সোনার বাংলা গড়তে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান রাখার আহ্বান স্পিকারের

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সোনার বাংলা গড়ার প্রক্রিয়ায় অবদান রাখার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে স্বাধীন বাংলা মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় ফাউন্ডেশন আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে দেশবরেণ্য কৃতী সন্তান মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার, শিল্পী ও গুণীজনদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।

মুক্তিযোদ্ধা মিঞা মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান, স্বাধীন বাংলা মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা এ বি এম সুলতান আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান, বীর বিক্রম, সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) কে এম সফিউল্লাহ বীর উত্তম, নাট্য সংগঠক রামেন্দু মজুমদার, অধ্যাপক ড. ইনামুল হক, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের কল্যাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন মিয়া, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী। অনুষ্ঠানে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছ থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি, সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) কে এম শফিউল্লাহ বীর উত্তম, নাট্য সংগঠক রামেন্দু মজুমদার, অধ্যাপক ড. ইনামুল হক, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগীত শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল ও রায়ান বিন মুরাদ।

এছাড়া সংগঠনের পক্ষ থেকে স্পিকারকে ক্রেস্ট উপহার ও উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয়।

ড. শিরীন শারমিন বলেন,বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন তথা ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তার চৌকস নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে পরিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ তথা অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়াই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রধান লক্ষ্য।

স্পিকার বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারাই জাতির সূর্য সন্তান, আর স্বাধীনতা বাঙালির জাতীয় জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এক অছংলি হেলনে ৭ মার্চের ভাষণের পর ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আপামর জনতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনেন ।

রবিবার, ০৭ জুলাই ২০১৯ , ২৩ আষাঢ় ১৪২৫, ৩ জ্বিলকদ ১৪৪০

সোনার বাংলা গড়তে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান রাখার আহ্বান স্পিকারের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সোনার বাংলা গড়ার প্রক্রিয়ায় অবদান রাখার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে স্বাধীন বাংলা মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় ফাউন্ডেশন আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে দেশবরেণ্য কৃতী সন্তান মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার, শিল্পী ও গুণীজনদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।

মুক্তিযোদ্ধা মিঞা মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান, স্বাধীন বাংলা মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা এ বি এম সুলতান আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান, বীর বিক্রম, সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) কে এম সফিউল্লাহ বীর উত্তম, নাট্য সংগঠক রামেন্দু মজুমদার, অধ্যাপক ড. ইনামুল হক, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের কল্যাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন মিয়া, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী। অনুষ্ঠানে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছ থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি, সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) কে এম শফিউল্লাহ বীর উত্তম, নাট্য সংগঠক রামেন্দু মজুমদার, অধ্যাপক ড. ইনামুল হক, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগীত শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল ও রায়ান বিন মুরাদ।

এছাড়া সংগঠনের পক্ষ থেকে স্পিকারকে ক্রেস্ট উপহার ও উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয়।

ড. শিরীন শারমিন বলেন,বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন তথা ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তার চৌকস নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে পরিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ তথা অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়াই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রধান লক্ষ্য।

স্পিকার বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারাই জাতির সূর্য সন্তান, আর স্বাধীনতা বাঙালির জাতীয় জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এক অছংলি হেলনে ৭ মার্চের ভাষণের পর ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আপামর জনতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনেন ।