চট্টগ্রাম কাস্টমসে ১৮ ঘণ্টা পর শুল্কায়ন কার্যক্রম চালু

রপ্তানি পণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল শত শত ট্রাক

চট্টগ্রাম কাস্টমসে দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টা পর শুল্কায়ন কার্যক্রম চালু করা হয়। এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শত শত ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল রপ্তানি পণ্য নিয়ে। কনটেইনারগুলো বন্দরে আসার জন্য অপেক্ষা করছিল। বন্দরের ভিতর থেকেও কনটেইনারগুলো বের হতে পারেনি। গতকাল দুপুরে সার্ভার সচল করে শুল্কায়ন কার্যক্রম চালু করলে এই অবস্থার অবসান হয়। জানা গেছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনলাইন সার্ভারে আপগ্রেডের কাজ চলতে থাকায় শুল্কায়ন সংক্রান্ত সব কার্যক্রম বন্ধ থাকে। তবে গতকাল সকাল ৮টা থেকে চালু হওয়ার কথা থাকলেও তা চালু হয় দুপুর ১২টার দিকে। চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনার মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, সার্ভারে এখন আর কোন জটিলতা নেই। পুরোপুরি সচল আছে। আমরা আমদানি-রপ্তানিকারকের প্রতিনিধিদের বলেছি বিল অব এন্ট্রি দাখিলের জন্য। তবে, শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি পণ্য খালাস ব্যহত হওয়ার পাশাপাশি অফডক থেকে যায়নি রপ্তানি কনটেইনারও। এতে আমদানি-রপ্তানিকারকদের প্রতিনিধি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। চট্টগ্রাম কাস্টম-সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বাচ্চু বলেন, কোন নোটিস না দিয়েই হুট করে অনলাইন সার্ভার আপগ্রেডের কাজ শুরু করে কাস্টম। ১৮ ঘণ্টারও বেশি সময় আমরা বিল অব এন্ট্রি দাখিল করতে পারিনি। বলেছিল, সকাল ৮টা থেকে বিল অব এন্ট্রি দাখিল শুরু হবে। কিন্তু ?তারা সেটা করতে পারেনি। অফডকে (বেসরকারি কনটেইনার ডিপো) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট জানান, সার্ভার জটিলতার আগে যেসব পণ্যের বিল অব এন্ট্রি দাখিলের পর শুল্কায়ন সম্পন্ন হয়েছিল, সেগুলোর বন্দর থেকে ডেলিভারি আজ (গতকাল) সকাল ৮টা পর্যন্ত সচল ছিল কিন্তু এরপর কাস্টমস কমিশনার বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে সেগুলোর খালাসও বন্ধ রাখার অনুরোধ করেন। এরপর থেকে কার্যত চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি পণ্যও বের হয়নি। রপ্তানি পণ্যও বন্দরে ঢোকেনি। তবে, কাস্টম কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়েছে, এমন পণ্য ছাড়ে কাস্টমসের কোন আপত্তি নেই। এই ধরনের পণ্য খালাস স্বাভাবিক ছিল। চট্টগ্রাম বন্দরের বার্থ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলে ইকরাম চৌধুরী বলেন, হুট করে কোন ধরনের ত্রুটির কারণে বন্দরে জাহাজের প্রোডাক্টিভিটি কমে গেলে, এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে। এটা একটা চেইন অ্যাফেক্টের মতো হয়। জট সৃষ্টির আশঙ্কা থেকে যায়। বন্দরের দুর্নাম হয়।

রবিবার, ০৭ জুলাই ২০১৯ , ২৩ আষাঢ় ১৪২৫, ৩ জ্বিলকদ ১৪৪০

চট্টগ্রাম কাস্টমসে ১৮ ঘণ্টা পর শুল্কায়ন কার্যক্রম চালু

রপ্তানি পণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল শত শত ট্রাক

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম কাস্টমসে দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টা পর শুল্কায়ন কার্যক্রম চালু করা হয়। এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শত শত ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল রপ্তানি পণ্য নিয়ে। কনটেইনারগুলো বন্দরে আসার জন্য অপেক্ষা করছিল। বন্দরের ভিতর থেকেও কনটেইনারগুলো বের হতে পারেনি। গতকাল দুপুরে সার্ভার সচল করে শুল্কায়ন কার্যক্রম চালু করলে এই অবস্থার অবসান হয়। জানা গেছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনলাইন সার্ভারে আপগ্রেডের কাজ চলতে থাকায় শুল্কায়ন সংক্রান্ত সব কার্যক্রম বন্ধ থাকে। তবে গতকাল সকাল ৮টা থেকে চালু হওয়ার কথা থাকলেও তা চালু হয় দুপুর ১২টার দিকে। চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনার মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, সার্ভারে এখন আর কোন জটিলতা নেই। পুরোপুরি সচল আছে। আমরা আমদানি-রপ্তানিকারকের প্রতিনিধিদের বলেছি বিল অব এন্ট্রি দাখিলের জন্য। তবে, শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি পণ্য খালাস ব্যহত হওয়ার পাশাপাশি অফডক থেকে যায়নি রপ্তানি কনটেইনারও। এতে আমদানি-রপ্তানিকারকদের প্রতিনিধি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। চট্টগ্রাম কাস্টম-সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বাচ্চু বলেন, কোন নোটিস না দিয়েই হুট করে অনলাইন সার্ভার আপগ্রেডের কাজ শুরু করে কাস্টম। ১৮ ঘণ্টারও বেশি সময় আমরা বিল অব এন্ট্রি দাখিল করতে পারিনি। বলেছিল, সকাল ৮টা থেকে বিল অব এন্ট্রি দাখিল শুরু হবে। কিন্তু ?তারা সেটা করতে পারেনি। অফডকে (বেসরকারি কনটেইনার ডিপো) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট জানান, সার্ভার জটিলতার আগে যেসব পণ্যের বিল অব এন্ট্রি দাখিলের পর শুল্কায়ন সম্পন্ন হয়েছিল, সেগুলোর বন্দর থেকে ডেলিভারি আজ (গতকাল) সকাল ৮টা পর্যন্ত সচল ছিল কিন্তু এরপর কাস্টমস কমিশনার বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে সেগুলোর খালাসও বন্ধ রাখার অনুরোধ করেন। এরপর থেকে কার্যত চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি পণ্যও বের হয়নি। রপ্তানি পণ্যও বন্দরে ঢোকেনি। তবে, কাস্টম কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়েছে, এমন পণ্য ছাড়ে কাস্টমসের কোন আপত্তি নেই। এই ধরনের পণ্য খালাস স্বাভাবিক ছিল। চট্টগ্রাম বন্দরের বার্থ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলে ইকরাম চৌধুরী বলেন, হুট করে কোন ধরনের ত্রুটির কারণে বন্দরে জাহাজের প্রোডাক্টিভিটি কমে গেলে, এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে। এটা একটা চেইন অ্যাফেক্টের মতো হয়। জট সৃষ্টির আশঙ্কা থেকে যায়। বন্দরের দুর্নাম হয়।