এটিএম শামসুজ্জামানকে ছাড়াই মীর সাব্বিরের ‘নোয়াশাল’

আজ থেকে প্রায় সাত বছর আগে আরটিভিতে প্রচার শুরু হয়েছিলো অভিনেতা মীর সাব্বিরের নির্দেশনায় নির্মিত ধারাবাহিক নাটক ‘নোয়াশাল’। টিভি পর্দার এবং সিনেমার অনেক তারকাই শুরু থেকে এই দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছেন। অনেকেই শুরু থেকে থাকলেও শেষ পর্যন্ত অনেক তারকাই থাকতে পারেননি। এই ধারাবাহিকের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান অভিনয় করেছেন। কিন্তু গেলো এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত এটিএম শামসুজ্জামান হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন থাকার কারণে ‘নোয়াশাল’র শেষ পর্যায়ের শুটিংয়ে তিনি থাকতে পারছেন না। মীর সাব্বির জানান এই মুহূর্তে ‘নোয়াশাল’ ধারাবাহিকের শেষ কয়েকটি পর্বের শুটিং হচ্ছে। চলতি সপ্তাহেই শেষ হয়ে যাবে ‘নোয়াশাল’র শুটিং। মীর সাব্বিরের প্রবল ইচ্ছে থাকার পরও ধারাবাহিকটির শেষ পর্যায়ের শুটিং-এ থাকতে পারছেন না এটিএম শামসুজ্জামান। মীর সাব্বির বলেন, ‘এটিএম ভাই আমাদের দেশের গর্ব, আমাদের চলচ্চিত্রের, নাটকের গর্ব তিনি। একজন একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা তিনি। আমার নোয়াশাল নাটকের অলংকার তিনি, আমার নোয়াশাল নাটকের প্রাণ তিনি। শুধু তার কারণেই এই নাটকের জনপ্রিয়তা ছিলো আকাশচুম্বী। গেলো এপ্রিলে যখন সিডিউল ঠিক করি তাকে নিয়ে শুটিং করার তখনই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি এখন বেশ সুস্থ আছেন, ভালো আছেন। এখন নোয়াশাল’র শেষ মুহূর্তের শুটিং চলছে। আমার ভীষণ ইচ্ছে ছিলো নোয়াশাল’র শেষদিন পর্যন্ত এটিএম ভাইকে নিয়ে শুটিং করার। কিন্তু সেটা আর হয়ে উঠলোনা। তারপরও এটিএম ভাইয়ের আন্তরিক সহযোগিতার কথা কোনদিন ভুলবো না। তার কাছে আমি ঋনী হয়ে রইলাম।’ এটিএম শামসুজ্জামান বলেন, ‘মীর সাব্বির অনেক মেধাবী একজন নির্মাতা। তার অভিনয়ের চেয়ে তার নির্মাণের প্রেমে পড়েছি আমি বহুবার। এই যুগে এমন ভালো মানুষ পাওয়া যেমন কঠিন, ঠিক তেমনি এমন ধৈর্যশীল, মেধাবী নির্মাতা পাওয়াও অনেকটাই কঠিন। তার জন্য, তার পরিবারের জন্য দোয়া করি, সেইসাথে নির্মাণ নিয়ে তার অধ্যবসায়কে আমি স্যালুট জানাই।’ আরটিভিতে ৮৭১তম পর্ব প্রচারের মধ্যদিয়ে শিগগিরই শেষ হবে নোয়াশালের প্রচার।

রবিবার, ০৭ জুলাই ২০১৯ , ২৩ আষাঢ় ১৪২৫, ৩ জ্বিলকদ ১৪৪০

এটিএম শামসুজ্জামানকে ছাড়াই মীর সাব্বিরের ‘নোয়াশাল’

বিনোদন প্রতিবেদক

image

আজ থেকে প্রায় সাত বছর আগে আরটিভিতে প্রচার শুরু হয়েছিলো অভিনেতা মীর সাব্বিরের নির্দেশনায় নির্মিত ধারাবাহিক নাটক ‘নোয়াশাল’। টিভি পর্দার এবং সিনেমার অনেক তারকাই শুরু থেকে এই দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছেন। অনেকেই শুরু থেকে থাকলেও শেষ পর্যন্ত অনেক তারকাই থাকতে পারেননি। এই ধারাবাহিকের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান অভিনয় করেছেন। কিন্তু গেলো এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত এটিএম শামসুজ্জামান হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন থাকার কারণে ‘নোয়াশাল’র শেষ পর্যায়ের শুটিংয়ে তিনি থাকতে পারছেন না। মীর সাব্বির জানান এই মুহূর্তে ‘নোয়াশাল’ ধারাবাহিকের শেষ কয়েকটি পর্বের শুটিং হচ্ছে। চলতি সপ্তাহেই শেষ হয়ে যাবে ‘নোয়াশাল’র শুটিং। মীর সাব্বিরের প্রবল ইচ্ছে থাকার পরও ধারাবাহিকটির শেষ পর্যায়ের শুটিং-এ থাকতে পারছেন না এটিএম শামসুজ্জামান। মীর সাব্বির বলেন, ‘এটিএম ভাই আমাদের দেশের গর্ব, আমাদের চলচ্চিত্রের, নাটকের গর্ব তিনি। একজন একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা তিনি। আমার নোয়াশাল নাটকের অলংকার তিনি, আমার নোয়াশাল নাটকের প্রাণ তিনি। শুধু তার কারণেই এই নাটকের জনপ্রিয়তা ছিলো আকাশচুম্বী। গেলো এপ্রিলে যখন সিডিউল ঠিক করি তাকে নিয়ে শুটিং করার তখনই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি এখন বেশ সুস্থ আছেন, ভালো আছেন। এখন নোয়াশাল’র শেষ মুহূর্তের শুটিং চলছে। আমার ভীষণ ইচ্ছে ছিলো নোয়াশাল’র শেষদিন পর্যন্ত এটিএম ভাইকে নিয়ে শুটিং করার। কিন্তু সেটা আর হয়ে উঠলোনা। তারপরও এটিএম ভাইয়ের আন্তরিক সহযোগিতার কথা কোনদিন ভুলবো না। তার কাছে আমি ঋনী হয়ে রইলাম।’ এটিএম শামসুজ্জামান বলেন, ‘মীর সাব্বির অনেক মেধাবী একজন নির্মাতা। তার অভিনয়ের চেয়ে তার নির্মাণের প্রেমে পড়েছি আমি বহুবার। এই যুগে এমন ভালো মানুষ পাওয়া যেমন কঠিন, ঠিক তেমনি এমন ধৈর্যশীল, মেধাবী নির্মাতা পাওয়াও অনেকটাই কঠিন। তার জন্য, তার পরিবারের জন্য দোয়া করি, সেইসাথে নির্মাণ নিয়ে তার অধ্যবসায়কে আমি স্যালুট জানাই।’ আরটিভিতে ৮৭১তম পর্ব প্রচারের মধ্যদিয়ে শিগগিরই শেষ হবে নোয়াশালের প্রচার।