মাদ্রাসাছাত্রকে জবাই করে হত্যাচেষ্টা

মাগুরা সদরের বাগরাড়িয়া গ্রামে মো. হাবিবুল্লাহ (১৭) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রকে গতকাল ভোররাতে ঘুমের মধ্যেই জবাই করে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। অল্পের জন্য বেঁচে যাওয়া ওই যুবক এখন মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হাবিবুল্লাহ মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার ধুপুরিয়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে। ১ বছর ধরে সে ওই মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে পড়াশোনা করছে।

মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাবিবুল্লাহ জানান, প্রচন্ড গরমের কারণে মাদ্রাসাসংলগ্ন মসজিদের বারান্দায় ঘুমিয়েছিল সে ও তার ৪ সহপাঠী। রাত ৩টার দিকে কে বা কারা হাবিবুল্লাহর গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দিয়ে জবাই করতে যায়। এ সময় সে চিৎকার দিলে দুর্বৃত্ত তার মাথায় আর একটি কোপ দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। গলায় হাত দিয়ে রক্তক্ষরণ ঠেকিয়ে সে চিৎকার দিয়ে সবাইকে জাগিয়ে তোলে। সঙ্গে সঙ্গে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাকে দ্রুত মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় সে প্রাণে বেঁচে যায়।

মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসক ডা. অমর প্রসাদ বিশ্বাস জানান, হাবিবুল্লাকে মাগুরা সদর হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তার আঘাত গুরুতর হলেও বর্তমানে সে আশঙ্কামুক্ত।

মাগুরা সদর থানার ডিউটি অফিসার মনোজিত বিশ্বাস জানান, ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম কাজ করছে। কেন এ ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

শনিবার, ০৬ জুলাই ২০১৯ , ২২ আষাঢ় ১৪২৫, ২ জ্বিলকদ ১৪৪০

মাগুরায়

মাদ্রাসাছাত্রকে জবাই করে হত্যাচেষ্টা

প্রতিনিধি মাগুরা

মাগুরা সদরের বাগরাড়িয়া গ্রামে মো. হাবিবুল্লাহ (১৭) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রকে গতকাল ভোররাতে ঘুমের মধ্যেই জবাই করে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। অল্পের জন্য বেঁচে যাওয়া ওই যুবক এখন মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হাবিবুল্লাহ মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার ধুপুরিয়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে। ১ বছর ধরে সে ওই মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে পড়াশোনা করছে।

মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাবিবুল্লাহ জানান, প্রচন্ড গরমের কারণে মাদ্রাসাসংলগ্ন মসজিদের বারান্দায় ঘুমিয়েছিল সে ও তার ৪ সহপাঠী। রাত ৩টার দিকে কে বা কারা হাবিবুল্লাহর গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দিয়ে জবাই করতে যায়। এ সময় সে চিৎকার দিলে দুর্বৃত্ত তার মাথায় আর একটি কোপ দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। গলায় হাত দিয়ে রক্তক্ষরণ ঠেকিয়ে সে চিৎকার দিয়ে সবাইকে জাগিয়ে তোলে। সঙ্গে সঙ্গে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাকে দ্রুত মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় সে প্রাণে বেঁচে যায়।

মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসক ডা. অমর প্রসাদ বিশ্বাস জানান, হাবিবুল্লাকে মাগুরা সদর হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তার আঘাত গুরুতর হলেও বর্তমানে সে আশঙ্কামুক্ত।

মাগুরা সদর থানার ডিউটি অফিসার মনোজিত বিশ্বাস জানান, ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম কাজ করছে। কেন এ ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।