স্বামী বিবেকানন্দ

জন্ম : ১২ জানুয়ারি, ১৮৬৩, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ

মৃত্যু : ৪ জুলাই, ১৯০২, বেলুড় মঠ, হাওড়া, পশ্চিমবঙ্গ।

স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রসিদ্ধ হিন্দু ধর্মগুরু রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রধান শিষ্য এবং রামকৃষ্ণ মিশনের প্রতিষ্ঠাতা। এক সম্ভ্রান্ত কায়স্থ পরিবারে স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম। জন্মের পর তার নামকরণ করা হয় নরেন্দ্রনাথ দত্ত। তার চিন্তাচেতনার অন্যতম অনুপ্রেরণা ছিলেন তার যুক্তিবাদী পিতা ও ধর্মপ্রাণা জননী। বিবেকানন্দ বলেছিলেন, ‘আমার জ্ঞানের বিকাশের জন্য আমি আমার মায়ের কাছে ঋণী।’

বিবেকানন্দের বাল্যশিক্ষার সূচনা ঘটে স্বগৃহেই। তিনি ১৮৭৯ সালে প্রবেশিকা (এন্ট্রান্স) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। দর্শন, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, শিল্পকলা, সাহিত্য ও অন্যান্য বিষয়ে ছিল তার গভীর আগ্রহ ও পান্ডিত্য। বেদ, উপনিষদ, গীতা, রামায়ণ, মহাভারত ও পুরান প্রভৃতি ধর্মগ্রন্থের প্রতিও তার আগ্রহের কথা সুবিদিত। কণ্ঠসংগীত ও যন্ত্রসংগীত, শাস্ত্রীয় সংগীতের উভয় শাখাতেই তার বিশেষ পারদর্শিতা ছিল। বাল্যকাল থেকেই খেলাধুলা, শারীরিক ব্যায়াম ও অন্যান্য সংগঠনমূলক কাজকর্মেও তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নিতেন। অতি অল্পবয়সেই বিভিন্ন কূসংস্কার এবং ধর্ম ও বর্ণের ভিত্তিতে বৈষম্য বিচারের যুক্তিগ্রাহ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

তিনি রামকৃষ্ণ পরমহংসের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। তার কাছ থেকেই বিবেকানন্দ শেখেন যে মানুষের সেবাই সর্বোৎকৃষ্ট ঈশ্বরোপাসনা। গুরুর মৃত্যুর পর সন্যাস অবলম্বন করে তিনি সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশ পদব্রজে পর্যটন করেন। তিনি ভারতে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন নামে একটি মানবকল্যাণমূলক আধ্যাত্মিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। আধুনিক ভারতে হিন্দু পুনর্জাগরণের প্রধান চালিকাশক্তি ছিলেন বিবেকানন্দ। তিনি ভারতে অন্যতম জাতি-স্রষ্টারূপে পরিগণিত হন। তার শিক্ষা মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু, সুভাষচন্দ্র বসু, অরবিন্দ ঘোষ, সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণ প্রমুখ একাধিক জাতীয় নেতা ও দার্শনিককে প্রভাবিত করেছিল।

ইন্টারনেট

আরও খবর

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০১৯ , ২০ আষাঢ় ১৪২৫, ৩০ শাওয়াল ১৪৪০

স্বামী বিবেকানন্দ

জন্ম : ১২ জানুয়ারি, ১৮৬৩, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ

মৃত্যু : ৪ জুলাই, ১৯০২, বেলুড় মঠ, হাওড়া, পশ্চিমবঙ্গ।

স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রসিদ্ধ হিন্দু ধর্মগুরু রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রধান শিষ্য এবং রামকৃষ্ণ মিশনের প্রতিষ্ঠাতা। এক সম্ভ্রান্ত কায়স্থ পরিবারে স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম। জন্মের পর তার নামকরণ করা হয় নরেন্দ্রনাথ দত্ত। তার চিন্তাচেতনার অন্যতম অনুপ্রেরণা ছিলেন তার যুক্তিবাদী পিতা ও ধর্মপ্রাণা জননী। বিবেকানন্দ বলেছিলেন, ‘আমার জ্ঞানের বিকাশের জন্য আমি আমার মায়ের কাছে ঋণী।’

বিবেকানন্দের বাল্যশিক্ষার সূচনা ঘটে স্বগৃহেই। তিনি ১৮৭৯ সালে প্রবেশিকা (এন্ট্রান্স) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। দর্শন, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, শিল্পকলা, সাহিত্য ও অন্যান্য বিষয়ে ছিল তার গভীর আগ্রহ ও পান্ডিত্য। বেদ, উপনিষদ, গীতা, রামায়ণ, মহাভারত ও পুরান প্রভৃতি ধর্মগ্রন্থের প্রতিও তার আগ্রহের কথা সুবিদিত। কণ্ঠসংগীত ও যন্ত্রসংগীত, শাস্ত্রীয় সংগীতের উভয় শাখাতেই তার বিশেষ পারদর্শিতা ছিল। বাল্যকাল থেকেই খেলাধুলা, শারীরিক ব্যায়াম ও অন্যান্য সংগঠনমূলক কাজকর্মেও তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নিতেন। অতি অল্পবয়সেই বিভিন্ন কূসংস্কার এবং ধর্ম ও বর্ণের ভিত্তিতে বৈষম্য বিচারের যুক্তিগ্রাহ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

তিনি রামকৃষ্ণ পরমহংসের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। তার কাছ থেকেই বিবেকানন্দ শেখেন যে মানুষের সেবাই সর্বোৎকৃষ্ট ঈশ্বরোপাসনা। গুরুর মৃত্যুর পর সন্যাস অবলম্বন করে তিনি সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশ পদব্রজে পর্যটন করেন। তিনি ভারতে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন নামে একটি মানবকল্যাণমূলক আধ্যাত্মিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। আধুনিক ভারতে হিন্দু পুনর্জাগরণের প্রধান চালিকাশক্তি ছিলেন বিবেকানন্দ। তিনি ভারতে অন্যতম জাতি-স্রষ্টারূপে পরিগণিত হন। তার শিক্ষা মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু, সুভাষচন্দ্র বসু, অরবিন্দ ঘোষ, সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণ প্রমুখ একাধিক জাতীয় নেতা ও দার্শনিককে প্রভাবিত করেছিল।

ইন্টারনেট