সিরিয়ায় ‘দুই মাসে নিহত ৫৪৪’

রুশ নেতৃত্বাধীন সিরীয় বাহিনীর হামলা

সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্রোহীদের শেষ ঘাঁটিতে গত দুই মাসে রুশ নেতৃত্বাধীন সিরীয় বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৫৪৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এছাড়াও এতে আরও দুই হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। গত শনিবার মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো ও উদ্ধারকারীরা এসব তথ্য জানিয়েছে। রয়টার্স।

সিরিয়ার বিদ্রোহী অধিকৃত ইদলিব প্রদেশ ও সংলগ্ন হামা প্রদেশের কয়েকটি অংশে গত ২৬ এপ্রিল থেকে বড় ধরনের অভিযান শুরু করে সিরিয়ার সেনাবাহিনী। রাশিয়ার যুদ্ধবিমানগুলোও তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। গত গ্রীষ্মকালের পর থেকে এটিই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ও তার শত্রুদের মধ্যে শুরু হওয়া সবচেয়ে বড় লড়াই। সিরিয়ার যুদ্ধে হতাহতের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা দ্য সিরিয়ান নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটস (এসএনএইচআর) জানিয়েছে, রুশ যুদ্ধবিমান ও সিরিয়ার সেনাবাহিনীর চালানো কয়েকশ’ হামলায় ১৩০টি শিশুসহ ৫৪৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ২ হাজার ১১৭ জন আহত হয়েছেন। এসএনএইচআরের চেয়ারম্যান ফাদেল আবদুল ঘানি রয়টার্সকে বলেছেন, ‘রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ও তাদের সিরীয় মিত্ররা জেনেবুঝে বেসামরিক নাহরিকদের লক্ষ্যস্থল করছে এবং রেকর্ডসংখ্যক মেডিকেল স্থাপনায় বোমাবর্ষণ করেছে।’ নির্বিচারে বেসামরিক নাগরিকদের এলাকায় ক্লাস্টার ও আগ্নেয় বোমা নিক্ষেপের কথা অস্বীকার করেছে রাশিয়া ও সিরিয়ার সামরিক বাহিনী। তাদের বাহিনীগুলো ও সিরিয়ার সেনাবাহিনী আল-কায়েদার জঙ্গিদের সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধ করতে কাজ করছে বলে দাবি করেছে মস্কো। জঙ্গিরা জনবহুল এলাকা, সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় হামলা চালাচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছে তারা। গত বছর রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে হওয়া অস্ত্রবিরতি চুক্তি বিদ্রোহীরা ভাঙার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ তাদের। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, উদ্ধারকারী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জানা গেছে যে রাশিয়া ও সিরিয়ার যৌথ সামরিক অভিযানে আকাশ থেকে নিক্ষেপযোগ্য বড় ধরনের বিস্ফোরক অস্ত্রের সঙ্গে ক্লাস্টার ও আগ্নেয় বোমাও ফেলা হচ্ছে, এতে জনবহুল বেসামরিক এলাকাগুলোর বিস্তৃত অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দুই মাস ধরে চলা এ অভিযানে বহু গ্রাম ও শহর ধ্বংস হয়ে গেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দা ও উদ্ধারকারীরা অভিযোগ করেছেন। জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, নিরাপত্তার জন্য ?কমপক্ষে তিন লাখ লোক তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে তুরস্কের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০১৯ , ২৪ আষাঢ় ১৪২৫, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪০

সিরিয়ায় ‘দুই মাসে নিহত ৫৪৪’

রুশ নেতৃত্বাধীন সিরীয় বাহিনীর হামলা

সংবাদ ডেস্কে

সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্রোহীদের শেষ ঘাঁটিতে গত দুই মাসে রুশ নেতৃত্বাধীন সিরীয় বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৫৪৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এছাড়াও এতে আরও দুই হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। গত শনিবার মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো ও উদ্ধারকারীরা এসব তথ্য জানিয়েছে। রয়টার্স।

সিরিয়ার বিদ্রোহী অধিকৃত ইদলিব প্রদেশ ও সংলগ্ন হামা প্রদেশের কয়েকটি অংশে গত ২৬ এপ্রিল থেকে বড় ধরনের অভিযান শুরু করে সিরিয়ার সেনাবাহিনী। রাশিয়ার যুদ্ধবিমানগুলোও তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। গত গ্রীষ্মকালের পর থেকে এটিই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ও তার শত্রুদের মধ্যে শুরু হওয়া সবচেয়ে বড় লড়াই। সিরিয়ার যুদ্ধে হতাহতের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা দ্য সিরিয়ান নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটস (এসএনএইচআর) জানিয়েছে, রুশ যুদ্ধবিমান ও সিরিয়ার সেনাবাহিনীর চালানো কয়েকশ’ হামলায় ১৩০টি শিশুসহ ৫৪৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ২ হাজার ১১৭ জন আহত হয়েছেন। এসএনএইচআরের চেয়ারম্যান ফাদেল আবদুল ঘানি রয়টার্সকে বলেছেন, ‘রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ও তাদের সিরীয় মিত্ররা জেনেবুঝে বেসামরিক নাহরিকদের লক্ষ্যস্থল করছে এবং রেকর্ডসংখ্যক মেডিকেল স্থাপনায় বোমাবর্ষণ করেছে।’ নির্বিচারে বেসামরিক নাগরিকদের এলাকায় ক্লাস্টার ও আগ্নেয় বোমা নিক্ষেপের কথা অস্বীকার করেছে রাশিয়া ও সিরিয়ার সামরিক বাহিনী। তাদের বাহিনীগুলো ও সিরিয়ার সেনাবাহিনী আল-কায়েদার জঙ্গিদের সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধ করতে কাজ করছে বলে দাবি করেছে মস্কো। জঙ্গিরা জনবহুল এলাকা, সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় হামলা চালাচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছে তারা। গত বছর রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে হওয়া অস্ত্রবিরতি চুক্তি বিদ্রোহীরা ভাঙার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ তাদের। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, উদ্ধারকারী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জানা গেছে যে রাশিয়া ও সিরিয়ার যৌথ সামরিক অভিযানে আকাশ থেকে নিক্ষেপযোগ্য বড় ধরনের বিস্ফোরক অস্ত্রের সঙ্গে ক্লাস্টার ও আগ্নেয় বোমাও ফেলা হচ্ছে, এতে জনবহুল বেসামরিক এলাকাগুলোর বিস্তৃত অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দুই মাস ধরে চলা এ অভিযানে বহু গ্রাম ও শহর ধ্বংস হয়ে গেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দা ও উদ্ধারকারীরা অভিযোগ করেছেন। জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, নিরাপত্তার জন্য ?কমপক্ষে তিন লাখ লোক তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে তুরস্কের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।