অভিযোগ স্বীকার মাওলানা আমিনের

পৃথক দুই মামলা দায়ের

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বায়তুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসার ১২ জন শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত প্রধান শিক্ষক মাওলানা আল আমিনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নির্যাতিত এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা এবং অপর মামলাটি র‌্যাবের পক্ষ থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ফতুল্লা থানায় এ মামলা দুটি দায়ের করা হয়। র‌্যাব-১১ সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন জানান, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত প্রধান আল আমিন মাদ্রাসার ১২ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। একই সঙ্গে তিনি ওইসব শিশুশিক্ষার্থীদের পর্নোগ্রাফি ভিডিওচিত্র দেখিয়ে এবং তাদের ছবি যুক্ত করে পর্নোগ্রাফি বানিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে অসামাজিক কাজে বাধ্য করত বলেও জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। এই বারো শিক্ষার্থী ছাড়া আরও কোন শিক্ষার্থীর সঙ্গে ওই শিক্ষক যৌনাচার করেছেন কি না সে ব্যাপারে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে র‌্যাব জানিয়েছে। তিনি আরও জানান, র‌্যাব-১১ ডিএডি কামাল হোসেন বাদী হয়ে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট আইনে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি এবং নির্যাতিত এক শিশুর পরিবারের অভিভাবক বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। ফতুল্লা থানার (ওসি) আসলাম হোসেন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামি আল আমিনকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার মাহমুদপুর এলাকার বায়তুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসা থেকে এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক আল আমিনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এ সময় তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে স্থানীয় এলাকাবাসী।

শনিবার, ০৬ জুলাই ২০১৯ , ২২ আষাঢ় ১৪২৫, ২ জ্বিলকদ ১৪৪০

১২ ছাত্রী ধর্ষণ-যৌন নির্যাতন

অভিযোগ স্বীকার মাওলানা আমিনের

পৃথক দুই মামলা দায়ের

প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বায়তুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসার ১২ জন শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত প্রধান শিক্ষক মাওলানা আল আমিনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নির্যাতিত এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা এবং অপর মামলাটি র‌্যাবের পক্ষ থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ফতুল্লা থানায় এ মামলা দুটি দায়ের করা হয়। র‌্যাব-১১ সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন জানান, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত প্রধান আল আমিন মাদ্রাসার ১২ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। একই সঙ্গে তিনি ওইসব শিশুশিক্ষার্থীদের পর্নোগ্রাফি ভিডিওচিত্র দেখিয়ে এবং তাদের ছবি যুক্ত করে পর্নোগ্রাফি বানিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে অসামাজিক কাজে বাধ্য করত বলেও জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। এই বারো শিক্ষার্থী ছাড়া আরও কোন শিক্ষার্থীর সঙ্গে ওই শিক্ষক যৌনাচার করেছেন কি না সে ব্যাপারে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে র‌্যাব জানিয়েছে। তিনি আরও জানান, র‌্যাব-১১ ডিএডি কামাল হোসেন বাদী হয়ে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট আইনে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি এবং নির্যাতিত এক শিশুর পরিবারের অভিভাবক বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। ফতুল্লা থানার (ওসি) আসলাম হোসেন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামি আল আমিনকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার মাহমুদপুর এলাকার বায়তুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসা থেকে এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক আল আমিনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এ সময় তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে স্থানীয় এলাকাবাসী।