১৩২টি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ নাটের পরিবর্তে বাঁশের গোজ

ঢাকা-উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলের টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত রেললাইনের বেশকিছু সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। রেলসেতুতে দেখা গেছে লোহার বল্টের পরিবর্তে বাঁশের গোজ ও কাঠের ব্যবহার। এছাড়া সেতুর কাঠের তৈরি স্লিপার নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ঝুঁকিতে রয়েছে সেতুগুলো।

ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেললাইনের কালিহাতী উপজেলার জোকারচর রেলসেতুতে গিয়ে দেখা গেছে, সেতুর সঙ্গে রেললাইনের আটকানো ক্লিপ বেশকিছু স্থানে নেই। কিন্তু সেখানে লোহার বল্ট বা নাট দিয়ে আটকানোর কথা থাকলেও বাঁশের গোজ দিয়ে আটকানো হয়েছে। আবার অনেক স্থানে লোহার বল্ট পাওয়া যায়নি। এছাড়া সেতুর অনেক কাঠের স্লিপার নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে লোহার নাটগুলো নাড়াচাড়া বা হাত দিয়ে টেনে তোলা যাচ্ছে। সেতুর একপাশে লোহার পাতগুলো খুলে রয়েছে। শুধু জোকারচর নয়, ওই রেললাইনের বেশকিছু সেতুতে এমনচিত্র দেখা গেছে।

জয়দেবপুর রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত রেললাইনে ১৩২টি ছোট-বড় সেতু রয়েছে। ১৯৯৮ সালে এগুলো নির্মাণ করা হয়। এরপর আর সেতুতে সংস্কার কাজ শুরু হয়নি। এর মধ্যে ২০১৭ সালে ২০ আগস্ট টাঙ্গাইলের পুংলী রেলসেতুর অ্যাপ্রোচ ধসে পড়ে। এতে অল্পের জন্য উত্তরবঙ্গ থেকে আসা ঢাকাগামী ট্রেন দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায়। এরপর ওই সেতুর সংস্কার কাজ রেখে পুনরায় রেল চলাচল শুরু করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি সেই পুংলী রেলসেতুর দুইপাশের অ্যাপ্রোচ সংস্কার কাজ শুরু করে কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ সেতুর ওপর রেললাইনের ক্লিপগুলো খুলে রয়েছে। কিছু লোহার বল্টের বদলে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে নাট বানিয়ে ঠুকিয়ে দেয়া হয়েছে। সেতুর কাঠের স্লিপারের দু’পাশে লোহার পাত খুলে পড়ে রয়েছে। আবার কিছু অংশের পাত মাদকসেবীরা খুলে নিয়ে গেছে।

জয়দেবপুর হেডকোয়ার্টার্সের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী নাজিব কায়সার বলেন, রেললাইনের টাঙ্গাইলের পুংলী ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে সংস্কার শেষ হবে। তবে তিনি দাবি করেন, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-জয়দেবপুর পর্যন্ত সেতুগুলোর সমস্যা বা ঝুঁকি নেই। তবে সেতুগুলো পুরনো হওয়ায় কিছু সেতুর কাঠের স্লিপার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কিন্তু লোহার বল্টের বদলে বাঁশের গোজ ব্যবহার করা হয়নি।

শনিবার, ০৬ জুলাই ২০১৯ , ২২ আষাঢ় ১৪২৫, ২ জ্বিলকদ ১৪৪০

টাঙ্গাইলে রেললাইনে

১৩২টি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ নাটের পরিবর্তে বাঁশের গোজ

জেলা বার্তা পরিবেশক, টাঙ্গাইল

ঢাকা-উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলের টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত রেললাইনের বেশকিছু সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। রেলসেতুতে দেখা গেছে লোহার বল্টের পরিবর্তে বাঁশের গোজ ও কাঠের ব্যবহার। এছাড়া সেতুর কাঠের তৈরি স্লিপার নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ঝুঁকিতে রয়েছে সেতুগুলো।

ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেললাইনের কালিহাতী উপজেলার জোকারচর রেলসেতুতে গিয়ে দেখা গেছে, সেতুর সঙ্গে রেললাইনের আটকানো ক্লিপ বেশকিছু স্থানে নেই। কিন্তু সেখানে লোহার বল্ট বা নাট দিয়ে আটকানোর কথা থাকলেও বাঁশের গোজ দিয়ে আটকানো হয়েছে। আবার অনেক স্থানে লোহার বল্ট পাওয়া যায়নি। এছাড়া সেতুর অনেক কাঠের স্লিপার নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে লোহার নাটগুলো নাড়াচাড়া বা হাত দিয়ে টেনে তোলা যাচ্ছে। সেতুর একপাশে লোহার পাতগুলো খুলে রয়েছে। শুধু জোকারচর নয়, ওই রেললাইনের বেশকিছু সেতুতে এমনচিত্র দেখা গেছে।

জয়দেবপুর রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত রেললাইনে ১৩২টি ছোট-বড় সেতু রয়েছে। ১৯৯৮ সালে এগুলো নির্মাণ করা হয়। এরপর আর সেতুতে সংস্কার কাজ শুরু হয়নি। এর মধ্যে ২০১৭ সালে ২০ আগস্ট টাঙ্গাইলের পুংলী রেলসেতুর অ্যাপ্রোচ ধসে পড়ে। এতে অল্পের জন্য উত্তরবঙ্গ থেকে আসা ঢাকাগামী ট্রেন দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায়। এরপর ওই সেতুর সংস্কার কাজ রেখে পুনরায় রেল চলাচল শুরু করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি সেই পুংলী রেলসেতুর দুইপাশের অ্যাপ্রোচ সংস্কার কাজ শুরু করে কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ সেতুর ওপর রেললাইনের ক্লিপগুলো খুলে রয়েছে। কিছু লোহার বল্টের বদলে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে নাট বানিয়ে ঠুকিয়ে দেয়া হয়েছে। সেতুর কাঠের স্লিপারের দু’পাশে লোহার পাত খুলে পড়ে রয়েছে। আবার কিছু অংশের পাত মাদকসেবীরা খুলে নিয়ে গেছে।

জয়দেবপুর হেডকোয়ার্টার্সের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী নাজিব কায়সার বলেন, রেললাইনের টাঙ্গাইলের পুংলী ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে সংস্কার শেষ হবে। তবে তিনি দাবি করেন, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-জয়দেবপুর পর্যন্ত সেতুগুলোর সমস্যা বা ঝুঁকি নেই। তবে সেতুগুলো পুরনো হওয়ায় কিছু সেতুর কাঠের স্লিপার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কিন্তু লোহার বল্টের বদলে বাঁশের গোজ ব্যবহার করা হয়নি।