রোহিঙ্গাদের অবশ্যই মায়ানমারে ফিরিয়ে নিতে হবে

মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আশিয়ানভুক্ত দেশগুলো খুবই উদ্বিগ্ন। কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের অবশ্যই মায়ানমারে ফিরিয়ে নিতে হবে। তবে তাদের প্রত্যাবাসন হতে হবে অবশ্যই নিরাপদ এবং স্বেচ্ছামূলক। রাখাইনে তাদের স্বাধীনভাবে চলাচলের সুযোগ দিতে হবে। গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালী, জামতলীসহ বেশ কয়েকটি রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফ উদ্দিন আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে আশিয়ানভুক্ত দেশগুলো মায়ানমারের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মালয়েশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা, জাতিগত নিধনসহ রোহিঙ্গা মুসলমানরা ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছে। যে কারণে ১১ লাখেরও অধিক রোহিঙ্গা সীমান্ত পার হয়ে কক্সবাজার জেলার উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেয়। শুধু তাই নয়, একই কারণে মায়ানমারের রাখাইনেও দেড় লাখ রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হয়ে নিজ দেশেই ক্যাম্প জীবন-যাপন করছে। রোববার সকাল ১০টায় মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন আবদুল্লাহ উখিয়া ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন টিঅ্যান্ডটি এলাকায় অবস্থিত মালয়েশিয়া ফিল্ড হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসপাতালের বিভিন্ন সেবাকক্ষ ঘুরে দেখেন। তিনি চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোহিঙ্গাদের দেখভাল করেন।

মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের উন্নত সেবা দেয়ার জন্য মালয়েশিয়া হাসপাতালে নিয়োজিত ডাক্তারদের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, নির্যাতিন নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের সব সময় পাশে থাকবে মালয়েশিয়া সরকার। ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালামের সঙ্গে বিকেলে বৈঠক করেন মালয়েশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০১৯ , ২৪ আষাঢ় ১৪২৫, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪০

রোহিঙ্গাদের অবশ্যই মায়ানমারে ফিরিয়ে নিতে হবে

মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রতিনিধি, উখিয়া (কক্সবাজার)

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আশিয়ানভুক্ত দেশগুলো খুবই উদ্বিগ্ন। কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের অবশ্যই মায়ানমারে ফিরিয়ে নিতে হবে। তবে তাদের প্রত্যাবাসন হতে হবে অবশ্যই নিরাপদ এবং স্বেচ্ছামূলক। রাখাইনে তাদের স্বাধীনভাবে চলাচলের সুযোগ দিতে হবে। গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালী, জামতলীসহ বেশ কয়েকটি রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফ উদ্দিন আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে আশিয়ানভুক্ত দেশগুলো মায়ানমারের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মালয়েশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা, জাতিগত নিধনসহ রোহিঙ্গা মুসলমানরা ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছে। যে কারণে ১১ লাখেরও অধিক রোহিঙ্গা সীমান্ত পার হয়ে কক্সবাজার জেলার উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেয়। শুধু তাই নয়, একই কারণে মায়ানমারের রাখাইনেও দেড় লাখ রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হয়ে নিজ দেশেই ক্যাম্প জীবন-যাপন করছে। রোববার সকাল ১০টায় মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন আবদুল্লাহ উখিয়া ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন টিঅ্যান্ডটি এলাকায় অবস্থিত মালয়েশিয়া ফিল্ড হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসপাতালের বিভিন্ন সেবাকক্ষ ঘুরে দেখেন। তিনি চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোহিঙ্গাদের দেখভাল করেন।

মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের উন্নত সেবা দেয়ার জন্য মালয়েশিয়া হাসপাতালে নিয়োজিত ডাক্তারদের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, নির্যাতিন নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের সব সময় পাশে থাকবে মালয়েশিয়া সরকার। ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালামের সঙ্গে বিকেলে বৈঠক করেন মালয়েশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।