উচ্ছেদ হওয়া হকাররা ফুটপাত দখল করে আবারও বসার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর তাদের নেপথ্যে উসকানি দিয়ে নারায়ণগঞ্জকে অশান্ত করার পাঁয়তারা করছে হকারদের কাছ থেকে প্রতি মাসে সোয়া কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায়কারী প্রভাবশালী রাজনৈতিক পক্ষটি। তবে পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, হকার বিষয়ে তারা আগের অবস্থানেই থাকবে। একটি ব্যাংকে চাকরি করেন তাসলিমা আক্তার। তিনি বলেন, আমার অফিসের প্রবেশপথের দু’পাশে হকাররা প্রায় মার্কেট বসিয়ে ফেলেছিল। তাদের দোকানের কারণে প্রচুর লোক ফুটপাথে দাঁড়িয়ে থাকত। ভিড় লেগেই থাকত। ফলে ইচ্ছে হলেও ফুটপাত দিয়ে যাওয়ার উপায় ছিল না। কাউকে কিছু বলারও যেন ছিল না। হকার উচ্ছেদ হওয়ার পরে এখন স্বাচ্ছন্দ্যে অফিসে যেতে পারছি। মন্ডলপাড়ার চাল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ লিটন জানান, চাষাঢ়া থেকে নিতাইগঞ্জে আসতে প্রায় ৪০ মিনিট লেগে যেত। এখন রিকশায় উঠছি আর চলে আসছি। ফুটপাত উচ্ছেদ হওয়ার পর যানজট বেশ কমে গেছে। হকার সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, কিছু হকার নেতা যারা একই সঙ্গে ছিলেন ফুটপাতের দোকানদার ও হকারদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার দায়িত্বে, তারা রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের উসকানিতে আবারও ফুটপাত ইস্যুতে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে। তারা সম্প্রতি ফুটপাত থেকে চাঁদা আদায়কারী ওই রাজনৈতিক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছে। তারা ফুটপাতে বসার দাবিতে আবারও অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির পাঁয়তারা করছে। ২০১৮-এর জানুয়ারির শুরুতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাত থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করেন। পাল্টা সমাবেশ করে এমপি এ কে এম শামীম ওসমান ফুটপাতে হকারদের বসতে দেয়ার ‘নির্দেশ’ দেন। ২০১৮-এর ১৬ জানুয়ারি আইভী হকার উচ্ছেদ করে প্রেসক্লাবের সামনে আসলে শামীম ওসমান সমর্থকরা মেয়রের ওপর হামলা চালায়। এতে মেয়র আইভী, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, সাধারণ মানুষ চায় না; ফুটপাতে হকার বসুক। তারা ফুটপাতের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদকে স্বাগত জানিয়েছে। শহর একটি নিয়মের মধ্যে এসেছে। আমরা চাই, এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকুক। যারা ফুটপাত থেকে কোটি টাকার বেশি চাঁদা আদায় করে তারা ফুটপাতে আবার অবৈধ দখলদারদের বসানোর চেষ্টা করবে এটা স্বাভাবিক। এখন প্রশাসনের দায়িত্ব অবৈধদের বসানোর কেউ চেষ্টা করলে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের ইন্টেলিজেন্স অফিসার-২ (ডিআই-টু ডিএসবি) সাজ্জাদ রোমন জানান, হকার বিষয়ে পুলিশ আগের অবস্থানেই আছে। কোন অবৈধ দখলদারকে ফুটপাতে বসতে দেয়া হবে না। এ ব্যাপারে পুলিশ কোন ছাড় দেবে না।
রবিবার, ০৭ জুলাই ২০১৯ , ২৩ আষাঢ় ১৪২৫, ৩ জ্বিলকদ ১৪৪০
প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ
উচ্ছেদ হওয়া হকাররা ফুটপাত দখল করে আবারও বসার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর তাদের নেপথ্যে উসকানি দিয়ে নারায়ণগঞ্জকে অশান্ত করার পাঁয়তারা করছে হকারদের কাছ থেকে প্রতি মাসে সোয়া কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায়কারী প্রভাবশালী রাজনৈতিক পক্ষটি। তবে পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, হকার বিষয়ে তারা আগের অবস্থানেই থাকবে। একটি ব্যাংকে চাকরি করেন তাসলিমা আক্তার। তিনি বলেন, আমার অফিসের প্রবেশপথের দু’পাশে হকাররা প্রায় মার্কেট বসিয়ে ফেলেছিল। তাদের দোকানের কারণে প্রচুর লোক ফুটপাথে দাঁড়িয়ে থাকত। ভিড় লেগেই থাকত। ফলে ইচ্ছে হলেও ফুটপাত দিয়ে যাওয়ার উপায় ছিল না। কাউকে কিছু বলারও যেন ছিল না। হকার উচ্ছেদ হওয়ার পরে এখন স্বাচ্ছন্দ্যে অফিসে যেতে পারছি। মন্ডলপাড়ার চাল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ লিটন জানান, চাষাঢ়া থেকে নিতাইগঞ্জে আসতে প্রায় ৪০ মিনিট লেগে যেত। এখন রিকশায় উঠছি আর চলে আসছি। ফুটপাত উচ্ছেদ হওয়ার পর যানজট বেশ কমে গেছে। হকার সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, কিছু হকার নেতা যারা একই সঙ্গে ছিলেন ফুটপাতের দোকানদার ও হকারদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার দায়িত্বে, তারা রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের উসকানিতে আবারও ফুটপাত ইস্যুতে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে। তারা সম্প্রতি ফুটপাত থেকে চাঁদা আদায়কারী ওই রাজনৈতিক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছে। তারা ফুটপাতে বসার দাবিতে আবারও অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির পাঁয়তারা করছে। ২০১৮-এর জানুয়ারির শুরুতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাত থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করেন। পাল্টা সমাবেশ করে এমপি এ কে এম শামীম ওসমান ফুটপাতে হকারদের বসতে দেয়ার ‘নির্দেশ’ দেন। ২০১৮-এর ১৬ জানুয়ারি আইভী হকার উচ্ছেদ করে প্রেসক্লাবের সামনে আসলে শামীম ওসমান সমর্থকরা মেয়রের ওপর হামলা চালায়। এতে মেয়র আইভী, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, সাধারণ মানুষ চায় না; ফুটপাতে হকার বসুক। তারা ফুটপাতের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদকে স্বাগত জানিয়েছে। শহর একটি নিয়মের মধ্যে এসেছে। আমরা চাই, এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকুক। যারা ফুটপাত থেকে কোটি টাকার বেশি চাঁদা আদায় করে তারা ফুটপাতে আবার অবৈধ দখলদারদের বসানোর চেষ্টা করবে এটা স্বাভাবিক। এখন প্রশাসনের দায়িত্ব অবৈধদের বসানোর কেউ চেষ্টা করলে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের ইন্টেলিজেন্স অফিসার-২ (ডিআই-টু ডিএসবি) সাজ্জাদ রোমন জানান, হকার বিষয়ে পুলিশ আগের অবস্থানেই আছে। কোন অবৈধ দখলদারকে ফুটপাতে বসতে দেয়া হবে না। এ ব্যাপারে পুলিশ কোন ছাড় দেবে না।