আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত

রাজধানীর উত্তর বাড্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আলী হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি রমজান (৩৭) বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বাড্ডার সাতারকুল এলাকায় ডিবি পুলিশের সঙ্গে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদুর রহমান জানান, রাত ৩টার দিকে বাড্ডার সাতারকুল এলাকায় ডিবি পুলিশের সঙ্গে কয়েকজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীর গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। এরপর ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় ডিবি পুলিশের দুজন সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র-গুলি ও গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত রমজানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৫ জুন রাজধানীর উত্তর বাড্ডার পূর্বাঞ্চলে একনম্বর লেন সংলগ্ন বায়তুস সালাম জামে মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে আসেন বাড্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আলী (৫৪)। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করলে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন নিহতের পরিবার। চারজন ছাড়া অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়। নিহতের স্ত্রী মোরশেদা বেগম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় নিহতের বাল্যকালের বন্ধু এবং ডিশ ব্যবসার অংশীদার ফজলুল হক দুলাল, তার মেয়ে জামাই বিপ্লব, আবদুর রহিম সৈকত ও কামরুল নামের চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে হত্যাকান্ডে অংশ নেয়া দুই ঘাতকের ছবি ধরা পড়ে পাশের বিল্ডিংয়ের সিসিটিভি ফুটেজে। বাড্ডা থানার পুলিশ জানায়, সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দুই ঘাতক দৌড়ে পালাচ্ছে। তাদের একজন সাদা টি-শার্ট পরা, অন্যজনের গায়ে ছিল লাল টি-শার্ট। ডিবি উত্তরের এক কর্মকর্তা জানান, এলাকার ডিশ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ফরহাদের সঙ্গে একটি পক্ষের বৈরিতা চলে আসছিল। ডিএমপির গুলশান বিভাগের ডিসির কার্যালয়ে তার বিরুদ্ধে এ বিষয়ে অভিযোগও ছিল। পরে এ নিয়ে একাধিক বৈঠক হলেও ডিশ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নেয়া বন্ধ করেননি তিনি। এছাড়া স্থানীয়ভাবে চলাচলকারী সিএনজিসহ অন্যান্য যানবাহন থেকে প্রাপ্ত চাঁদার ভাগাভাগি নিয়েও তার সঙ্গে বিরোধীদের দ্বন্দ্ব ছিল। এসব কারণেই কোন একটি পক্ষ তাকে হত্যা করে থাকতে পারে। নিহত ফরহাদ আলীর ভাগ্নে হীরা ভূঁঁইয়া বলেন, আমরা এখনো সন্দেহ করছি ডিশ ব্যবসার কারণে মামাকে হত্যা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০১৯ , ২০ আষাঢ় ১৪২৫, ৩০ শাওয়াল ১৪৪০

ফরহাদ হত্যা মামলা

আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রাজধানীর উত্তর বাড্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আলী হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি রমজান (৩৭) বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বাড্ডার সাতারকুল এলাকায় ডিবি পুলিশের সঙ্গে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদুর রহমান জানান, রাত ৩টার দিকে বাড্ডার সাতারকুল এলাকায় ডিবি পুলিশের সঙ্গে কয়েকজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীর গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। এরপর ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় ডিবি পুলিশের দুজন সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র-গুলি ও গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত রমজানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৫ জুন রাজধানীর উত্তর বাড্ডার পূর্বাঞ্চলে একনম্বর লেন সংলগ্ন বায়তুস সালাম জামে মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে আসেন বাড্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আলী (৫৪)। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করলে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন নিহতের পরিবার। চারজন ছাড়া অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়। নিহতের স্ত্রী মোরশেদা বেগম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় নিহতের বাল্যকালের বন্ধু এবং ডিশ ব্যবসার অংশীদার ফজলুল হক দুলাল, তার মেয়ে জামাই বিপ্লব, আবদুর রহিম সৈকত ও কামরুল নামের চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে হত্যাকান্ডে অংশ নেয়া দুই ঘাতকের ছবি ধরা পড়ে পাশের বিল্ডিংয়ের সিসিটিভি ফুটেজে। বাড্ডা থানার পুলিশ জানায়, সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দুই ঘাতক দৌড়ে পালাচ্ছে। তাদের একজন সাদা টি-শার্ট পরা, অন্যজনের গায়ে ছিল লাল টি-শার্ট। ডিবি উত্তরের এক কর্মকর্তা জানান, এলাকার ডিশ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ফরহাদের সঙ্গে একটি পক্ষের বৈরিতা চলে আসছিল। ডিএমপির গুলশান বিভাগের ডিসির কার্যালয়ে তার বিরুদ্ধে এ বিষয়ে অভিযোগও ছিল। পরে এ নিয়ে একাধিক বৈঠক হলেও ডিশ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নেয়া বন্ধ করেননি তিনি। এছাড়া স্থানীয়ভাবে চলাচলকারী সিএনজিসহ অন্যান্য যানবাহন থেকে প্রাপ্ত চাঁদার ভাগাভাগি নিয়েও তার সঙ্গে বিরোধীদের দ্বন্দ্ব ছিল। এসব কারণেই কোন একটি পক্ষ তাকে হত্যা করে থাকতে পারে। নিহত ফরহাদ আলীর ভাগ্নে হীরা ভূঁঁইয়া বলেন, আমরা এখনো সন্দেহ করছি ডিশ ব্যবসার কারণে মামাকে হত্যা করা হয়েছে।