শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা ও ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে আটক ও অপর ঘটনায় মামলা হয়েছে। ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মাদ্রাসাশিক্ষককে আটক করা হয়েছে। বাগেরহাটে শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক মাছ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে এ তথ্য জানা গেছে।

ভালুকা (ময়মনসিংহ) : ময়মনসিংহের ভালুকায় ৮ বছরের শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শরিফুল ইসলাম (২৫) নামে এক মাদ্রাসাশিক্ষককে আটক করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। গতকাল সকালে উপজেলার পাড়াগাঁও বড়চালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাড়াগাঁও বড়চালা গ্রামে অবস্থিত নুরানী মাদ্রাসায় সম্প্রতি মাওলানা শরিফুল ইসলামকে নিয়োগ দেয়া হয়। ওই শিক্ষক প্রতিদিন মসজিদের বারান্দায় শিশুদের মক্তব পড়াতেন। গতকাল সকালে বৃষ্টির কারণে ছাত্রছাত্রী কম আসায় মসজিদের পার্শ্ববর্তী বাড়ির মৃত ইসমাইলের শিশুকন্যা স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী (৭) ও শারীরিক প্রতিবন্ধী বাবুলের শিশুকন্যা বড়চালা হুসাইনিয়া দাখিল মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী (৮) পড়তে যায়। এ সময় ওই শিক্ষক এক শিশুকে (৮) ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে মৃত ইসমাইলের শিশুকন্যা বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি অভিভাবককে জানালে এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা ওই শিক্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। শিশুটির বাবা শারীরিক প্রতিবন্ধী বাবুল জানান, তিনি অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের উপযুক্ত বিচর চান। মাওলানা শরিফুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। ভালুকা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মাজাহারুল ইসলাম জানান, শিশু ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাগেরহাট : বাগেরহাটের ফকিরহাটে তৃতীয় শ্রেণীর এক শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক মাছ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে গতকাল দুপুরে মামলা দায়ের হয়েছে। মেয়েটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলাটি করেন। পুলিশ ভিকটিম মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য প্রেরণ করেছে। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ফকিরহাট থানার ওসি (তদন্ত) জগন্নাথ চন্দ্র মামলার বরাত দিয়ে জানান, উপজেলার লখপুর ইউনিয়নের জাড়িয়া-কাহারডাঙ্গা গ্রামের মোজাহার শেখের মেয়ে জাড়িয়া-কাহারডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। গত শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় স্কুলে যাওয়ার পথে ধর্ষণের শিকার হয়। একই গ্রামের আ. ছাত্তার খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী পিলজংগ ইউনিয়নের টাউন-নওয়াপাড়া এলাকায় একটি নির্জন কলাবাগানে নিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির চিৎকারে পাশে গরুর জন্য ঘাস কাটা অবস্থায় এক নারী টের পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এলে লম্পট ছাত্তার পালিয়ে যায়। মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা নিজে বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ বিষয়ে থানার ওসি আবু জাহিদ শেখ বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা নেয়া হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতার ও তদন্তপূর্বক রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে।