কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন

বাছাই প্রক্রিয়ায়ও থাকছেন না গান্ধী পরিবারের কেউ

হাজারও বাধা উপেক্ষা করে ভারতের প্রাচীন ও অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। এবার দলটির নতুন নেতা বাছাই প্রক্রিয়ায়ও তিনি থাকতে রাজি নন। শুধু রাহুলই নন, তার মা সোনিয়া গান্ধী এবং বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও এ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।

রাহুল পদত্যাগের আগে তিনি দলকে জানান, তার বিকল্প খুঁজে রাখতে। তার ইস্তফা আটকাতে দল তৎপর হলেও শেষপর্যন্ত দলের প্রেসিডেন্টের পদ ছেড়ে দেন রাহুল। কংগ্রেসের নতুন প্রেসিডেন্ট হতে পারেন সুশীল কুমার শিন্ডে অথবা মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং গত সপ্তাহেই সেই আভাস পাওয়া গেছে।

কংগ্রেসের দলনেতা নির্বাচনে বিষয়ে আনন্দ শর্মা, আহমেদ প্যাটেল, গুলাম নবি আজাদ, পি চিদম্বরম, দীপেন্দর হুডা এবং জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতো সিনিয়র নেতারা দিল্লিতে উপস্থিত হন বৈঠকের জন্য। কিন্তু সেই বৈঠকেই উপস্থিত হননি রাহুল। তিনি সাফ জানিয়েছেন, নতুন নেতা অনুসন্ধানের প্রক্রিয়ায় তিনি থাকতে রাজি নন। পিভি নরসিমহা রাও এবং সীতারাম কেশরীর পর এই নিয়ে তৃতীয়বার নেহরু-গান্ধী পরিবারের বাইরে কোনো ব্যক্তি কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দিতে চলেছেন। ২০১৭ সালে সোনিয়ার পর কংগ্রেস প্রধানের দায়িত্বে নেন রাহুল। তবে দু’বছরের মধ্যে, লোকসভা নির্বাচনে দলের আশানুরূপ ফল না হওয়ার দায়িত্ব নিজে কাঁধে নিয়ে ইস্তফার সিদ্ধান্ত নেন রাহুল। চলতি সপ্তাহেই এ পদ ছাড়েন তিনি। আর তারপর থেকেই কংগ্রেস প্রেসিডেন্টের পদ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০১৯ , ২৪ আষাঢ় ১৪২৫, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪০

কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন

বাছাই প্রক্রিয়ায়ও থাকছেন না গান্ধী পরিবারের কেউ

সংবাদ ডেস্ক

image

রাহুল গান্ধী

হাজারও বাধা উপেক্ষা করে ভারতের প্রাচীন ও অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। এবার দলটির নতুন নেতা বাছাই প্রক্রিয়ায়ও তিনি থাকতে রাজি নন। শুধু রাহুলই নন, তার মা সোনিয়া গান্ধী এবং বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও এ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।

রাহুল পদত্যাগের আগে তিনি দলকে জানান, তার বিকল্প খুঁজে রাখতে। তার ইস্তফা আটকাতে দল তৎপর হলেও শেষপর্যন্ত দলের প্রেসিডেন্টের পদ ছেড়ে দেন রাহুল। কংগ্রেসের নতুন প্রেসিডেন্ট হতে পারেন সুশীল কুমার শিন্ডে অথবা মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং গত সপ্তাহেই সেই আভাস পাওয়া গেছে।

কংগ্রেসের দলনেতা নির্বাচনে বিষয়ে আনন্দ শর্মা, আহমেদ প্যাটেল, গুলাম নবি আজাদ, পি চিদম্বরম, দীপেন্দর হুডা এবং জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতো সিনিয়র নেতারা দিল্লিতে উপস্থিত হন বৈঠকের জন্য। কিন্তু সেই বৈঠকেই উপস্থিত হননি রাহুল। তিনি সাফ জানিয়েছেন, নতুন নেতা অনুসন্ধানের প্রক্রিয়ায় তিনি থাকতে রাজি নন। পিভি নরসিমহা রাও এবং সীতারাম কেশরীর পর এই নিয়ে তৃতীয়বার নেহরু-গান্ধী পরিবারের বাইরে কোনো ব্যক্তি কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দিতে চলেছেন। ২০১৭ সালে সোনিয়ার পর কংগ্রেস প্রধানের দায়িত্বে নেন রাহুল। তবে দু’বছরের মধ্যে, লোকসভা নির্বাচনে দলের আশানুরূপ ফল না হওয়ার দায়িত্ব নিজে কাঁধে নিয়ে ইস্তফার সিদ্ধান্ত নেন রাহুল। চলতি সপ্তাহেই এ পদ ছাড়েন তিনি। আর তারপর থেকেই কংগ্রেস প্রেসিডেন্টের পদ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।