‘তালেবানের সঙ্গে খুবই ফলপ্রসূ আলোচনা হচ্ছে’

আফগান সরকারের বিরুদ্ধে সশন্ত্র সংগ্রামরত বিদ্রোহী গোষ্ঠী তালেবানের সঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তাদের খুবই ফলপ্রসূ আলোচনা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তান বিষয়ক দূত জালমাই খলিলজাদ। আফগান যুদ্ধের অবসান এবং দেশটি থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যে উভয়পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এ আলোচনা চলছে। এ ইস্যুতে কাতারের রাজধানী দোহায় গত সপ্তাহে সপ্তম দফায় বৈঠকে বসে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা। এদিকে ৭ জুলাই থেকে দোহায় শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তঃআফগান সংলাপ। ওই সম্মেলনের আগের দিন গত শনিবার তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় এমন অগ্রগতির কথা জানালেন খলিলজাদ। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

খলিলজাদ বলেন, তালেবানের সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তির বিষয়ে বাস্তবসম্মত অগ্রগতি হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নিশ্চয়তা, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার, আন্তঃআফগান সংলাপ এবং একটি ব্যাপক ও টেকসই যুদ্ধবিরতির বিষয়ে তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। আন্তঃআফগান সংলাপ শেষ হওয়ার পর আগামী মঙ্গলবার কাতারে ফের তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় বসবে যুক্তরাষ্ট্র। বৈঠকে ১৮ বছরের আফগান যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানোর উপায় নিয়ে কথা বলবেন উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা। এর আগে, এক টুইটার বার্তায় খলিলজাদ বলেন, আলোচনায় দ্রুত অগ্রগতি আসা প্রয়োজন। আমার বিশ্বাস, সব পক্ষই দ্রুত অগ্রগতি চায়। নাইন-ইলেভেনের হামলার পর ২০০১ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের নির্দেশে শুরু হওয়া আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয় ২০১৪ সালে। তবে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা অব্যাহত রাখলেও দেশটির অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান। এমন প্রেক্ষাপটে দেশটিতে শান্তি স্থাপনে গত বছরের অক্টোবর থেকে দফায় দফায় তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে আফগান সরকারকে আমেরিকার পুতুল হিসেবে আখ্যায়িত করে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে তালেবান। সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, আফগানিস্তানে মাত্র ৫৬ শতাংশ এলাকা সরকার নিয়ন্ত্রণ করে। ২০১৫ সালে এর পরিমাণ ছিল ৭২ শতাংশ। মাত্র কয়েক বছরে তালেবান যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট সরকারি বাহিনীকে হটিয়ে বহু এলাকা দখলে নিয়েছে।

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০১৯ , ২৪ আষাঢ় ১৪২৫, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪০

‘তালেবানের সঙ্গে খুবই ফলপ্রসূ আলোচনা হচ্ছে’

সংবাদ ডেস্ক

image

জালমাই খলিলজাদ

আফগান সরকারের বিরুদ্ধে সশন্ত্র সংগ্রামরত বিদ্রোহী গোষ্ঠী তালেবানের সঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তাদের খুবই ফলপ্রসূ আলোচনা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তান বিষয়ক দূত জালমাই খলিলজাদ। আফগান যুদ্ধের অবসান এবং দেশটি থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যে উভয়পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এ আলোচনা চলছে। এ ইস্যুতে কাতারের রাজধানী দোহায় গত সপ্তাহে সপ্তম দফায় বৈঠকে বসে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা। এদিকে ৭ জুলাই থেকে দোহায় শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তঃআফগান সংলাপ। ওই সম্মেলনের আগের দিন গত শনিবার তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় এমন অগ্রগতির কথা জানালেন খলিলজাদ। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

খলিলজাদ বলেন, তালেবানের সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তির বিষয়ে বাস্তবসম্মত অগ্রগতি হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নিশ্চয়তা, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার, আন্তঃআফগান সংলাপ এবং একটি ব্যাপক ও টেকসই যুদ্ধবিরতির বিষয়ে তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। আন্তঃআফগান সংলাপ শেষ হওয়ার পর আগামী মঙ্গলবার কাতারে ফের তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় বসবে যুক্তরাষ্ট্র। বৈঠকে ১৮ বছরের আফগান যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানোর উপায় নিয়ে কথা বলবেন উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা। এর আগে, এক টুইটার বার্তায় খলিলজাদ বলেন, আলোচনায় দ্রুত অগ্রগতি আসা প্রয়োজন। আমার বিশ্বাস, সব পক্ষই দ্রুত অগ্রগতি চায়। নাইন-ইলেভেনের হামলার পর ২০০১ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের নির্দেশে শুরু হওয়া আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয় ২০১৪ সালে। তবে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা অব্যাহত রাখলেও দেশটির অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান। এমন প্রেক্ষাপটে দেশটিতে শান্তি স্থাপনে গত বছরের অক্টোবর থেকে দফায় দফায় তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে আফগান সরকারকে আমেরিকার পুতুল হিসেবে আখ্যায়িত করে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে তালেবান। সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, আফগানিস্তানে মাত্র ৫৬ শতাংশ এলাকা সরকার নিয়ন্ত্রণ করে। ২০১৫ সালে এর পরিমাণ ছিল ৭২ শতাংশ। মাত্র কয়েক বছরে তালেবান যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট সরকারি বাহিনীকে হটিয়ে বহু এলাকা দখলে নিয়েছে।