‘শীঘ্রই অবৈধ অভিবাসীবিরোধী অভিযান শুরু’

সংবাদ ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে আবস্থানরত অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে শীঘ্রই অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। অভিবাসন বিষয়ে কট্টর অবস্থানের জন্য পরিচিত ট্রাম্পের ২০২০ সালের ৪৬তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণাতেও অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। অন্যদিকে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা এসব অভিবাসীদের আটকানোর প্রচেষ্টা চালালে তাদের প্রতিহত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে অভিবাসন নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো। রয়টার্স।

ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে আবস্থানরত অবৈধ অভিবাসীদের তাড়াতে গত মাসেই অভিযানের পরিকল্পনা করলেও দিনক্ষণ ফাঁস হয়ে যাওয়ায় পরে তা স্থগিত করে। গত শুক্রবার হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের ট্রাম্প জানান, শীঘ্রই এ কার্যক্রম শুরু হবে, আমি একে অভিযান বলতে চাই না। বছরের পর বছর ধরে যারা অবৈধভাবে বসবাস করছে, আমরা তাদের সরাতে চাই।’ ট্রাম্প এমনটা বললেও গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কয়েক মাসের মধ্যে প্রবেশ করা কাগজপত্রহীন অভিবাসীদের লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছিল। তারা জানায়, দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে চাওয়া মধ্য আমেরিকান দেশগুলোর বাসিন্দাদের নিরুৎসাহিত করতেই এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এক বিবৃতিতে আইসিই জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত অপরাধের সঙ্গে জড়িত এমন মানুষদের গ্রেফতারেই তাদের নজর থাকবে। তবে কোন অভিবাসী যদি মার্কিন কোন আইন লংঘন করে, তবে তাকেও গ্রেফতার করা হবে। অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো চলতি সপ্তাহে আইসিইর আগের অভিযানে কাদের বেশি গ্রেফতার করা হয়েছে সে বিষয়ক সরকারি নথি প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, কর্মকর্তারা কাগজপত্রহীন অভিবাসীদের গ্রেফতারেই বেশ আগ্রহী। অবৈধ অভিবাসী ধরতে যখন তখন অভিযানের হুমকি দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর বলে অভিযোগ করেছে অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো। অভিযানের হুমকির কারণে অনেক প্রাপ্তবয়স্কই কাজে যেতে চান না এবং শিশুদের স্কুলে অনুপস্থিতির হারও বাড়ে বলে জানিয়েছে তারা। ‘ট্রাম্পের ঘোষণার পরপর নয়, আমাদের সব সময়ই প্রস্তুত থাকতে হবে। কেননা প্রতিদিনই কোন না কোন অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার হচ্ছে,’ বলেছেন অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সোমোস উন পুয়েবলোউনিদোর সংগঠন এলসা লোপেজ।

নিউ মেক্সিকোভিত্তিক এ সংগঠনটি অভিবাসীদের অধিকার বিষয়ে শিক্ষা দেয়ার পাশাপাশি তাদের মধ্যে ফোন যোগাযোগ তৈরিতে কাজ করে। যেন আইসিই কোন এলাকায় তাৎক্ষণিকভাবে অন্যরা সতর্ক হতে পারে। গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পশ্চিম সীমান্তে ১৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীর চাপ দেখার পর ট্রাম্প প্রশাসন অবৈধ অভিবাসীবিরোধী এ অভিযান চালানোর হুমকি দেয়। মেক্সিকো ওই চাপ সামলাতে কিছু ব্যবস্থা নেয়ার পর ?গত মাসে সীমান্তে ভিড় কমে আসে। মধ্য আমেরিকার দেশগুলো ছাড়া ভারত, কিউবা এবং আফ্রিকা থেকেও যুক্তরাষ্ট্রমুখী অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা বাড়ছে।

রবিবার, ০৭ জুলাই ২০১৯ , ২৩ আষাঢ় ১৪২৫, ৩ জ্বিলকদ ১৪৪০

‘শীঘ্রই অবৈধ অভিবাসীবিরোধী অভিযান শুরু’

সংবাদ ডেস্ক

image

ডোনাল্ড ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রে আবস্থানরত অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে শীঘ্রই অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। অভিবাসন বিষয়ে কট্টর অবস্থানের জন্য পরিচিত ট্রাম্পের ২০২০ সালের ৪৬তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণাতেও অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। অন্যদিকে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা এসব অভিবাসীদের আটকানোর প্রচেষ্টা চালালে তাদের প্রতিহত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে অভিবাসন নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো। রয়টার্স।

ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে আবস্থানরত অবৈধ অভিবাসীদের তাড়াতে গত মাসেই অভিযানের পরিকল্পনা করলেও দিনক্ষণ ফাঁস হয়ে যাওয়ায় পরে তা স্থগিত করে। গত শুক্রবার হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের ট্রাম্প জানান, শীঘ্রই এ কার্যক্রম শুরু হবে, আমি একে অভিযান বলতে চাই না। বছরের পর বছর ধরে যারা অবৈধভাবে বসবাস করছে, আমরা তাদের সরাতে চাই।’ ট্রাম্প এমনটা বললেও গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কয়েক মাসের মধ্যে প্রবেশ করা কাগজপত্রহীন অভিবাসীদের লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছিল। তারা জানায়, দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে চাওয়া মধ্য আমেরিকান দেশগুলোর বাসিন্দাদের নিরুৎসাহিত করতেই এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এক বিবৃতিতে আইসিই জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত অপরাধের সঙ্গে জড়িত এমন মানুষদের গ্রেফতারেই তাদের নজর থাকবে। তবে কোন অভিবাসী যদি মার্কিন কোন আইন লংঘন করে, তবে তাকেও গ্রেফতার করা হবে। অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো চলতি সপ্তাহে আইসিইর আগের অভিযানে কাদের বেশি গ্রেফতার করা হয়েছে সে বিষয়ক সরকারি নথি প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, কর্মকর্তারা কাগজপত্রহীন অভিবাসীদের গ্রেফতারেই বেশ আগ্রহী। অবৈধ অভিবাসী ধরতে যখন তখন অভিযানের হুমকি দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর বলে অভিযোগ করেছে অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো। অভিযানের হুমকির কারণে অনেক প্রাপ্তবয়স্কই কাজে যেতে চান না এবং শিশুদের স্কুলে অনুপস্থিতির হারও বাড়ে বলে জানিয়েছে তারা। ‘ট্রাম্পের ঘোষণার পরপর নয়, আমাদের সব সময়ই প্রস্তুত থাকতে হবে। কেননা প্রতিদিনই কোন না কোন অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার হচ্ছে,’ বলেছেন অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সোমোস উন পুয়েবলোউনিদোর সংগঠন এলসা লোপেজ।

নিউ মেক্সিকোভিত্তিক এ সংগঠনটি অভিবাসীদের অধিকার বিষয়ে শিক্ষা দেয়ার পাশাপাশি তাদের মধ্যে ফোন যোগাযোগ তৈরিতে কাজ করে। যেন আইসিই কোন এলাকায় তাৎক্ষণিকভাবে অন্যরা সতর্ক হতে পারে। গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পশ্চিম সীমান্তে ১৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীর চাপ দেখার পর ট্রাম্প প্রশাসন অবৈধ অভিবাসীবিরোধী এ অভিযান চালানোর হুমকি দেয়। মেক্সিকো ওই চাপ সামলাতে কিছু ব্যবস্থা নেয়ার পর ?গত মাসে সীমান্তে ভিড় কমে আসে। মধ্য আমেরিকার দেশগুলো ছাড়া ভারত, কিউবা এবং আফ্রিকা থেকেও যুক্তরাষ্ট্রমুখী অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা বাড়ছে।