্চার হতে হবে। সর্বোপরি নিজেকে একজন মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

সরকার চাকরির ক্ষেত্রে মেধা ও মননকে প্রাধান্য দিচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, চাকরিতে নিয়োগে স্বচ্ছতা আনা হয়েছে। মেধা ও যোগ্যতা দিয়েই সব অর্জন করতে হবে। এখন আর কোন কিছুতে তদবিরের সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, অভিজ্ঞ ও সুশিক্ষিত শিক্ষকরাই ঢাকা কলেজে শিক্ষকতার সুযোগ পান। ফলে এ কলেজে যারা অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছেন, তারা শুধু মেধাবীই নয়, ভাগ্যবানও বটে। শিক্ষার্থীদের কাছে প্রত্যাশাও অনেক বেশি। ফলে শিক্ষার্থীদের অনেক বেশি দায়িত্বশীল ও কর্তব্যপরায়ণ হতে হবে।

সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, মেধা ও যোগ্যতা ছাড়া এখন এর কিছু অর্জন করা যায় না। প্রতিদিন একটু একটু করে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। একসময় এই ঢাকা কলেজেও তদবিরের মাধ্যমে ভর্তি হওয়া যেত। এখন তা আর সম্ভব নয়। সবকিছুই এখন অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে। এর ফলে একাদশে ভর্তিতে এখন শৃঙ্খলা ফিরেছে। শিক্ষার সবখানেই তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাই। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ পরিচালনা করবে আজকের এই তরুণরাই। তাদের নৈতিকতা, দেশপ্রেম ও সততা নিয়ে গড়ে উঠতে হবে।