১০৩ টাকা ব্যয়ে

গাইবান্ধায় হতদরিদ্র ৯৯ জন চাকরি পেল পুলিশে

সত্যতার দৃষ্টান্ত রেখে দিল জেলা পুলিশ সুপার- শুধুমাত্র ১০৩ টাকা ব্যয় করে গাইবান্ধা জেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অতিদরিদ্র পরিবারের ৯৯ জনসহ ১৪৪ জন পুলিশের চাকরি পেল মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে। জনকল্যাণে নিবেদিত পুলিশ সুপার প্রকৌশলী মো. আবদুল মান্নান মিয়া, বিপিএম এর একটি প্রশংসনীয় এবং ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ফলেই অবিশ্বাস্য এই নিয়োগ সম্ভব হয়েছে। লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ না দিয়ে যে শুধু মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পুলিশের চাকরি পাওয়া যায় এ কথাটি গাইবান্ধায় এখন প্রমাণিত সত্য। জানা গেছে, পুলিশের চাকরি প্রাপ্তদের মধ্যে ৯৯ জন অতিদরিদ্র পরিবার থেকে এসেছে। কেউ পিতামাতা হারা এতিম, আবার কেউ এসেছে চরাঞ্চলের অতিদরিদ্র কৃষক, নৈশ প্রহরী, দর্জি, দিনমজুর, বর্গাচাষী, শ্রমজীবী, গৃহপরিচারিকার কাজ করে এমন পরিবার থেকে। এমনকি চাকরি প্রাপ্তদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছে যাদের পরিবারে দু’বেলা দু’মুঠো খাবারের সংস্থানও নেই। এছাড়া এদের মধ্যে রয়েছে দরিদ্র উপজাতি মুক্তিযোদ্ধাদের যোগ্য সন্তান, নাতি, নাতনি এবং দরিদ্র যোগ্য পুলিশের পোষ্যরা এভাবে পুলিশে চাকরি পাওয়া যায় যা কখনও তারা কল্পনাও করতে পারেনি। ফলে নিয়োগপত্র টাঙিয়ে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিয়োগপ্রাপ্ত ও তার পরিবার-পরিজনরা আনন্দে কান্নায় ভেঙে পড়েন। নিয়োগপ্রাপ্তদের অনেকেই গাইবান্ধা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার প্রকৌশলী মো. আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম-এর জন্য দোয়া করেন এবং বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান এবং তার দীর্ঘজীবন কামনা করেন। এব্যাপারে পুলিশ সুপার প্রকৌশলী মো. আবদুল মান্নান মিয়া জানান, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারীর নির্দেশে গাইবান্ধায় শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রেখে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে মাত্র ১০৩ টাকা খরচ করেই এ জেলার ১৪৪ জন তরুণ-তরুণী পুলিশের চাকরি পেল। পুলিশ নিয়োগের বিষয়টি নিবির পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, পুলিশ সুপার অত্যান্ত কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে শতভাগ সততা বজায় রেখে শারীরিকভাবে স¤পূর্ণ যোগ্য এবং লিখিত পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া ও মৌখিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার পর প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১৪৪ জন মেধাবী পুলিশ কনস্টেবলের একটি তালিকা প্রণয়ন করে তা টাঙিয়ে দেন। গাইবান্ধা হকার্স মার্কেটসংলগ্ন বিহারি রেল কলোনির বাসিন্দা একজন দরিদ্র নাইট গার্ড ও মাতা গৃহপরিচারিকা হিসেবে বিভিন্ন মানুষের বাসায় কাজ করতো তাদের সন্তান রাহিত হাসান রাব্বি পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়েছে। তাই পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম নিজে বিহারী কলোনীতে ওই দরিদ্র নৈশ প্রহরীর বাড়িতে গিয়ে তার পিতা-মাতাকে এবং রাহিত হাসান রাব্বিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ও তাদের মিষ্টি উপহার দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা পৌরসভার অ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন, সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মো. সাঈদ হোসেন জসিম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুন পুলিশ কনস্টেবলের নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রথমে শারীরিকভাবে যোগ্য প্রার্থীরা ৩০ জুন লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং ৩ জুলাই লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেয়।

image

স্বজনের চাকরির খবরে হতদরিদ্র পরিবারের লোকেরা আনন্দে কেঁদে ফেলেন

আরও খবর
দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
ফের নদী দখলের চেষ্টা হলে কঠোর ব্যবস্থা
ফের ফুটপাতে হকার বসানোর তৎপরতা
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম জোটের হরতাল আজ
সোনালী ব্যাংকের ২২ কর্মকর্তার দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক
রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মায়ানমারকে বোঝাবে চীন
মে-জুন বজ্রপাতে ১২৬ জনের প্রাণহানি
ফের আন্দোলনে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা
এরশাদ সুস্থ হয়ে ওঠতে পারেন
সোনার বাংলা গড়তে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান রাখার আহ্বান স্পিকারের
তিন জেলায় নিহত ৪
চট্টগ্রাম কাস্টমসে ১৮ ঘণ্টা পর শুল্কায়ন কার্যক্রম চালু
সুধারামে গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার
ধর্ষণ শেষে কোরআন শপথ করাতেন হুজুর

রবিবার, ০৭ জুলাই ২০১৯ , ২৩ আষাঢ় ১৪২৫, ৩ জ্বিলকদ ১৪৪০

১০৩ টাকা ব্যয়ে

গাইবান্ধায় হতদরিদ্র ৯৯ জন চাকরি পেল পুলিশে

প্রতিনিধি, গাইবান্ধা

image

স্বজনের চাকরির খবরে হতদরিদ্র পরিবারের লোকেরা আনন্দে কেঁদে ফেলেন

সত্যতার দৃষ্টান্ত রেখে দিল জেলা পুলিশ সুপার- শুধুমাত্র ১০৩ টাকা ব্যয় করে গাইবান্ধা জেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অতিদরিদ্র পরিবারের ৯৯ জনসহ ১৪৪ জন পুলিশের চাকরি পেল মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে। জনকল্যাণে নিবেদিত পুলিশ সুপার প্রকৌশলী মো. আবদুল মান্নান মিয়া, বিপিএম এর একটি প্রশংসনীয় এবং ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ফলেই অবিশ্বাস্য এই নিয়োগ সম্ভব হয়েছে। লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ না দিয়ে যে শুধু মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পুলিশের চাকরি পাওয়া যায় এ কথাটি গাইবান্ধায় এখন প্রমাণিত সত্য। জানা গেছে, পুলিশের চাকরি প্রাপ্তদের মধ্যে ৯৯ জন অতিদরিদ্র পরিবার থেকে এসেছে। কেউ পিতামাতা হারা এতিম, আবার কেউ এসেছে চরাঞ্চলের অতিদরিদ্র কৃষক, নৈশ প্রহরী, দর্জি, দিনমজুর, বর্গাচাষী, শ্রমজীবী, গৃহপরিচারিকার কাজ করে এমন পরিবার থেকে। এমনকি চাকরি প্রাপ্তদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছে যাদের পরিবারে দু’বেলা দু’মুঠো খাবারের সংস্থানও নেই। এছাড়া এদের মধ্যে রয়েছে দরিদ্র উপজাতি মুক্তিযোদ্ধাদের যোগ্য সন্তান, নাতি, নাতনি এবং দরিদ্র যোগ্য পুলিশের পোষ্যরা এভাবে পুলিশে চাকরি পাওয়া যায় যা কখনও তারা কল্পনাও করতে পারেনি। ফলে নিয়োগপত্র টাঙিয়ে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিয়োগপ্রাপ্ত ও তার পরিবার-পরিজনরা আনন্দে কান্নায় ভেঙে পড়েন। নিয়োগপ্রাপ্তদের অনেকেই গাইবান্ধা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার প্রকৌশলী মো. আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম-এর জন্য দোয়া করেন এবং বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান এবং তার দীর্ঘজীবন কামনা করেন। এব্যাপারে পুলিশ সুপার প্রকৌশলী মো. আবদুল মান্নান মিয়া জানান, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারীর নির্দেশে গাইবান্ধায় শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রেখে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে মাত্র ১০৩ টাকা খরচ করেই এ জেলার ১৪৪ জন তরুণ-তরুণী পুলিশের চাকরি পেল। পুলিশ নিয়োগের বিষয়টি নিবির পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, পুলিশ সুপার অত্যান্ত কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে শতভাগ সততা বজায় রেখে শারীরিকভাবে স¤পূর্ণ যোগ্য এবং লিখিত পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া ও মৌখিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার পর প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১৪৪ জন মেধাবী পুলিশ কনস্টেবলের একটি তালিকা প্রণয়ন করে তা টাঙিয়ে দেন। গাইবান্ধা হকার্স মার্কেটসংলগ্ন বিহারি রেল কলোনির বাসিন্দা একজন দরিদ্র নাইট গার্ড ও মাতা গৃহপরিচারিকা হিসেবে বিভিন্ন মানুষের বাসায় কাজ করতো তাদের সন্তান রাহিত হাসান রাব্বি পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়েছে। তাই পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম নিজে বিহারী কলোনীতে ওই দরিদ্র নৈশ প্রহরীর বাড়িতে গিয়ে তার পিতা-মাতাকে এবং রাহিত হাসান রাব্বিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ও তাদের মিষ্টি উপহার দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা পৌরসভার অ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন, সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মো. সাঈদ হোসেন জসিম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুন পুলিশ কনস্টেবলের নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রথমে শারীরিকভাবে যোগ্য প্রার্থীরা ৩০ জুন লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং ৩ জুলাই লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেয়।