যুক্তরাজ্যে পাঁচ জনের কারাদন্ড

বিচারের আওতাধীন আরও ৩ সদস্য

মানুষকে দাসত্বে ব্যবহারের সবচেয়ে বড় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র ভেঙে দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এ চক্রের খপ্পরে পড়ে চার শতাধিক মানুষ আধুনিক দাসত্বের শিকার হয়েছেন বলেই পুলিশের ধারণা। বিচারে চক্রটির ৫ সদস্যের কারাদন্ড হয়েছে এবং আরও ৩ সদস্য বিচারের আওতাধীন রয়েছে। চক্রটি অসহায় মানুষকে ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসে জোর করে কাজে বা দাসত্বে ব্যবহার করেছে বলে পুলিশ ধারণা করছে।

উন্নত জীবন এবং ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পোল্যান্ড থেকে তাদের ইংল্যান্ডে নিয়ে আসা হয়। মূলত গৃহহীন, জেলখাটা মানুষ এবং মদ্যপদেরই শিকারে পরিণত করেছে চক্রটি। এ কাজে জড়িত ৮ জন দুটো মামলায় অর্থ পাচার, মানব পাচার এবং মানুষকে দাসত্বে ব্যবহারের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। তারা অপরাধে জড়িত দুটো পোলিশ পরিবারের সদস্য ও সহযোগী বলে জানিয়েছে বিবিসি।

চক্রের ৫ সদস্যকে ৪ বছর, ৬ মাস এবং ১১ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। ২০১৫ সালে দাসত্বের শিকার দু’জন পালিয়ে গিয়ে বিচার চাইতে সক্ষম হওয়ার পর অপরাধ চক্রটি ভেঙে পড়েছিল। বিচারের সময় পালিয়ে যাওয়া সদস্যদেরও সাজা দেয়া হবে। দাসত্বের শিকার হওয়া ৯২ জনকে চিহ্নিত করা গেছে। তবে পুলিশের ধারণা, আরও কমপক্ষে ৩৫০ জন ওই চক্রের নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। তারা হয় দেশ ছেড়ে চলে গেছে অথবা বিচার প্রক্রিয়ায় কোন প্রমাণ দেয়ার সাহস করেনি।

চক্রের সদস্যরা ফুসলিয়ে নিয়ে আসা মানুষগুলোকে দৈন্যদশায় রাখা ছাড়াও তাদের দিয়ে জোর করে কাজ করানো এবং কাজ করতে না চাইলে তাদের মারধর করা, ভয় দেখানো এমন কী তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর চড়াও হওয়ারও হুমকি দিয়েছে। কাউকে কাউকে নিজের কবর খুঁড়তে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার ভয় দেখানো হয়েছে। আবার কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া কাউকে আহত অবস্থাতেই কোন চিকিৎসা না দিয়ে কারখানায় কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছে।

রবিবার, ০৭ জুলাই ২০১৯ , ২৩ আষাঢ় ১৪২৫, ৩ জ্বিলকদ ১৪৪০

৪ শতাধিক মানুষকে দাসত্বে ব্যবহার

যুক্তরাজ্যে পাঁচ জনের কারাদন্ড

বিচারের আওতাধীন আরও ৩ সদস্য

সংবাদ ডেস্ক

মানুষকে দাসত্বে ব্যবহারের সবচেয়ে বড় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র ভেঙে দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এ চক্রের খপ্পরে পড়ে চার শতাধিক মানুষ আধুনিক দাসত্বের শিকার হয়েছেন বলেই পুলিশের ধারণা। বিচারে চক্রটির ৫ সদস্যের কারাদন্ড হয়েছে এবং আরও ৩ সদস্য বিচারের আওতাধীন রয়েছে। চক্রটি অসহায় মানুষকে ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসে জোর করে কাজে বা দাসত্বে ব্যবহার করেছে বলে পুলিশ ধারণা করছে।

উন্নত জীবন এবং ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পোল্যান্ড থেকে তাদের ইংল্যান্ডে নিয়ে আসা হয়। মূলত গৃহহীন, জেলখাটা মানুষ এবং মদ্যপদেরই শিকারে পরিণত করেছে চক্রটি। এ কাজে জড়িত ৮ জন দুটো মামলায় অর্থ পাচার, মানব পাচার এবং মানুষকে দাসত্বে ব্যবহারের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। তারা অপরাধে জড়িত দুটো পোলিশ পরিবারের সদস্য ও সহযোগী বলে জানিয়েছে বিবিসি।

চক্রের ৫ সদস্যকে ৪ বছর, ৬ মাস এবং ১১ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। ২০১৫ সালে দাসত্বের শিকার দু’জন পালিয়ে গিয়ে বিচার চাইতে সক্ষম হওয়ার পর অপরাধ চক্রটি ভেঙে পড়েছিল। বিচারের সময় পালিয়ে যাওয়া সদস্যদেরও সাজা দেয়া হবে। দাসত্বের শিকার হওয়া ৯২ জনকে চিহ্নিত করা গেছে। তবে পুলিশের ধারণা, আরও কমপক্ষে ৩৫০ জন ওই চক্রের নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। তারা হয় দেশ ছেড়ে চলে গেছে অথবা বিচার প্রক্রিয়ায় কোন প্রমাণ দেয়ার সাহস করেনি।

চক্রের সদস্যরা ফুসলিয়ে নিয়ে আসা মানুষগুলোকে দৈন্যদশায় রাখা ছাড়াও তাদের দিয়ে জোর করে কাজ করানো এবং কাজ করতে না চাইলে তাদের মারধর করা, ভয় দেখানো এমন কী তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর চড়াও হওয়ারও হুমকি দিয়েছে। কাউকে কাউকে নিজের কবর খুঁড়তে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার ভয় দেখানো হয়েছে। আবার কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া কাউকে আহত অবস্থাতেই কোন চিকিৎসা না দিয়ে কারখানায় কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছে।