চোরাইপথে সুপারি আমদানি বাড়ছে

দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে অস্থিরতা

দেশে ভোগপণ্যের বৃহত্তর পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের সুপারির বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। চোরাইপথে সুপারি আমদানি বহুগুণ বেড়ে যাওয়ায় এমন অস্থিরতা দেখা গেছে। দেশে সুপারির চাহিদাকে পুঁজি করে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে সুপারি আমদানির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা এবং অন্যদিকে প্রায় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এদিকে সুপারি আমদানির ক্ষেত্রে ধার্য করা ট্যারিফের হার পুনর্বিবেচনা এবং চোরাই পথে অবৈধভাবে সুপারি আসা বন্ধে কার্যকর পদেক্ষপ নেয়া সম্ভব হলে সুপারির বাজার স্থিতিশীল হতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দেশের ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আড়ত ও ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে প্রতিবছর সুপারির মোট চাহিদা প্রায় দেড় লাখ টন। এ বিশাল চাহিদার ৪০ ভাগ দেশে উৎপাদন হলেও বাকিটা পূরণ হতো বিশ্ববাজার থেকে আমদানির মাধ্যমে। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার সুপারি আমদানি করা হয় দেশে। কিন্তু তিন-চার বছর ধরে চোরাচালানের মাধ্যমেই আসছে বেশির ভাগ সুপারি। চোরাই পথে আনা সুপারি দেশের বাজারে কমমূল্যে বিক্রি হয়। এতে চড়া মাশুল গুনতে হচ্ছে আমদানিকারকদের।

চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বছর আগে সুপারি আমদানি হতো গড়ে ৭০ হাজার টন সুপারি। কিন্তু ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সুপারি আমদানির পরিমাণ কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮৭২ টনে। চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম বলেন, সিলেটের দিকে বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে প্রচুর পরিমাণ সুপারি আসছে। এতে আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সুপারি চোরাচালান বন্ধে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জোরালো ভূমিকা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। সুপারি আমদানিতে উচ্চহারে শুল্ক নির্ধারণের বিষয়ে তিনি বলেন, শুল্ক হার কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে নির্ধারণে আমদানিকারকরা উদ্যোগ নিলে চট্টগ্রাম চেম্বার সরকারের সঙ্গে বৈঠকের ব্যবস্থা করতে পারে। ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে আশা করি, ব্যবসায়ীবান্ধব সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হবে। ব্যবসায়ীরা জানান, ৫ বছর আগেও বছরে প্রায় ৩-৪ হাজার কনটেইনার (প্রতিটি কনটেইনারে ১৮ টন) সুপারি আমদানি করা হতো। সেই হিসেবে বছরে প্রায় ৭০ হাজার থেকে ৭৫ হাজার টন সুপারি আমদানি করা হতো। উচ্চহারে ডিউটি ধার্য করায় বা শুল্ক বাড়ানোয় আমদানি অনেকাংশে কমে গেছে। গত ৩ বছর ধরে আমদানি কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে গড়ে সাড়ে ১১ হাজার টনে। জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৩ মে শুল্কমুক্ত সুবিধায় সুপারি এনে দেশীয় খোলাবাজারে বিক্রি এবং সুপারি আমদানির মাধ্যমে মানি লন্ডারিং ঘটছে এমন অভিযোগে পণ্যটির আমদানি বন্ধ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু পরের বছরেই এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। ২০১৩-১৪ অর্থবছরেও সুপারি আমদানিতে ট্যারিফ ছিল টনপ্রতি ১২শ’ ডলার। কিন্তু এর পরের অর্থবছর থেকে ট্যারিফ করা হয় টনপ্রতি সাড়ে ১৭শ’ ডলার। এতে আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় অনেক আমদানিকারকরা লোকসানের কারণে সুপারি ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন। আর যারা এখনো যে কয়েকজন ব্যবসায়ী সুপারি ব্যবসা করছেন চোরাই পথে আসা সুপারির কারণে তারা কোটি কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছেন। চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের শুকনো সুপারির সবচেয়ে বড় আমদানিকারক অজয়কৃষ্ণ দাশ মজুমদার। তিনি বলেন, সুপারির বাজার অস্থির হয়ে গেছে। আমদানি বন্ধের কারণে আমদানিকারক ও প্রকৃত ব্যবসায়ীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সুপারি আমদানির ক্ষেত্রে ধার্য করা ট্যারিফের হার পুনর্বিবেচনা এবং চোরাই পথে অবৈধভাবে সুপারি আসা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হলে সুপারির বাজার স্থিতিশীল হতে পারে বলে জানান তিনি।

আমদানিকারক ও চাক্তাইকেন্দ্রিক সুপারির পাইকারি ব্যবসায়ী আযম খান বলেন, চোরাই পথে অবৈধভাবে সুপারি আনায় প্রকৃত ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা পথে বসার অবস্থায় আছেন। আমদানিনির্ভর বিক্রেতাদের খুব খারাপ সময় যাচ্ছে। আমদানিকারকরা আরও জানান, দেশের বিভিন্ন সিমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে গুটিকয়েক চোরাকারবারি সিন্ডিকেট সুপারি আনছে বিভিন্ন মাধ্যমে। চোরাকারবারিরা মায়ানমার, ভারত ও থাইল্যান্ড থেকে সুপারি ভারতের মিজোরাম, আসাম, মনিপুর হয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করে। চোরকারবারিদের মধ্যে কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মায়ানমার থেকে চম্পাই বর্ডার হয়ে ভারতের মিজোরাম রাজ্য দিয়ে আসামে কালাইন বাজারে গুদামজাত করা হয়। সেখান থেকে বাংলাদেশে পাচারের জন্য মেঘালয় রাজ্যের সংগ্রামপুঞ্জি ও পেঁচুয়া বাজারে নেয়া হয়। ভারতের লাইজুরি, বড়ছারা এবং কুয়ারতর সিমান্ত হয়ে বাংলাদেশের সিলেটের তামাবিল চেকপোস্ট দিয়ে জয়ন্তপুর ও কানারঘাট থানা দিয়ে সুপারিগুলো বাংলাদেশে প্রবেশ করে সিলেটের হরিপুর বাজারে গুদামজাত করা হয়। সিলেটের কাজীর বাজারের ৫-৬ জন আড়তদাররা কেজিতে ২০ টাকা কমিশন রেখে তাদের এজেন্টের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন বাজারে সুপারি বিক্রি করে। এছাড়া যশোরের বেনাপোল, নেত্রকোনার কলমাকান্দা সীমান্ত দিয়ে চোরাই সুপারি আসছে দেশে। এদিকে একটি সিন্ডিকেট মায়ানমার সীমান্তবর্তী ফাত্রাঝিরি, গর্জনবনিয়া, ডেইলপাড়া, ঘুমধুম রহমতের বিল ও ধামনখালী পয়েন্ট দিয়ে প্রতিনিয়ত প্রচুর পরিমাণ শুকনা সুপারি আনছে। বিনিময়ে এখান থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে ইউরিয়া সার ও ভোজ্যতেল। মাঝেমধ্যে বিজিবি, পুলিশ অভিযান চালিয়ে কিছু কিছু চোরাই পণ্য আটক করলেও পাচারকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত ১৪ জুন নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে চোরাই পথে আসা ৫৫ বস্তা ভারতীয় সুপারি জব্দ করে বিজিবি।

শনিবার, ০৬ জুলাই ২০১৯ , ২২ আষাঢ় ১৪২৫, ২ জ্বিলকদ ১৪৪০

চট্টগ্রামে

চোরাইপথে সুপারি আমদানি বাড়ছে

দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে অস্থিরতা

নিরুপম দাশগুপ্ত, চট্টগ্রাম ব্যুরো

দেশে ভোগপণ্যের বৃহত্তর পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের সুপারির বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। চোরাইপথে সুপারি আমদানি বহুগুণ বেড়ে যাওয়ায় এমন অস্থিরতা দেখা গেছে। দেশে সুপারির চাহিদাকে পুঁজি করে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে সুপারি আমদানির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা এবং অন্যদিকে প্রায় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এদিকে সুপারি আমদানির ক্ষেত্রে ধার্য করা ট্যারিফের হার পুনর্বিবেচনা এবং চোরাই পথে অবৈধভাবে সুপারি আসা বন্ধে কার্যকর পদেক্ষপ নেয়া সম্ভব হলে সুপারির বাজার স্থিতিশীল হতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দেশের ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আড়ত ও ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে প্রতিবছর সুপারির মোট চাহিদা প্রায় দেড় লাখ টন। এ বিশাল চাহিদার ৪০ ভাগ দেশে উৎপাদন হলেও বাকিটা পূরণ হতো বিশ্ববাজার থেকে আমদানির মাধ্যমে। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার সুপারি আমদানি করা হয় দেশে। কিন্তু তিন-চার বছর ধরে চোরাচালানের মাধ্যমেই আসছে বেশির ভাগ সুপারি। চোরাই পথে আনা সুপারি দেশের বাজারে কমমূল্যে বিক্রি হয়। এতে চড়া মাশুল গুনতে হচ্ছে আমদানিকারকদের।

চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বছর আগে সুপারি আমদানি হতো গড়ে ৭০ হাজার টন সুপারি। কিন্তু ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সুপারি আমদানির পরিমাণ কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮৭২ টনে। চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম বলেন, সিলেটের দিকে বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে প্রচুর পরিমাণ সুপারি আসছে। এতে আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সুপারি চোরাচালান বন্ধে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জোরালো ভূমিকা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। সুপারি আমদানিতে উচ্চহারে শুল্ক নির্ধারণের বিষয়ে তিনি বলেন, শুল্ক হার কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে নির্ধারণে আমদানিকারকরা উদ্যোগ নিলে চট্টগ্রাম চেম্বার সরকারের সঙ্গে বৈঠকের ব্যবস্থা করতে পারে। ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে আশা করি, ব্যবসায়ীবান্ধব সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হবে। ব্যবসায়ীরা জানান, ৫ বছর আগেও বছরে প্রায় ৩-৪ হাজার কনটেইনার (প্রতিটি কনটেইনারে ১৮ টন) সুপারি আমদানি করা হতো। সেই হিসেবে বছরে প্রায় ৭০ হাজার থেকে ৭৫ হাজার টন সুপারি আমদানি করা হতো। উচ্চহারে ডিউটি ধার্য করায় বা শুল্ক বাড়ানোয় আমদানি অনেকাংশে কমে গেছে। গত ৩ বছর ধরে আমদানি কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে গড়ে সাড়ে ১১ হাজার টনে। জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৩ মে শুল্কমুক্ত সুবিধায় সুপারি এনে দেশীয় খোলাবাজারে বিক্রি এবং সুপারি আমদানির মাধ্যমে মানি লন্ডারিং ঘটছে এমন অভিযোগে পণ্যটির আমদানি বন্ধ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু পরের বছরেই এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। ২০১৩-১৪ অর্থবছরেও সুপারি আমদানিতে ট্যারিফ ছিল টনপ্রতি ১২শ’ ডলার। কিন্তু এর পরের অর্থবছর থেকে ট্যারিফ করা হয় টনপ্রতি সাড়ে ১৭শ’ ডলার। এতে আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় অনেক আমদানিকারকরা লোকসানের কারণে সুপারি ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন। আর যারা এখনো যে কয়েকজন ব্যবসায়ী সুপারি ব্যবসা করছেন চোরাই পথে আসা সুপারির কারণে তারা কোটি কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছেন। চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের শুকনো সুপারির সবচেয়ে বড় আমদানিকারক অজয়কৃষ্ণ দাশ মজুমদার। তিনি বলেন, সুপারির বাজার অস্থির হয়ে গেছে। আমদানি বন্ধের কারণে আমদানিকারক ও প্রকৃত ব্যবসায়ীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সুপারি আমদানির ক্ষেত্রে ধার্য করা ট্যারিফের হার পুনর্বিবেচনা এবং চোরাই পথে অবৈধভাবে সুপারি আসা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হলে সুপারির বাজার স্থিতিশীল হতে পারে বলে জানান তিনি।

আমদানিকারক ও চাক্তাইকেন্দ্রিক সুপারির পাইকারি ব্যবসায়ী আযম খান বলেন, চোরাই পথে অবৈধভাবে সুপারি আনায় প্রকৃত ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা পথে বসার অবস্থায় আছেন। আমদানিনির্ভর বিক্রেতাদের খুব খারাপ সময় যাচ্ছে। আমদানিকারকরা আরও জানান, দেশের বিভিন্ন সিমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে গুটিকয়েক চোরাকারবারি সিন্ডিকেট সুপারি আনছে বিভিন্ন মাধ্যমে। চোরাকারবারিরা মায়ানমার, ভারত ও থাইল্যান্ড থেকে সুপারি ভারতের মিজোরাম, আসাম, মনিপুর হয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করে। চোরকারবারিদের মধ্যে কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মায়ানমার থেকে চম্পাই বর্ডার হয়ে ভারতের মিজোরাম রাজ্য দিয়ে আসামে কালাইন বাজারে গুদামজাত করা হয়। সেখান থেকে বাংলাদেশে পাচারের জন্য মেঘালয় রাজ্যের সংগ্রামপুঞ্জি ও পেঁচুয়া বাজারে নেয়া হয়। ভারতের লাইজুরি, বড়ছারা এবং কুয়ারতর সিমান্ত হয়ে বাংলাদেশের সিলেটের তামাবিল চেকপোস্ট দিয়ে জয়ন্তপুর ও কানারঘাট থানা দিয়ে সুপারিগুলো বাংলাদেশে প্রবেশ করে সিলেটের হরিপুর বাজারে গুদামজাত করা হয়। সিলেটের কাজীর বাজারের ৫-৬ জন আড়তদাররা কেজিতে ২০ টাকা কমিশন রেখে তাদের এজেন্টের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন বাজারে সুপারি বিক্রি করে। এছাড়া যশোরের বেনাপোল, নেত্রকোনার কলমাকান্দা সীমান্ত দিয়ে চোরাই সুপারি আসছে দেশে। এদিকে একটি সিন্ডিকেট মায়ানমার সীমান্তবর্তী ফাত্রাঝিরি, গর্জনবনিয়া, ডেইলপাড়া, ঘুমধুম রহমতের বিল ও ধামনখালী পয়েন্ট দিয়ে প্রতিনিয়ত প্রচুর পরিমাণ শুকনা সুপারি আনছে। বিনিময়ে এখান থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে ইউরিয়া সার ও ভোজ্যতেল। মাঝেমধ্যে বিজিবি, পুলিশ অভিযান চালিয়ে কিছু কিছু চোরাই পণ্য আটক করলেও পাচারকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত ১৪ জুন নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে চোরাই পথে আসা ৫৫ বস্তা ভারতীয় সুপারি জব্দ করে বিজিবি।