রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মায়ানমারকে বোঝাবে চীন

রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফিরিয়ে নিতে মায়ানমারকে বোঝাবে চীন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে এক বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং আই এ আশ্বাস দেন। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

চীন সফরকালে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং আইয়ের সঙ্গে বেইজিংয়ে গত শুক্রবার বৈঠক করেন ড. মোমেন। এ সময় তাদের মধ্যে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং আই বলেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরাতে মায়ানমারকে বোঝাবে চীন। এছাড়া এ সংকট সমাধানে বাংলাদেশ, মায়ানমার ও চীন ত্রিপক্ষীয় সংলাপেরও আয়োজন করবে তারা।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ২০১৬ সালের অক্টোবরে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরের কথা উল্লেখ করেন। সেই সফর অনুযায়ী, দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্ব বাড়ানোর ওপরে জোর দেন তিনি। বৈঠকে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঐকমত্য প্রকাশ করেন যে, রোহিঙ্গা সংকট এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে। ড. মোমেন রোহিঙ্গাদের ফেরাতে রাখাইনে নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে মায়ানমারকেই ভূমিকা নেয়ার বিষয়ে জোর দেন।

রবিবার, ০৭ জুলাই ২০১৯ , ২৩ আষাঢ় ১৪২৫, ৩ জ্বিলকদ ১৪৪০

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মায়ানমারকে বোঝাবে চীন

কূটনৈতিক বার্তা পরিবেশক

রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফিরিয়ে নিতে মায়ানমারকে বোঝাবে চীন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে এক বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং আই এ আশ্বাস দেন। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

চীন সফরকালে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং আইয়ের সঙ্গে বেইজিংয়ে গত শুক্রবার বৈঠক করেন ড. মোমেন। এ সময় তাদের মধ্যে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং আই বলেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরাতে মায়ানমারকে বোঝাবে চীন। এছাড়া এ সংকট সমাধানে বাংলাদেশ, মায়ানমার ও চীন ত্রিপক্ষীয় সংলাপেরও আয়োজন করবে তারা।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ২০১৬ সালের অক্টোবরে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরের কথা উল্লেখ করেন। সেই সফর অনুযায়ী, দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্ব বাড়ানোর ওপরে জোর দেন তিনি। বৈঠকে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঐকমত্য প্রকাশ করেন যে, রোহিঙ্গা সংকট এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে। ড. মোমেন রোহিঙ্গাদের ফেরাতে রাখাইনে নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে মায়ানমারকেই ভূমিকা নেয়ার বিষয়ে জোর দেন।